২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

আইনজীবীকে নির্যাতন, আইজিপিকে আইনী নোটিশ

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১০:০৬ অপরাহ্ণ, ০৭ মে ২০১৬

বরগুনা জেলা বারের সদস্য অ্যাডভোকেট মইনুল আহসান বিপ্লব তালুকদারসহ সংশ্লিষ্টদের নির্যাতন ও হয়রানী বন্ধে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বরাবর একটি উকিল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

শনিবার বিকেলে ফ্যাক্স যোগে এ নোটিশটি পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এসএম জুলফিকার আলী জুনু।
নোটিশে বলা হয়, ‍পুলিশ মইনুল আহসান বিপ্লব তালুকদার তুচ্ছ ঘটনায় অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তারের পর নির্যাতন করে মামলা দিয়েছে। বিপ্লবের পক্ষে আদালতে উকালতি করায় মিসকাত সাজ্জাতের বৃদ্ধ পিতাকে অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করে একটি মামলার আসামি করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, বরগুনা জেলা বারের আইনজীবীদের আদালত চত্বরে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে এবং তাদের অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তারের পায়তারা চলছে। এ সকল বিষয়ে পুলিশ প্রধানের সহায়তা চেয়ে লিগ্যাল নোটিশটি পাঠানো হয়। নোটিশের একটি অনুলিপি বরগুনা জেলা পুলিশ সুপারের কাছেও পাঠানো হয়েছে।

আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অবরুদ্ধ আইনজীবীদের মুক্তি ও তাদের স্বাধীনভাবে চলা ফেরা করার সুযোগ করে দিতে হবে। অন্যস্থায় এ ঘটনায় জড়িত বরগুনা জেলা পুলিশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে রিট আবেদন করবেন বলে জানিয়েছেন অ্যাডভোকেট জুলফিকার আলী জুনু। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গতকাল শুক্রবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পুলিশের মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) হস্তক্ষেপ কামনা করে বিবৃতি দেয় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীদের সংগঠন ন্যাশনাল ল’ ইয়ার্স কাউন্সিল।

প্রসঙ্গত, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বরগুনা জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য বিপ্লব তালুকদারকে গত মঙ্গলবার (৩ মে) আমতলী থানায় আটক করে রাতভর নির্যাতনের বিষয়ে একাধিক জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

পুলিশি নির্যাতনের এ ঘটনায় মঙ্গলবার সকালে বরগুনা জেলা আইনজীবী সমিতির এক সভায় বরগুনার পুলিশ সুপার বিজয় বসাক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম, আমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ পুলকচন্দ্র রায় ও আমতলী থানার উপ-পরিদর্শক আরিফের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। একই সঙ্গে আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ওই অভিযুক্ত চার পুলিশ অফিসারকে বরগুনা থেকে প্রত্যাহার না করলে লাগাতার আন্দোলনের ঘোষণা দেয় আইনজীবী সমিতি। পুলিশি নির্যাতনের বিষয়ে বারের রেজ্যুলেশন কপি রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, প্রধান বিচারপতি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী, মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ও আইজিপিসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে পৌঁছে দেয়ার বিষয়ে সভায় সিদ্ধান্ত হয়।

2 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন