২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

কৃষ্ণ করলে লীলাখেলা! আমি করলে যত্তো দোষ!

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৬:৪৪ অপরাহ্ণ, ০৯ নভেম্বর ২০১৭

আমরা কেউ কাউকে বিশ্বাস করি না। কাউকে শ্রদ্ধা করি না। অপরকে অত্যাচার এবং নৈমিত্তিক অনাচারের মধ্যে আনন্দ ও সার্থকতা খুঁজে বেড়াই। আমরা নিজেদের জন্য এক ধরনের আইন তৈরি করি এবং প্রতিপক্ষ ও শত্রুদের জন্য ভিন্ন আইন প্রয়োগ করি। আমরা ক্ষমতা ও বিত্তবৈভবের মধ্যে ডুবে থেকে যে ধরনের কথা বলি, ঠিক তার বিপরীত কথা ও কর্মের অনুসারী হয়ে পড়ি ক্ষমতা হারানোর পর

ঘটনাটি ২০০১ সাল-পরবর্তী কোনো এক সময়ের। আমি তখন আওয়ামী লীগের একজন সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে আমার আদি নির্বাচনী এলাকা চষে বেড়াচ্ছি। ফরিদপুর জেলার সদরপুর ও চরভদ্রাসন উপজেলা নিয়ে সেই আমলে যে নির্বাচনী আসনটি ছিল সেখানে আমি পুরোদমে রাজনৈতিক কর্মযজ্ঞ চালাচ্ছিলাম সম্ভাব্য নবম জাতীয় সংসদে প্রার্থী হওয়ার জন্য।

এটা মূলত অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল এক-এগারোর আগে। এক-এগারোর ধাক্কায় ফরিদপুরে একটি সংসদীয় আসন কমে গেলে আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব আমাকে পটুয়াখালী-৩ আসন অর্থাৎ গলাচিপা-দশমিনা সংসদীয় এলাকায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য মনোনয়ন দিলেন। সেটি এক ভিন্ন প্রসঙ্গ। শিরোনাম প্রসঙ্গে আলোচনা করতে গিয়েই ফরিদপুরের প্রসঙ্গ চলে এলো। আবার ফরিদপুরের কাহিনী বললে যাতে আমার সংসদীয় আসন নিয়ে পাঠকমহলে কোনো বিতর্ক সৃষ্টি না হয় সে জন্য সংক্ষেপে একটি ভূমিকা দিয়ে রাখলাম।

সদরপুর-চরভদ্রাসন সংসদীয় আসনটি ছিল অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক রাজনৈতিক ময়দান। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সংসদ সদস্য প্রার্থীদের শিক্ষা-দীক্ষা, সুনাম-সুখ্যাতি, গ্রহণযোগ্যতা এবং অর্থনৈতিক সঙ্গতি ছিল উল্লেখ করার মতো। বাংলাদেশের অন্য কোনো সংসদীয় আসনে এমন প্রতিযোগিতা ছিল কি না তা আমার জানা নেই। ২০০১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে জননেতা মরহুম আবদুর রাজ্জাক ভাই এমপি নির্বাচিত হন। তিনি আসনটি ছেড়ে দিলে বিএনপির প্রার্থী জনাব আকমল ইবনে ইউসুফ নির্বাচিত হয়ে আসেন। তিনি ছাড়াও বিএনপিতে আরো বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট এবং ধনাঢ্য প্রার্থী ছিলেন। জাকের পার্টির চেয়ারম্যান পীরজাদা মোস্তফা আমীর ফয়সাল, জামায়াতে ইসলামীর মরহুম আবদুল কাদের মোল্লা এবং আওয়ামী লীগের দশ-বারোজন প্রার্থীর সাথে আমিও নির্বাচনী মাঠে কাজ করে যাচ্ছিলাম।

রাজনীতির মাঠে একাধিক প্রার্থী থাকলে যেমন সুবিধা হয়, তেমনি অসুবিধার সংখ্যাও অনেক। বিশেষ করে প্রার্থীদের মধ্যে যদি কালো টাকার মালিক, চোরাকারবারি, লুটেরা এবং নতুন টাকাওয়ালাদের আধিক্য থাকে, তবে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের চরিত্র বলে কিছু থাকে না। দুর্ভাগ্যক্রমে আমার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্যে কয়েকজন টাকার গরম দেখিয়ে পুরো এলাকার রাজনৈতিক পরিবেশ নষ্ট করে দেন। টাকা দিয়ে কর্মী ক্রয়, টাকা দিয়ে প্রতিপক্ষের সমাবেশ পণ্ড, টাকা দিয়ে নমিনেশন ক্রয়সহ প্রশাসন ম্যানেজ করার মন্দ ফন্দিফিকিরের সাথে পাল্লা দিয়ে তারা চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন নেতাকর্মীদের বিশ্বাসঘাতক, মোনাফেক, খয়ের খা, ধামাধরা, চাটুকার, উদ্ধত ও বেয়াদব বানানোর জন্য। ফলে একজন সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে নিজে রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে ক্রমেই বিরক্ত হয়ে পড়ছিলাম।

যে ঘটনা নিয়ে আজকের শিরোনাম রচিত হয়েছে এবং যার পরিপ্রেক্ষিতে আজকের নিবন্ধের মূল প্রতিপাদ্য বর্ণনা করব তা হলো- তৃণমূলের কর্মী এবং কিছু নেতা এসে আমার কাছে এমন সব মিথ্যা কথা, গিবত এবং ছলচাতুরীমূলক প্রকল্প উপস্থাপন করতেন, যা ওই মুহূর্তে ফিরিয়ে দেয়া সম্ভব ছিল না। আবার মেনে নিতেও প্রচণ্ড কষ্ট হতো। তারা আমার কাছে এসে বিশ্রীভাবে আমার প্রতিদ্বন্দ্বীকে গালাগাল করতেন এবং অন্যদের কাছে গিয়ে আমার ব্যাপারে একইরূপ বিষোদগার করতেন। তারা মিথ্যা কথা বলে আমার কাছ থেকে টাকা নিয়ে সদলবলে রেস্টুরেন্টে গিয়ে খানাপিনা করতেন এবং আমার সম্পর্কে বলতেন- শালা একটা দামড়া! মাথায় একটুও ঘিলু নেই; যা বলি তাই বিশ্বাস করে এবং যখন যা চাই তাই বেকুবের মতো দিয়ে দেয়।’ তাদের দলের মধ্যে কেউ হয়তো ওই সব কথা রেকর্ড করে আমাকে শোনাত এবং বিনিময়ে আমার কাছ থেকে নতুন করে কিছু আনুকূল্য আশা করত। এতে করে আমার মানসিক অশান্তি এবং আর্থিক ক্ষতি দিনকে দিন বেড়েই যাচ্ছিল।

পরিস্থিতি যখন এভাবে এগোচ্ছিল, তখন হঠাৎ করেই একটি ঘটনা ঘটল। থানা আওয়ামী লীগের সিনিয়র এক নেতা আমার কাছে হাতেনাতে ধরা পড়লেন। তিনি আমার প্রতিদ্বন্দ্বীর কাছে গিয়ে আমার বিরুদ্ধে কী কী বলেছেন এবং কত টাকা নিয়েছেন তা প্রমাণসহ আমি যখন প্রকাশ্যে তাকে অভিযুক্ত করলাম তখন তিনি সদম্ভে বলে উঠলেন, লিডার! কৃষ্ণ করলে লীলাখেলা- আর আমি করলে যত্তো দোষ।’ অর্থাৎ তার চেয়ে বড় বড় নেতারাও একই কাজ করছেন এবং আমি যেখানে তাদেরকে জিজ্ঞাসা করা তো দূরের কথা- উল্টো তোয়াজ করে চলছি, সেখানে একই কর্মের জন্য তাকে ভর্ৎসনা করার কোনো অধিকার আমার নেই। লোকটির কথা শুনে স্তব্ধ হয়ে গেলাম এবং বিষয়টি নিয়ে আর অগ্রসর হলাম না।

আজ বহু বছর পর ঘটনাটি মনে পড়ল মূলত দেশের সাম্প্রতিক রাজনীতি, অর্থনীতি, বিচারব্যবস্থা, সরকারি প্রশাসন যন্ত্র এবং রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা নিয়ে ভুক্তভোগীদের নানামুখী অভিযোগ ও আপত্তি জানানোর ঘটনা দেখার পর। বাংলাদেশে এখন দুই শ্রেণীর বিরোধী দল রয়েছে। একদল সরকারের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রক্ষার নামে রীতিমতো তাঁবেদারি ও ধামাধরা চরিত্রের সর্বোচ্চ কলাকৌশল প্রয়োগ করে রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা গ্রহণের পাশাপাশি বহু অনৈতিক, অযাচিত ও বেআইনি ফায়দা লোটার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু কোনো অবস্থাতেই তারা পুরোপুরি তৃপ্ত হতে পারছেন না। কারণ তাদের চোখ সবসময় খোদ সরকারি দলের সুবিধাভোগীদের দিকে তীর্যক দৃষ্টিতে তাকিয়ে কেবল রাজ্যের হতাশা, বেদনা ও বঞ্চনার নমুনা খুঁজে বেড়ায়।

সরকার সমর্থক বিরোধী দল মনে করে- সরকারি দলের কথিত হাইব্রিড ও কাউয়া নামধারী কৃষ্ণ বা কৃষ্ণকলিরা যেসব লীলাখেলা অবাধে করতে পারেন, তার ছিটেফোটাও তারা পারেন না। মাঝে মধ্যে কৃষ্ণ ও কৃষ্ণকলিদের অনুকরণ করার চেষ্টা করলে তাদের যেভাবে শাসন করা হয় তাতে তারা নিজেদের বঞ্চিত, হতভাগ্য এবং লাঞ্ছিতদের আস্তাকুঁড়ে পতিত অবস্থায় দেখতে পান। তারা মনে করেন- তাদের কলুর বলদের মতো কায়িক শ্রম এবং আত্মপ্রবঞ্চনার কারণেই সুবিধাভোগীরা লীলাখেলার সুযোগ পাচ্ছে। কাজেই যে কাজ করলে কৃষ্ণদের কিছুই হয় না, একই কাজ নির্বিবাদে করার অধিকার তাদেরও রয়েছে।

সরকারসমর্থক, বিরোধী দলের বাইরে আরো এক শ্রেণীর বিরোধী দল আছে যারা মূলত রাজপথ, জেলখানা, থানা-হাজত, পুলিশি হেফাজত, কোর্টকাচারির পথচারী হয়ে প্রায়ই সুবিধাভোগী কৃষ্ণদের দিকে তাকিয়ে হাপিত্যেশ করতে থাকেন। কৃষ্ণরা রাজপথে দাঁড়ালে ধামাধরা-ছাতাধরা-জুতাবহনকারী অনুগত অস্ত্রধারীদের যে জামাই আদর দৃশ্যমান হয়, তা দেখে বিরোধী দলের কপাল চাপড়ানো ছাড়া অন্য কোনো উপায় থাকে না। রাজপথের বাইরের অন্য এলাকা ও অধিক্ষেত্রে কৃষ্ণরা যা ইচ্ছে তাই করে বেড়াতে পারছেন এবং ক্ষেত্রবিশেষে এসব এলাকা ও অধিক্ষেত্রের অধিকর্তারা কৃষ্ণদের আশা-আকাক্সক্ষা, ইচ্ছা-অনিচ্ছা, রুচি-অভিরুচি ও মেজাজ-মর্জি বুঝে নীতিমালা তৈরি করে তা বাস্তবায়নের তৎপরতা শুরু করেন। অন্য দিকে, বিরোধী দলের প্রসঙ্গ এলেই অভাব-অভিযোগ, নিয়ম-কানুন ইত্যাদি হাজারো ফ্যাসাদ গোলা পাকিয়ে যখন সামনে উপস্থাপন করা হয়, তখন ভুক্তভোগীরা হাপিত্যেশ করে বলতে থাকেন, কৃষ্ণ করলে নীলাখেলা- আর আমরা করলে দোষ!

আলোচনার পরবর্তী পর্বে প্রবেশ করার আগে কৃষ্ণ এবং তার লীলাখেলার পৌরাণিক কাহিনী সম্পর্কে দুই-চার কথা বলা আবশ্যক। হিন্দু পুরাণ মতে, কৃষ্ণ হলেন তাদের তেত্রিশ কোটি দেবতার মধ্যে প্রধান। তিনি মহাভারত যুগের মানুষরূপী দেবতা, যার গায়ের রঙ অতীব কৃষ্ণবর্ণের ছিল। দেবত্বের বাইরে তিনি একজন গুরুত্বপূর্ণ সামন্ত রাজা এবং কৌশলী রাজনীতিবিদ ছিলেন। মহাভারতে বর্ণিত যুদ্ধের সময় তিনি প্রথমে যুদ্ধরত দু’টি প্রতিপক্ষ পাণ্ডব ও কৌরবদের মধ্যে সমঝোতার চেষ্টা চালান এবং একজন গ্রহণযোগ্য দূত বা কূটনীতিবিদ হিসেবে উভয় শিবিরে অবাধ যাতায়াত করতেন। তিনি দূতিয়ালীতে ব্যর্থ হয়ে পাণ্ডবদের পক্ষে যোগ দেন এবং পাণ্ডব নেতা অর্জুনের উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করতে থাকেন। মহাভারতে উল্লিখিত, সুদীর্ঘ-যুদ্ধকালীন বিভিন্ন সঙ্কট মুহূর্তে কৃষ্ণ তার মিত্র অর্জুনকে বিভিন্ন নীতিকথা, উপদেশ এবং গাইডলাইন দিতেন, যা নিয়েই মূলত হিন্দুদের ধর্মগ্রন্থ শ্রী ভগবত গীতা রচিত হয়েছে।

শ্রীযুক্ত কৃষ্ণের উপরি উক্ত কর্মের বাইরে তার ব্যক্তিগত প্রেম ও প্রণয়ের বিশাল এক উপাখ্যান রয়েছে, যাকে ‘কৃষ্ণলীলা’ বলা হয়। বিষয়টি একটি বৃহত্তম এবং প্রাচীন ধর্মগোষ্ঠীর আবেগ ও অনুভূতিসংক্রান্ত হওয়ায় এ ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনায় না গিয়ে শুধু দুটি তথ্য উপস্থাপন করে মূল প্রসঙ্গে চলে যাব। প্রথম তথ্য হলো কৃষ্ণের প্রধান প্রেমিকার নাম রাধা বা রাধিকা, যিনি সম্পর্কে তার আপন মামী ছিলেন। দ্বিতীয়ত, তিনি প্রায় হাজার দশেক রমণীর সাথে প্রেম ও রমণ করার যে ইতিহাস রেখে গিয়েছেন, যা অন্য কোনো দেবতা অতিক্রম করতে পারেননি। সমালোচকরা কৃষ্ণের এসব কর্ম নিয়ে প্রশ্ন করলেই তার ভক্তরা কৃষ্ণলীলার কথা বলে বিভিন্ন অলৌকিকত্বও অপার্থিব বিষয়ের অবতারণা করে থাকেন।

মহাভারত এবং শ্রীকৃষ্ণের যুগ অতিবাহিত হয়ে গিয়েছে প্রায় পাঁচ হাজার বছর আগে। কিন্তু আজো তার কথা ও কর্মের রেশ রয়ে গিয়েছে। হাল আমলের রাজনীতি, অর্থনীতি, সামাজিক বৈষম্য, বিভেদ, বিসম্বাদ ইত্যাদির বাহারি রকমভেদ বোঝানোর জন্য কৃষ্ণলীলার প্রসঙ্গ যেভাবে উত্থাপিত হয়, তেমনি মানুষের নির্লজ্জতা, বেহায়াপনা, গোপন কর্মাদি, দুর্বলতা, পাপাচার ইত্যাদি যখন সমাজে আরাধনারপর্যায়ে চলে আসে অথবা ব্যক্তিবিশেষের ওই সব কর্ম যখন মহলবিশেষের প্রশংসার বিষয় হয়ে দাঁড়ায় তখন আমাদের জনজীবন কুরুক্ষেত্রের মতো রক্তাক্ত, ভয়ঙ্কর এবং নির্মম হয়ে ওঠে। কার কারণে এবং কিভাবে এসব হলো সেদিকে না গিয়ে একথা আমি বেশ দৃঢ়তার সাথেই বলতে পারি যে, আমাদের সমাজে পচন ধরেছে। পচন ধরেছে আমাদের সব মন ও মস্তিষ্কে। আমাদের কথাবার্তা, আচার-আচরণ, চালচলন, লেনদেন, আদর-সোহাগ, বিচার-আচার ইত্যাদি সব কিছুই বেসুর হয়ে অসুরের মতো ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে।

কৃষ্ণলীলায় আক্রান্ত সমাজের লোকদের মতো- আমরা কেউ কাউকে বিশ্বাস করি না। কাউকে শ্রদ্ধা করি না। অপরকে অত্যাচার এবং নৈমিত্তিক অনাচারের মধ্যে আনন্দ ও সার্থকতা খুঁজে বেড়াই। আমরা নিজেদের জন্য এক ধরনের আইন তৈরি করি এবং প্রতিপক্ষ ও শত্রুদের জন্য ভিন্ন আইন প্রয়োগ করি। আমরা ক্ষমতা ও বিত্তবৈভবের মধ্যে ডুবে থেকে যে ধরনের কথা বলি, ঠিক তার বিপরীত কথা ও কর্মের অনুসারী হয়ে পড়ি ক্ষমতা হারানোর পর।

মানবতা, মূল্যবোধ, সভ্যতা, ভব্যতা ইত্যাদি সুকুমারবৃত্তিগুলোকে আমরা শিকেয় তুলে তারপর ক্ষমতার চেয়ারে বসি এবং নিজেদের লঙ্কাধিপতি রাবণ বানিয়ে সীতা অপহরণের জন্য প্রস্তুতি নিতে থাকি। আমাদের দুর্বল সহযোগী এবং প্রতিপক্ষ আমাদের ওই সব কুকর্ম দেখে হাপিত্যেশ করে মূলত দুটি কারণে। তারাও আমাদের মতো চরিত্রহীন হওয়ার জন্য ভয়ঙ্করভাবে প্রলুব্ধ হয়ে ওঠে- অথবা আমাদের মতো এমনটি করতে না পেরে হতাশার সাগরে ডুবে মরে। অন্য দিকে, আমাদের কর্মী-সমর্থকরা আমাদের সব কর্মের গুণমুগ্ধ সেবকে পরিণত হয়ে বলতে থাকেন- শ্রী কৃষ্ণের লীলাখেলা চলছে…।

2 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন