২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

জার্মানির বিশ্বকাপজয়ী নায়ক কোথায় ছিলেন এতদিন?

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০২:১২ অপরাহ্ণ, ২১ মে ২০১৮

আশ্চর্য হলেও সত্য যে, ব্রাজিল বিশ্বকাপের পর আর কোনো বড় মঞ্চে মারিও গোয়েতজের নাম আর শোনা যায়নি। ব্রাজিল বিশ্বকাপ ফাইনালের হিরো হঠাৎ অন্তরালে চলে গেলেন কেন? আসল মারিও গোয়েতজ অসুস্থ। মাত্র ২৪ বছর বয়সেই বিরল রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। যে রোগের জন্য তার শরীর পর্যাপ্ত পরিমাণে ফ্যাট, শর্করা ও নিউক্লিক অ্যাসিড উত্পাদন করতে পারছে না। তবে তার চিকিৎসা শুরু হয়েছে। জার্মান ফুটবলার এখন আগের থেকে সুস্থ।

সেদিন মারাকানা স্টেডিয়ামে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে গোয়েতজকে ৯৮ মিনিটে মাঠে নামিয়েছিলেন জার্মান কোচ জোয়াকিম লো। ১১৩ মিনিটে তার একমাত্র গোলে জার্মানি বিশ্বকাপ জেতে। গোয়েতজর তখন মাত্র ২২ বছর বয়স। বিশ্ব ফুটবলের অনেকে সে সময় গোয়েতজকে দেখে বলেছিলেন, এমন প্রতিভা একশো বছরে একবার আসে। বিশ্ব ফুটবলে সেই গোটেত্জের কার্যত কোনো অস্তিত্ব এই মুহূর্তে নেই।

গোয়েত্জের এই হারিয়ে যাওয়ার পিছনে জার্মান কোচ জোয়াকিম লো কিছুটা দায়ী করছেন নিজেকে। এক অনুষ্ঠানে গিয়ে লো বলেছেন, ‘মাঠে নামানোর আগে ওকে সেদিন বলেছিলাম, যাও তুমি যে লিওনেল মেসির থেক বড় ফুটবলার সেটা প্রমাণ করে এসো। জানি না, সেই কথাগুলো ওকে সেদিন আমার বলাটা ঠিক হয়েছিল কিনা। ওই কথাগুলো প্রকাশ্যে বলে তার থেকেও বড় ভুল করেছিলাম।’

‘মাত্র ২২ বছর বয়সে বিশ্বকাপ ফাইনালে ওরকম গোল করলে যে কোনো ফুটবলারের উপর প্রত্যাশার পাহাড় চেপে বসে। ওর সঙ্গেও তাই হল। এমনকী, আমার নিজেরও ওর উপর আগের থেকে অনেক বেশি প্রত্যাশা বেড়ে গেল। ও ভাল পারফর্ম করলেও আমার মনে হচ্ছিল গোয়েতজ আরও ভাল কিছু করতে পারে। এই প্রত্যাশাটাই ওর বিপদ ডেকে এনেছে।’

জার্মানির হয়ে ৬৩ ম্যাচে ১৭টা গোল করেছেন গোয়েতজ। কিন্তু রাশিয়া বিশ্বকাপের জন্য জার্মানির ২৭ জনের স্কোয়াডে শেষ পর্যন্ত জায়গা হয়নি তার। বিশ্বকাপের দল থেকে ছিটকে গিয়ে স্বাভাবিকভাবেই গোয়েতজরও মন খারাপ। তবে ফিরে আসার লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে কোচ লো বলেছেন, ‘২০১৭-১৮ মৌসুমটা গোয়েতজর জন্য ছিল না। তাই আমার ইচ্ছা থাকলেও জাতীয় দলে এখন ওকে রাখতে পারলাম না।

0 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন