১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

কলকাতায় গেল মাশরাফিরা

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৭:২২ পূর্বাহ্ণ, ১৫ মার্চ ২০১৬

ওমানের বিরুদ্ধে ম্যাচটা শেষ হতে হতে মাঝ রাত হয়ে গিয়েছিল। ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলন শেষে হোটেলে ফিরতে ফিরতে রাত ১টা। সুপার টেন পর্বে উন্নীত হওয়ার আনন্দটা সেভাবে উদযাপনের সুযোগ পায়নি বাংলাদেশ দল। কারণ সোমবার দুপুরে আবার চড়তে হয়েছে কলকাতার ফ্লাইটে। স্থানীয় সময় ১টায় কলকাতার বিমানে চেপে বসে মাশরাফির দল।
দল সূত্রে জানা গেছে, কলকাতায় পৌঁছে সোমবার কোনো অনুশীলন করেনি বাংলাদেশ দল। বিশ্রামেই সময়টা কাটিয়েছে টাইগাররা। ব্যস্ত সময়ের মধ্য দিয়ে দিন পার করতে হচ্ছে ক্রিকেটারদের। কারণ ১৬ মার্চ, বুধবার সুপার টেন পর্বের প্রথম ম্যাচে আবার মাঠে নামতে হবে মাশরাফি বাহিনীকে। একদিনের অনুশীলনকে সম্বল করেই পাকিস্তানের মুখোমুখি হতে হচ্ছে বাংলাদেশ। কলকাতার ইডেন গার্ডেনে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে।
প্রথম পর্বের মতোই সুপার টেনে নিজেদের পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চায় টাইগাররা। অনুশীলনের কমতি থাকলেও দলটা পুরো আত্মবিশ্বাসী এ পর্বে ভালো কিছু করতে। সদ্য সমাপ্ত এশিয়া কাপে পাকিস্তানকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। দুদলের সর্বশেষ দুটি লড়াইয়েই জয়ের স্মৃতি বাংলাদেশের দখলে। তবে পাকিস্তানের সঙ্গে অতীতের সুখস্মৃতি ১৬ মার্চ খুব বেশি প্রভাব ফেলবে না বলেই বিশ্বাস অধিনায়ক মাশরাফির। তিনি বলেছেন, “আমার মনে হয় না কাজে লাগবে। অন্তত আমার তাই মনে হয়। হয়তো আগের ম্যাচের রান, উইকেট আপনাকে আত্মবিশ্বাস দিতে পারে। তারপরও সবই নতুন দিন, নতুন একটা ম্যাচ। নতুনভাবে শুরু করতে হয়। আমাদের বাড়ির কাছে হলেও আমরা সেখানে আগে খেলিনি। উইকেটের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে। অনেক কাজ আছে।”
বৈরী আবহাওয়া, ভিন্ন কন্ডিশন, অপর্যাপ্ত ক্রিকেটের পরও ধর্মশালা পর্ব ভালোভাবেই পার করেছে বাংলাদেশ। সবমিলিয়ে বড় স্বস্তি পাচ্ছেন মাশরাফি। ধর্মশালার পর্ব সম্পর্কে তিনি বলেছেন, “অনেক বড় স্বস্তি। প্রতিটি ম্যাচেই চাপ ছিল। আজও ৫ ওভারে ওদের টার্গেট ছিল প্রথমে ৩৭। তাছাড়া আবহাওয়া তো পুরোই বিপক্ষে ছিল। ধর্মশালার পর্বটা ভালো-খারাপ দুই ধরনের অনুভূতিই এনে দিয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা উদ্দেশ্য সফল হয়েছে। তাসকিন, সানির বিষয়টা খারাপ লেগেছে। তবে আশা করি, দুজনই সমস্যাহীন ভাবে ফিরে আসবে দলে।”
7 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন