২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বুধবার

উজিরপুরে রিটার্নিং অফিসারকে অপসারণের দাবি

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৮:৩৯ অপরাহ্ণ, ১৯ মার্চ ২০১৬

উজিরপুর: উজিরপুরের বড়াকোঠায় সরকারদলীয় প্রার্থী ব্যতিত ৪ চেয়ারম্যান প্রার্থী একযোগে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে রিটার্নিং অফিসার, প্রিজাইডিং ও সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারসহ নির্বাচনের দায়িত্বে নিয়োজিত সকল কর্মকর্তাদের পরিবর্তন করে নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের দায়িত্বে বসিয়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবী জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন।

 

১৯ মার্চ শনিবার বিকেলে ইউনিয়নের ডাবেরকুল বন্দরে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। এ সময় বিএনপির ধানেরশীষ প্রতীকের মনোনীত প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ ফিরোজ হোসেন অভিযোগ করে বলেন, ইতিমধ্যে সরকার দলীয় প্রার্থীর সমর্থকরা ভোটকেন্দ্রে ভোট ডাকাতি করে নেয়ার হুমকি প্রদান করে। এমনকি আওয়ামীলীগের শিক্ষকদের নির্বাচনী কর্মকর্তা বানিয়ে দলীয় প্রার্থীকে বিজয়ী করার চক্রান্ত চলছে।

 

 

এ ছাড়া দেখিয়ে ভোট দিতে হবে বলে ভয়ভীতি দেখান। এ সময় আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহ আলম হাওলাদার বলেন, নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এ্যাডঃ সহিদুল ইসলামের আস্থাভাজন, নিকট আত্মীয় ব্যক্তিদের প্রিজাইডিং ও সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে রিটার্নিং অফিসার সহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। নির্বাচনে সরকার দলীয় প্রার্থীকে বিজয়ী করার লক্ষ্যে মিশনে নেমেছে।

 

তাই অনতিবিলম্বে এই কর্মকর্তাদের পরিবর্তন করে নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের দায়িত্বে বসানোর দাবী জানান। ওয়ার্কার্স পার্টির হাতুড়ী মার্কার মনোনীত প্রার্থী রফিকুল ইসলাম বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অঙ্গীকার করেছিলেন আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব। তার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন নির্দেশ দিয়েছেন, অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন হবে।

 

 

কাউকে ভোট চুরি করতে দেয়া হবে না। ভোট চুরি করলে দাঁত ভাঙ্গা জবাব দেয়া হবে। ইসলামী আন্দোলন (চরমোনাই) হাত পাখা মার্কার মনোনীত প্রার্থী এনায়েত হোসেন তালুকদার বলেন, জনগণ স্বাধীণ ভাবে যার ভোট সে দেবে, যিনি বিজয়ী হবেন আমরা তা মেনে নেব। নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ তাদের যোগ্য প্রার্থীকে বেছে নেবে। ইতিমধ্যে ভোট ডাকাতির নীল নক্সা হিসেবে তারা ৫টি সেন্টার বেছে নিয়েছে। ৫নং ওয়ার্ডের ডাবেরকুল সেন্টার, ৬নং ওয়ার্ডের মালিকান্দা সেন্টার, ৭নং ওয়ার্ডের নরসিংহা সেন্টার, ৮নং ওয়ার্ডের সাকরাল সেন্টার ও ৯নং ওয়ার্ডের গড়িয়া সেন্টার অধিক ঝুঁকিপূর্ণ বলে আমরা মনে করি। নির্বাচনের পূর্বে এই সেন্টার গুলি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে অসৎ কর্মকর্তাদের পরিবর্তন করে নির্বাচন অনুষ্ঠানের আহবান জানান।

8 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন