১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

গৃহবধূর মাথা ন্যাড়া করা সেই চেয়ারম্যানের ভাই

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১২:১৩ অপরাহ্ণ, ১৯ মে ২০১৬

পটুয়াখালী: জেলার গলাচিপা উপজেলায় এক গৃহবধূকে শালিস বৈঠকের নির্যাতন ও মাথা ন্যাড়া করে দেয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান ও স্থানীয় সংসদ সদস্য (এমপি) আ.খ.ম জাহাঙ্গির হোসেনের ছোট ভাই খালেদুল ইসলাম স্বপনসহ মামলার সব আসামিকে জামিন দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (১৮ মে) দুপুরে পটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে অভিযুক্তরা হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।

ওই মামলায় স্বপনসহ অন্যান্য আসামিরা দীর্ঘদিন পলাতক ছিলো। গত ৪ মে গলাচিপা থানার পুলিশ এই মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে। এ সময় আসামি পক্ষের আইনজীবীরা দাবি করেন মামলার বাদি ও বিবাদীরা বিষয়টি আপোষ মিমাংসা করে নিয়েছে।

মামলার এজহার সূত্রে জানা যায়, গত ২৬ মার্চ শনিবার দুপুরে গজালিয়া এলাকার বাসিন্ধা হাবিব রাঢ়ির স্ত্রী রাবেয়া বেগম এবং তাঁর চাচাত ভাতিজা মিজান রাঢ়িকে গজালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে ডেকে নিয়ে যায় ওই ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান এ এম কুদ্দুস মিয়া এবং নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান খালেদুল ইসলাম স্বপন। তাদেরকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে বসিয়ে রেখে শুরু করা হয় শালিস বৈঠক। এতে এমপির ভাই স্বপন সকলের মতামত নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয় উভয়ের মধ্যে অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে তাই দুইজনে দোষী।

 

এ কারণে দুইজনের মাথার চুল ন্যাড়া করে দেয়ার সিদ্ধান্ত দেন তিনি। একই সঙ্গে মিজানকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। রাত ৮টায় এ সিদ্ধান্ত দেয়ার পর স্বপন ওই দুইজনকে ইউনিয়ন পরিষদের দক্ষিণ পার্শ্বের মাঠে নামিয়ে বেদম লাঠিপেটা করে। একপর্যায়ে রাবেয়া বেগমের কাপড় খুলে ফেলে। এ সময় রাবেয়া বেগমের ওপর যৌনপীড়নের ঘটনা ঘটানো হয়। দুইজনকে লাঠিপেটার পর পরিতোষ শীল নামের এক নাপিতকে ডেকে রাবেয়ার মাথার ন্যাড়া করে দেয়া হয়।

এ ঘটনায় পরদিন রোববার এমপির ভাইসহ সাতজনকে আসামি করে গৃহবধূর স্বামী মো. হাবিব রাঢ়ি গলাচিপা থানায় মামলা করেন। তবে মামলা দায়েরের পর থেকেই নির্যাতিত পরিবারটি ছিলো এলাকা ছাড়া।

4 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন