২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

ইউএস-বাংলা বিধ্বস্তে নিহত অন্তত ৫০

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৮:০৩ অপরাহ্ণ, ১২ মার্চ ২০১৮

নেপালের কাঠমান্ডুতে ঢাকা থেকে যাওয়া ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে অন্তত ৫০ জন নিহত হয়েছেন। দেশটির ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উদ্ধারকারী দলের নেতৃত্বে থাকা নেপালের সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্রের বরাত দিয়ে এ কথা জানিয়েছে রয়টার্স।

ত্রিভুবন এয়ারপোর্ট স্থানীয় সময় ২টা ২০ মিনিটে বিএস-২১১ ফ্লাইটটি অবতরণের মুখে বিধ্বস্ত হয়। ঘটনার পরপরই বিমান বন্দর থেকে একজন প্রত্যক্ষদর্শী সারাবাংলাকে ফ্লাইটটি বিধ্বস্ত হওয়ার খবর টেলিফোনে জানান।

নেপালের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম থেকেও এই দুর্ঘটনার খবর প্রকাশিত হতে থাকে। সবশেষ তথ্যে জানা যাচ্ছে- ফ্লাইটিতে ৬৭ জন আরোহী ছিলেন। আর ক্রু ছিলেন ৪ জন। দেশটির ট্যুরিজম মিনিস্ট্রিম যুগ্নসচিব সুরেশ আচার্যের বরাত দিয়ে কাঠমাণ্ডু পোস্ট জানায়, আরোহীদের মধ্যে ৩৭ জন পুরুষ ২৭ জন নারী ও তিনটি শিশু ছিলো।

নেপালের সিভিল অ্যাভিয়েশনের মহাপরিচালক সঞ্জীব গৌতমকে উদ্ধৃত করে কাঠমাণ্ডু পোস্ট জানায়, অবতরণের সময়ে বেশ অস্বাভাবিক আচরণ দেখা যায় ফ্লাইটিতে। সেটি অনেকটা নিয়ন্ত্রণহীন ছিলো। রানওয়ের দক্ষিণ দিকে অবতরণের অনুমতিও দেওয়া হয়েছিলো। কিন্তু দক্ষিণ দিকের অনুমতি নিয়ে সেটি উত্তর দিকের রানওয়েতে ল্যান্ড করে।

তিনি সন্দেহ করছেন, কোনও কারিগরি ত্রুটির কারণেই এমনটা ঘটেছে। তবে দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ এখনো জানা যায়নি।

টেলিভিশনের খবরে আরও বলা হয়েছে, উড়োজাহাজটি ক্যাপ্টেন বেঁচে আছেন। ঢাকা থেকে পাওয়া তথ্যে জানা যাচ্ছে- ক্যাপ্টেন হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন আবেদ সুলতান। আর পাইলটের সহকারী হিসাবে ছিলেন একজন নারী। যিনি মারা গেছেন বলেই ধারনা করা হচ্ছে।

ত্রিভুবন বিমান বন্দর কর্তৃপক্ষ ও নেপাল সেনাবাহিনীর সদস্যরা উদ্ধার কাজ চালান। দুর্ঘটনার পর থেকেই বিমানবন্দরের সব উড়ান সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছে।

এর আগে ১৯৯২ সালে ত্রিভুবন বিমানবন্দরে অবতরণের সময় বিধ্বস্ত হলে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটের ৫৬ জন আরোহীর সকলেই নিহত হন।

4 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন