২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

এক বধূ নিয়ে দুই স্বামীর কাড়াকাড়ি !

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৭:১৭ অপরাহ্ণ, ১৮ মে ২০১৬

এটা কোন বাংলা সিনেমা কিংবা নাটকের ঘটনা নয়। পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া থানায় সতের বছরের কিশোরী বধূ ফাতিমাকে স্ত্রী দাবী করে দুই যুবক রাসেল ও মিলনের মধ্যে টানা হেচড়া চলছে। ফাতিমা তুমি কার? হয়তো একথা বলার প্রয়োজন পড়তো না যদি ফাতিমা এক স্বামীর সংসারে থাকতো। কিন্তু দুই স্বামী নিজের বউ দাবী করে রশি টানাটানি করায় সত্যি বলতে হচ্ছে ফাতিমা তুমি কার স্ত্রী? বিষয়টি সমাধানে একাধিকবার গ্রাম্য সালিসে ব্যর্থ হওয়ার পর রাসেল মেয়েটিকে নিয়ে মঠবাড়িয়ায় এক আত্মী

 

য়ের বাড়িতে ওঠে। সেখানে অপর যুবক মিলন মঙ্গলবার (১৭মে) লোকজন নিয়ে হানা দিলে অবশেষে বিষয়টি রাতে মঠবাড়িয়া থানা পুলিশে গড়ায়।
এলাকাবাসী সূত্রে জানাগেছে, ফাতিমার বাবা নাসির হাওলাদার তার স্ত্রী ফাতিমার মা রেহেনা বেগমকে ১১বছর পূর্বে তালাক দিলে সন্তানদের নিয়ে রেহেনা বেগম বাবার বাড়িতে বসবাস করে আসছে। ফাতিমা যখন নবম শ্রেনীর ছাত্রী তখন কামাল নামের এক যুবকের সাথে তার বিয়ে হয়। সেখান থেকে অর্থলোভী মা তাকে ডিভোর্স করায়। পরবর্তীতে পাথরঘাটার থানার কাকছিড়ার খাসতবক গ্রামের মন্টু মিয়ার ছেলে মাইক্রো গাড়ি চালক রাসেল (২৪) এর সাথে প্রেমের সূত্র ধরে ৩মাস পূর্বে বেতাগী থানার কাউনিয়া গ্রামের নাসির হাওলাদারের মেয়ে কলেজ পড়ুয়া ফাতিমা আক্তার (১৭)এর বিয়ে হয়। বিয়ের পর ফাতিমার লেখা-পড়ার সুবাদে তার মায়ের কাছে থাকতো।
স্বামী থাকা অবস্থায় শাশুড়ি রেহানা বেগম স্বার্থের কাছে বিক্রি হয়ে এক মাস পূর্বে বেতাগী থানার কাউনিয়া গ্রামের হযরত আলীর ছেলে দুবাই প্রবাসী মিলন (৩২) নামের এক যুবকের কাছে তার মেয়েকে বিয়ে দেয়।
রাসেল সাংবাদিকদের জানান, ‘আমার শাশুড়ি একজন অর্থলোভী মহিলা হওয়ায় স্ত্রীকে বিষাক্ত ইনজেকশন পুশ করে দুবাই প্রবাসী মিলনের সাথে জোর পূর্বক বিয়ে দেয়। এর ৩দিন পরে ফাতিমা আক্তার আমার কাছে চলে আসে। রাসেল দাবী করেন, ফাতিমা আমার বৈধ স্ত্রী। আমি তাকে ফিরে পেতে চাই।’
এদিকে নতুন স্বামী দাবীদার মিলন বলেন, ‘আমি দুবাই থাকা অবস্থায় ফাতিমার সাথে আমার সম্পর্ক। তার লেখা-পড়ার খরচ আমি বিদেশ থেকে পাঠিয়েছি। বিয়ের বয়স হয়নি বিধায় আমি অপেক্ষা করি। পরে বিদেশ থেকে দেশে এসে গত ১৮এপ্রিল আমি ফাতিমাকে রেজিষ্ট্রিকৃত কাবিনে বিয়ে করি। বিয়ের ৩দিন পর ফাতিমা রাসেলের কাছে চলে যায়। ফাতিমা আমার স্ত্রী। আমি তাকে স্ত্রী হিসেবে পেতে চাই।’
এ ঘটনার মূল নায়িকা ফাতিমা আক্তার বলেন, ‘আমি রাসেলের স্ত্রী। আমার লোভী মা টাকার বিনিময়ে আমাকে মিলনের সাথে জোর করে বিয়ে দিয়ে দিয়েছিল। আমি মিলনকে ডিভোর্স দিয়ে রাসেলের কাছে চলে আসি। পুনঃরায় রাসেলকে বিয়ে করি। রাসেলই আমার বৈধ স্বামী। আমি রাসেলের সাথে যেতে চাই।’
মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, এক মেয়েকে দু’জন স্বামী হিসেবে দাবী করায় । তাই মেয়েটির মূল অভিভাবক তার বাবার কাছে বুধবার দুপুরে তাকে হস্তান্তর করা হয়েছে।

3 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন