২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

এমপি পঙ্কজ দেবনাথের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৪:৫৩ অপরাহ্ণ, ২৪ জুন ২০১৮

বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জের সাবেক ইউপি সদস্য সঞ্জয় চন্দ্রকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে এমপি পঙ্কজ নাথসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আজ রোববার (২৪ জুন) বরিশাল চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে কাজীরহাটের বিদ্যানন্দপুরের ৫ নম্বর পূর্ব রতনপুরের সাবেক ইউপি সদস্য শ্রী সঞ্জয় চন্দ্র বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারক গোলাম ফারুক মামলাটি আমলে নিয়ে মেহেন্দিগঞ্জের সার্কেল এসপিকে অনুসন্ধান প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

এই মামলার অপর আসামীরা হলেন, চরহোগলা এলাকার জাকির হোসেনের পুত্র আমু, হারুন বেপারীর ছেলে সোহাগ বেপারী ও হারুন খন্দকারের ছেলে রিমন খন্দকারসহ অজ্ঞাত আরও তিন জন।

আদালত সূত্র অভিযোগের বরাত দিয়ে জানিয়েছে- সঞ্জয় এমপি পঙ্কজ নাথের ছোট ভাই ও তার স্ত্রীসহ ৪১ জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) মামলা দায়ের করেন। এতে আসামীরা ক্ষিপ্ত হয়ে বাদী সঞ্জয়কে বিভিন্ন সময় খুন ও গুমের হুমকি দিয়ে আসছে। এ ঘটনায় সঞ্জয় চন্দ্র বাদী হয়ে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। এতে এমপি পঙ্কজ নাথ আরও বেশি ক্ষিপ্ত হয়ে গত ১২ জুন রাত ১১ টায় আসামী আমু, সোহাগ বেপারী, রিমনসহ তিন চার জনকে তাকে (সঞ্জয়) নিতে পাঠান। সঞ্জয় না যেতে চাইলে জোর করে মেহেন্দীগঞ্জ ডাক বাংলয়ে নিয়ে যায়।

সেখানে এমপি পঙ্কজ নাথ সঞ্জয়কে বলেন, দুদকের মামলার কি করবি? এ কথার সাথে সাথে অন্যান্য আসামীরা তাকে মারধর করতে থাকেন। এ সময় এমপি পঙ্কজ নাথ তাকে চর থাপ্পর, লাথি এবং পা দিয়ে সঞ্জয়ের মুখ চেপে ধরে। পরে আসামীদেরকে হুমকি দেয় সঞ্জয়ের হাত-পা ভেঙে নদীতে ফেলে দে। যাতে সে আর সাতার কেটে না উঠতে পারে। এরপর বাদীকে আসামীরা এলোপাতারি মারধর করে। পরে সঞ্জয় অজ্ঞান হওয়ার ভান ধরে থাকেন।

আসামীরা রাত সাড়ে ১২ টার দিকে মাঝকাটা নদীতে ফেলে দেয় সঞ্জয়কে। এরপরে অন্যান্য সাক্ষীরা বাদীকে খোঁজাখুঁজি করে নদীর তীরে খুঁজে পায়। পরের দিন বাদীকে মেহেন্দিগঞ্জ স্বাস্থ্য কেন্দ্র নিয়ে যাওয়ার জন্য রওনা হলে আসামীরা যেতে বাঁধা দেয়। হাতুরে ডাক্তারের চিকিৎসা নেয় সঞ্জয়।

পরে বিষয়টি বরিশালের পুলিশ সুপারকে জানালে তিনি কাজীরহাট থানার ওসিকে সঞ্জয়ের চিকিৎসার ব্যাপারে সহযোগিতা করার জন্য নির্দেশ দেন। এরপরে পুলিশের সহযোগিতায় বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে গত ১৭ জুন ভর্তি হন সঞ্জয়। কিছুটা সুস্থ্য হয়ে আজ রোববার তিনি আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।’

0 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন