২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

কালবৈশাখী ঝড়ে বরগুনায় অর্ধশত‍াধিক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৮:০০ অপরাহ্ণ, ১৬ মে ২০১৮

বরগুনার বড়ইতলা এবং লতাবাড়ীয়া এলাকায় কালবৈশাখী ঝড়ে চারটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বুধবার (১৬ মে) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে আকস্মিক আঘাত হানে কালবৈশাখী। এ সময় বিভিন্ন স্থানে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে- আকস্মিক মেঘ জমতে শুরু করে আকাশে। এমন সময় বিষখালী নদীর মধ্যে দিয়ে বাতাস ঘুরতে ঘুরতে প্রবল বেগ নিয়ে বড়ইতলা মুক্তিযোদ্ধা বাজারে আঘাত হানে। এ সময় বাজারের চারটি মুদি দোকান উল্টিয়ে রাস্তায় ফেলে দেয়। এতে দোকানদার ও দোকানের সামনে বসে থাকা লোকজন দোকানের নিচে পরে আহত হন। ঝড় থামলে তাদের উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

একই সময় সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে আঘাত হানে কালবৈশাখী ঝড়। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি, নষ্ট হয়ে যায় ফসলের ক্ষেত, ভেঙে পড়ে বিদ্যুতের খুঁটি।

বড়ইতলা গ্রামের দরিদ্র জেলে আব্দুস সোবাহান বরিশালটাইমসকে বলেন, ‘কিছু বোঝার আগেই আচুক্কা বইন্না আইয়া মোগো শ্যাষ হইরা গেছে। ঘরে দুগ্গা চাউলও নাই যে খামু। সরকার যদি মোগো সহায়তা দেয় হেলে মোরা খাইয়া পইড়া বাইচ্চা থাকতে পারতাম।’

লতাবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা মো. আবদুল জলিল বরিশালটাইমসকে বলেন, ‘দেখলাম আকাশে মেঘ। এর মধ্যেই সব তছনছ করে দিয়ে গেছে। এ বছর যে রহম ঘন ঘন বৃষ্টি বাদল হচ্ছে তাতে আমাদের কি অবস্থা হবে কে জানে।’

বড়ইতলা এলাকার স্থানীয় সমাজ সেবক আব্দুল খালেক মিয়া বরিশালটাইমসকে বলেন, ‘এখানে গরিব মানুষের অনেক ক্ষতি হয়েছে। দুই গ্রাম মিলিয়ে চারটি দোকান ও অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’

এতে এই এলাকার মানুষের লাখ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলেও তিনি ধারনা করেন।

এ বিষয়ে বরগুনার জেলা প্রশাসক মো. মোখলেছুর রহমান বরিশালটাইমসকে বলেন, কালবৈশাখীর তান্ডবে কিছু এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা খুব দ্রুত জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার উদ্যোগ নিবো।’

3 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন