২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

একজন পুলিশের জন্য বরিশালবাসীর কান্না!

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৭:৩৪ অপরাহ্ণ, ১০ মে ২০১৮

বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ছিলেন এস এম রুহুল আমিন। ১২ এপ্রিল বদলী আদেশ পান তিনি। বরিশালে তার শেষ কর্ম দিবস ছিলো ৩০ এপ্রিল। সহকর্মী, সুধীজন এবং আপমর জনগনের ভালবাসা ও শ্রদ্ধায় সিক্ত হয়ে, অনেককে কাঁদিয়ে তিনি বরিশাল ত্যাগ করেন ১ মে দুপুরে। ৯ মে ডিআইজি হিসেবে পুলিশ হেডকোয়াটার্সে যোগ দিয়েছেন এস এম রুহুল আমিন।

দূর থেকে দেখলে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার এস এম রুহুল আমিনের বদলী অতি সাধারণ বিষয়; ধর্তব্যের মধ্যে নেবার মতো তেমন কিছু নয়। কিন্তু গভীরভাবে বিবেচনা করলে বোঝা যাবে, বিষয়টি মোটেই সাধারণ নয়। আর এস এম রুহুল আমিন বিবেচিত হতে পারেন পুলিশ বিভাগের সাফল্যের এক রোল মডেল হিসেবে। বরিশালবাসীর ধারণা, ২০০৬ সালে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ-এর যাত্রা শুরু হলেও নানান বিবেচনায় এর দৃশ্যমান উন্নয়ন হয়েছে এস এম রুহুল আমিনের আমলে, তার কেরিসমেটিক নেতৃত্বে। বরিশাল মেট্রোপলিটন এলাকার আয়তন হচ্ছে ৩৮৩ বর্গ কিলোটিার, এর মধ্যে শহর এলাকা ৫৮ বর্গ কিলোমিটার এবং গ্রাম ২৫৫ বর্গ কিলো মিটার; লোক সংখ্যা প্রায় ৩ লাখ ২৮ হাজার। ১১ বছর ৫ মাস বয়সী বিএমপি’র দশম কমিশনার ছিলেন এস এম রুহুল আমিনের ।

এস এম রুহুল আমিন, একজন পুলিশ কর্মকর্তা। চাকরি সূত্রে এটিই তার প্রধান পরিচয়। এমনটি না হয়ে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক হতে পারতেন; তিনি এ বিভাগেরই মেধাবী ছাত্র। নিদেন পক্ষে যোগ দিতেন ফরেন সার্ভিসে; যেটি তার লক্ষ্য ছিলো বলে জানা যায়। কিন্তু ঘটনাচক্রে যোগদিয়েছেন পুলিশ সার্ভিসে। কাজেই তিনি পুলিশ! আর আমাদের দেশে বৃটিশ রাজ থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত পুলিশের একটি নেতিবাচক ইমেজ দাঁড়িয়ে আছে। যদিও এ তকমা থেকে অনেকটাই উঠে এসেছে প্রতিদিন, এমনকি প্রতি মুহুর্তে অতি প্রয়োজনীয় এ বাহিনীটি। কিন্তু এরপরও কতিপয় কর্মকর্তা ও সদস্যের কারণে রাষ্ট্রের এ বাহিনীটিকে প্রায়ই পুরনো ইমেজের বলয়ে ঘুরপাক খেতে হয়। এদিকে প্রতিটি সরকারই নিজস্ব লাঠিয়াল মনে করে রাষ্ট্রের এ বাহিনীকে। এর ফলে ক্ষতিগ্রস্থ হয় দেশ-জাতি; মূল্য দিতে হয় বিশাল পুলিশ বাহিনীকে। এর সঙ্গে আলোচিত ডিআইজি মিজানদের অপকর্মের নেতিবাচক প্রভাবতো আছেই।

বৈরী এই বাস্তবতার মধ্যে থেকেই বরিশালে পুলিশ কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে পুলিশের অনন্য এক চিত্রকল্প তৈরী করেছেন এস এম রুহুল আমিন। এ ব্যাপারে তার কলেজ জীবনের বন্ধু সাবেক ছাত্র নেতা মুহাম্মদ আব্দুল্লাহহিল কাইয়ুম যোগাযোগ মাধ্যমে মন্তব্য করেছেন, “গণবিরোধী সিস্টেমের মধ্যেও ইচ্ছা করলে যে মানুষের জন্য করা যায়, রুহুল আমিন তা প্রমান করেছেন।”

বরিশাল থেকে এস এম রুহুল আমিনের বদলীর ঘটনায় তার অনেক বন্ধু সহকর্মী বিস্মিত। এদিকে এস এম রুহুল আমিনের জন্য বরিশালে এক অর্থে চলছে হাহাকার। অনেকেই মনে করেন, নগরবাসীর সুখের নিদ্রা এই টুটলো বলে! যে কথা কেউ কেউ মুখ ফুটে বলেছেনও কোতয়ালী মডেল থানায় আয়োজিত এক বিদায় অনুষ্ঠানে ২৮ এপ্রিল সন্ধ্যায়। বিবেচনায় রাখা প্রয়োজন, একসময় অপ্রতিরোধ্য কতিপয় সন্ত্রাসীর কারণে শান্তিপ্রিয় এই জনপদ অশান্তির এলাকা হিসেবে পরিচিত ছিলো। এ অবস্থার অবসান ঘটিয়েছিলেন ২২ মাস মেয়াদের পুলিশ কমিশনার এস এম রুহুল আমিন। তার বদলির সিঙ্গেল আদেশ জারি এবং ১ মে তার বরিশাল ত্যাগ করার পর নানান আশংকায় ঘুরপাক খাচ্ছে বরিশালের মানুষ। তা হলে কি আবার সেই সময় ফিরে আসবে! যার অনেক পুরনো ছবি কিছুটা তুলে ধরেছেন বিএমপি’র অতিরিক্ত কমিশনার মাহফুজুর রহমান, তিনি বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কমিশনার।

বরিশালের সামাজিক ও রাজনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে যাদের সামান্য ধারণাও আছে তারা বুঝবেন, কাজটি মোটেই সহজসাধ্য ছিলো না। বরং খুবই কঠিন। বরিশালে এর আগে এটি কেউ করার চেষ্টা করেছেন বলে জানা যায়নি। তবে হয়তো চেষ্টা করেছেন; আর নিশ্চিতভাবে বলা চলে, অজনা এ প্রয়াস ঝড়ে গেছে মুকুলেই। ফুল না ফুটলে তা কি কারো নজরে আসে? এদিকে এক অর্থে অপরাধের নগরী হিসেবে পরিচিত বরিশাল নগরিতে শান্তির ফুল ফুটিয়েছেন বিএমপি কমিশনার এস এম রুহুল আমিন। তবে এজন্য হয়তো তাকে কাটার জ্বালাও ভোগ করতে হয়েছে, এটিই স্বাভাবিক। কিন্তু তিনি যে পিছ পা হননি তার স্পষ্ট চিত্র ফুটে উঠেছে ২২ মাসের পরিসংখ্যানে।

প্রাপ্ত পরিসংখ্যানে জানা যায়, ২০১৫ সাল থেকে চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত ডাকাতি, দস্যুতা, খুন, নারী নির্যাতন, অপহরণ ও মাদকদ্রব্য উদ্ধার সংক্রান্ত মামলাগুলোর অভিযোগপত্র দাখিলের হার বেড়েছে এবং ফাইনাল রিপোর্ট প্রদানের হার ক্রমান্বয়ে কমেছে। ডাকাতি মামলায় ২০১৬ সালে অভিযোগপত্র দাখিল হয়েছে একশ’ ভাগ; ২০১৫ সালে যা ছিলো পঞ্চাশ শতাংশ। বরিশাল মেট্রোপলিটন এলাকায় ২০১৭ সালে মাত্র একটি ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে; চলতি বছরের এপ্রিল মাস পর্যন্ত যা রয়েছে শূন্যের কোঠায়। দস্যুতা মামলার ক্ষেত্রে ২০১৫ সাল থেকে ২০১৮ সালে হাল নাগাদ মামলার রহস্য উদঘাটনের হার ক্রমান্বয়ে বেড়েছে। এ ক্ষেত্রে ২০১৫ সালে চার্জশীট দাখিলের হার ছিলো ৭২ দশমিক ৭৩ শতাংশ। ২০১৬ ও ২০১৭ তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ এবং চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত এ হার শতভাগ। খুন মামলার ক্ষেত্রে ২০১৫ সাল থেকে ২০১৮ সালের এপ্রিল পর্যন্ত চার্জশীট প্রদানের হার বেড়েছে। এ চার বছরে যা যথাক্রমে ৭৮ দশমিক ৭০, ৮১ দশমিক ৩৭, ৮৫ দশমিক ৫২ এবং ৮৮ দশমিক ৮৮ ভাগ। এদিকে নারী নির্যাতন মামলায়ও অভিযোগপত্র দাখিলের হার বেড়েছে। ২০১৫ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত চার বছরে যা যথাক্রমে ৭৮ দশমিক ৭০, ৮১ দশমিক ৩৭, ৮৪ দশমিক ৫২ এবং ৮৮ দশমিক ৮৮ ভাগ। মাদকদ্রব্য সংক্রান্ত অপরাধ মামলায় ২০১৫ সালে থেকে ২০১৮ সালের মার্চ পর্যন্ত নিষ্পত্তিকৃত মামলাগুলোর অভিযোগপত্র দাখিলের হার একশ’ ভাগ।

বরিশাল মহানগরীর মতো অপরাধ প্রবন একটি এলাকাকে পাল্টে দেবার ক্ষেত্রে কতিপয় বাস্তবতা কাজ করেছে। সূত্র মতে, বরিশালে পুলিশ কমিশনার হিসেবে নিয়োগ লাভের ক্ষেত্রে এস এম রুহুর আমিনের জন্য কোন তব্দিরকারী ছিলেন না, গোপালগঞ্জের ‘আদি সন্তান’ হিসেবেও কোন সুবিধা নেবার চেষ্টা করেননি। তিনি বরিশালের পোস্টিং আকড়ে থাকতেও চাননি। এ কারণে পুলিশ কমিশনার রুহুর আমিন কোন ব্যক্তিবিশেষের কাছে ছিলেন না দায়বদ্ধ; ফলে রাষ্ট্রের প্রতি পুরো অনুগত থেকে পেশার প্রতি পুরোটা দায়বদ্ধ হিসেবে কাজ করতে পেয়েছেন। সামগ্রিক বাস্তবতায় কেউ তার কাছে অনৈতিক তব্দির নিয়ে যাবার ভরসা পায়নি, তাকে ঘাটাবারও সাহস পায়নি কেউ। তবে তার বিরুদ্ধে কোন কেন্দ্র থেকে যে ষড়যন্ত্র করা হয়নি- তা কিন্তু ভাবা ঠিক হবে না।

আরো ধারণা করা হয়, গড্ডলিকা প্রবাহের বিপরীতে দাঁড়িয়ে পূর্ণ পেশাদার পুলিশের ভূমিকায় থাকার কারণেই বরিশালে এস এম রুহুল আমিন জনসমর্থন পেয়েছেন, পাশাপাশি বিভিন্ন অপশক্তির টার্গেটে পরিনত হয়েছেন। তবে তাকে দমিয়ে রাখা যায়নি। বরং তিনি নগরবাসী ও সহকর্মীদের আস্থায় নিয়ে এগিয়ে গেছেন। তিনি অফিসারদের চেতনার উন্নতি করার বিষয়ে জোর দিয়েছেন সর্ব প্রথম। ফলে তার সিদ্ধান্তগুলো সর্বোচ্চ মাত্রায় কার্যকর হয়েছে। স্বল্পতম সময়ের মধ্যে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ ও অপরাধী গ্রেফতারের মাধ্যমে পরবর্তী অপরাধ সংঘটনকে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। পাশাপাশি সাধারণ মানুষ এবং অপরাধীদের কাছে স্পষ্ট বার্তা পৌছে গেছে, কুমিরে ছাড়লেও রুহুল আমিন ছাড়ে না! অপরাধ করলে ধরা পড়তেই হবে; তা সাবেক কোন মন্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা হলেও ছাড় নেই।

আবার আসামী ধরে আদালতে সোপর্দ করে হাত পা গুটিয়ে থাকেননি পুলিশ কমিশনার এস এম রুহুল আমিন। মামলা রুজু করা থেকে শুরু করে অপরাধের রহস্য উদঘাটন, আসামী গ্রেফতার, ন্যায় বিচার প্রাপ্তি নিশ্চিত করার জন্য আদালতে রিপোর্ট প্রদান এবং মামলা নিষ্পত্তিতে আদালতে সাক্ষী হাজির করাসহ সকল কাজে পুলিশ যথাযথভাবে ভূমিকা রেখেছে। এ ব্যাপারে নিরবিচ্ছিন্ন মনিটরিং-এর জন্য পুলিশ লাইন্সের রিজার্ভ অফিসে উর্ধ্বতন কর্মকর্তার নেতৃত্বে একটি মনিটরিং সেল গঠন করা হয়েছিলো। এ সেলের মাধ্যমে আদালতের সাথে সমন্বয় করে আইও সাক্ষী এবং এমও সাক্ষীসহ অন্যান্য সাক্ষীদের হাজিরা নিশ্চিত করে বিচার কাজ ত্বরান্বিত্ব করার ক্ষেত্রে ভুমিকা রেখেছে বরিশাল মহানগর পুলিশ। সাক্ষীরা সাক্ষ্য দিতে এসে আদালত প্রাঙ্গণ থেকে যাতে ফেরত না যায় সে ব্যাপারেও আদালত ও পিপিদের সাথে সমন্বয় করেছে বরিশাল মহানগর পুলিশ। ফলে আদালতে আসামীদের সাজার হার লক্ষনীয়ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

২০১৬ সাল থেকে ২০১৮ সালের প্রথম তিন মাসে আদালতে সাজা ও খালাসের পরিসংখ্যান পর্যলোচনা করলে একটি পরিস্কার চিত্র পাওয়া যাবে। ২০১৬ সালে সাজার হার ছিলো ১৮ দশমিক ৫৮ ভাগ; ২০১৭ সালে তা প্রায় দ্বিগুণ বেড়ে দাঁড়ায় ৩৫ দশমিক ৫৮ শতাংশ। ২০১৮ সালের প্রথম তিন মাসে এ পরিসংখ্যান দাড়িয়েছে ৫৫ দশমিক ২৪ শতাংশ। অথচ সারা দেশে গড় সাজার হার হচ্ছে মাত্র ১৫ শতাংশ।

সুপারভিশনের দায়িত্বে নিয়োজিত সহকর্মীদের মটিভেট করার পাশাপাশি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ করে তোলার চেষ্টা করেছেন বরিশালের পুলিশ কমিশনার এস এম রুহুর আমিন। সূত্র মতে, গত দুই বছরে ৮৬ জন তদন্তকারী কর্মকর্তাকে উন্নততর তদন্ত কার্যক্রমের উপর প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। একই সময় ৩০ থেকে ৩৫ জন পুলিশের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মাত্রায় শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও গ্রহন করা হয়েছে। প্রায় ৩০ জন বিসিএস কর্মকর্তাসহ বরিশাল মহানগর পুলিশে জনবল দুই হাজারের বেশি। তাদের মর্যাদা বৃদ্ধি এবং জীবন মানের উন্নয়নে নানান উদ্যোগ নিয়েছেন এস এম রুহুল আমিন।

বরিশালের পুলিশ কমিশনার থাকাকালে এস এম রুহুল আমিন কতটা অবদান রেখেছেন তার একটি নমুনা পাওয়া যায় বয়োবৃদ্ধ জনৈক শামসুল হক আকন্দ ওরফে শামসু মিয়ার বক্তব্যে। তার বয়স আশির এপাশ-ওপাশ; তবে ওপাশে হবার সম্ভাবনাই বেশি। এই ভদ্রলোক তেমন বিশিষ্ট কেউ নন, আলেকান্দা শিকদার পাড়ায় তার বাড়ি। ২২ এপ্রিল পুলিশ কমিশনার এস এম রুহুল আমিনের সাথে দেখা করতে এসেছিলেন; নিজের কোন প্রয়োজনে নয়। বদলির খবর পত্রিকায় দেখে তিনি ছিলেন বিক্ষুব্ধ। তার মতে পুলিশ কমিশনার রুহুল আমিন গত দুবছর ক্ষমতাধর ও গুন্ডাদের অত্যাচার থেকে সাধারণ মানুষকে আগলে রেখেছেন। এ সময়ে গুন্ডারা নাকি সব গর্তে ঢুকেছিল। বেশ রাগত স্বরে তিনি জানতে চেয়েছিলেন, কে বা কারা তাকে বদলী করিয়েছে? একই প্রশ্ন কিন্তু বরিশালবাসীরও! এ বাপারে বাতাসের খবর, বরিশাল থেকে এস এম রুহুল আমিনের বিদায়ের ক্ষেত্রে কাজ করেছে কৃষিবিদ লবিং এবং নেপথ্যের কুশিলব ছিলেন পুলিশেরই এক কর্মকর্তা!

এদিকে বরিশালের সাবেক এক পুলিশ কমিশনার পুনরায় পোস্টিং লাভের জেন্য জোর লবিং চালাচ্ছেন। বরিশালের পুলিশ কমিশনার হিসেবে পোস্টিং লাভের জন্য জোর তৎপরতা চালানো এ কর্মকর্তার সময় বরিশাল জুয়ার নগরীতে পরিণত হয়েছিলো। এরপর এক পুলিশ সদস্যের স্ত্রীর আত্মহত্যার বিষয় নিয়ে এক তদন্তের আওতায়ও আছেন তিনি; এ ক্ষেত্রে সূত্র হচ্ছে সুইসাইডাল নোট। একই পদে পোস্টিং লাভের জন্য আরও একজন লবিং করছেন, যিনি এখনো ডিআইজি হতে পারেনি। যদিও জুনিয়রদের দ্বারা সুপারসিটেড হয়েছেন।

লেখক: আলম রায়হান, সিনিয়র সাংবাদিক

5 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন