২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার

আমতলীতে নিখোঁজ আসমার সন্ধান মেলেনি

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৮:১৬ অপরাহ্ণ, ৩১ মার্চ ২০১৬

আমতলী: বরগুনার তালতলী উপজেলার তেতুল বাড়িয়া গ্রামের পায়রা নদীতে সরকার নিষিদ্ধ ঘোষিত মশারি জাল দিয়ে রেনু পোনা ধরা ঠেকাতে গিয়ে কোষ্টগার্ডের হামলায় নিঁেখাজ নারী জেলে আসমা বেগমের (২৩) সন্ধান মেলেনি। বুধবার সকালে তেতুলবাড়িয়া এলাকার পায়রা নদীতে কয়েকজন নারী সরকার নিষিদ্ধ মশারী জাল দিয়ে চিংড়ির রেনু ধরছিল।

এসময় তালতলী কোস্টগার্ডের সদস্যরা রেনু পোনা ধরার নিষিদ্ধ জাল তুলে নেওয়ার চেষ্টা করে। জেলেরা এসময় বাঁধা দিলে কোষ্টগার্ডের সদস্যরা  জোবায়দা বেগম (৪৫) ও কদভানু বেগমকে (৫০) পিটিয়ে আহত করে।

হামলার সময় আসমা (২৩) নামে এক নারী জেলে নিখোঁজ হয়। হামলার পর কোস্টগর্ডের সদস্যরা জোবায়দাকে তাদের ট্রলারে তুলে নিয়ে  আহত অবস্থায় নলবুনিয়ার চরে ফেলে রেখে যায়। জেলেরা জোবায়দাকে নলবুনিয়ার চর এলাকা এবং কদভানুকে ঘটনাস্থল তেঁতুলবাড়িয়া  থেকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে  প্রথমে তালতলী হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রাতে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।

আহতদের বাড়ি তেতুল বাড়িয়া গ্রামে। নিখোঁজ আসমা স্বামী বাবুলের সাথে ঢাকায় বসবাস করেন। সপ্তাহখানেক আগে ফুফু জোবায়দার বাড়িতে বেড়াতে এসে নিখোঁজ হন।
প্রত্যাক্ষ্য দর্শী জেলেরা জানান,কোস্টগার্ডের পেটি অফিসার মো: শামীম আখতার নেতৃত্বে, বুধবার বেলা ১১টার দিকে  একটি ট্রলার নিয়ে পায়রা নদীর তেতুলবাড়িয়া এলাকায় সরকার ঘোষিত মশারি জাল দিয়ে চিংড়ির রেনু পোনা ধরা জাল উদ্ধারের অভিযান পরিচালনা করে। এসময় ওই এলাকার জোবায়দা, আসমা এবং কদভানু তাদের বাঁধা দেয়। এনিয়ে  কোস্টগার্ডেও সদস্যরা তাঁদের বেধরক লাঠি পেটা করে আহত করে।  ওই সময় আহত অবস্থায় বোবায়দাকে ট্রলারে তুলে কোস্টগর্ডের সদস্যরা নিয়ে যায়। বিকেল ২টার দিকে তাকে নলবুনিয়ার চর থেকে উদ্ধার করা হয় কিন্তু আসমাকে এখনো পাওয়া যায়নি। তেতুল বাড়িয়া গ্রামের গ্রাম পুলিশ মো: সেলিম মিয়া জানান, বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত আসমাকে কোথাও খুজেঁ পাওয়া যায়নি।
কোস্টগার্ডের সখিনা বিটের পেটি অফিসার মো: শামীম আখতার বলেন, অবৈধ জাল উদ্ধার করতে গেলে জেলেরা আমাদের ঘিরে  ফেলে এসময় আমরা নিজেদের আত্মরক্ষার্থে সামান্য লাঠি পেটা করে তাদের ছত্রভঙ্গ করি। এসময় আসমা নামে কেউ নিখোঁজ হয়নি। এটা গুঁজব ছরানো ছাড়া আর কিছুই নয়।
তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাবুল আখতার জানান, ঁেতুলবাড়িয়া গ্রামের আসমা নামে কেউ নিখোঁজ নেই এবিষয়ে আমার কাছে কেউ কোন অভিযোগ করেনি। বর্তমানে ওই এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

5 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন