১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

ঝালকাঠিতে চুরির অপবাদে শিশু নির্যাতন, গ্রেপ্তার ২

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৬:১২ অপরাহ্ণ, ১৯ মে ২০১৭

ঝালকাঠিতে চুরির অপবাদ দিয়ে ১০ বছরের এক শিশুকে বস্তায় ডুকিয়ে বেঁধে এবং পিটিয়ে নির্যাতন করে পা ভেঙে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে একদল বখাটের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে ২জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মো. সাগর হাওলাদার নামের ওই শিশিুটি গত ৫দিন ধরে যন্ত্রনা নিয়ে জেলা সদর হাসপাতালে বিছনায় কাতরাচ্ছে।

এমনকি মামলায় দিয়েও রয়েছে আতঙ্কে। অভিযোগ তুলে নিতে তার পরিবারকে হুমকিও দেয়া হচ্ছে।

ঝালকাঠি জেলা সদর উপজেলার কীর্তিপাশা ইউনিয়নের আলিপুর গ্রামে গত ১৪ মে সন্ধ্যায় এ ঘটনাটি ঘটেছে।

পুলিশ ও শিশুটির পরিবার জানায়,  শিশু সাগরের বাবা সুলতান হওলাদার গত কয়েক বছর আগে মারা গেছেন। ছয় ছেলে মেয়েকে নিয়ে বিধাব মায়ের হতদরিদ্র সংবার। সাগর পরিবারের সবার ছোট। সে স্থানীয় আলিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র।

ঘটনার দিন দুপুরে গোসল শেষে বাড়ি ফিরে আসে সে। ওই দিন স্থানীয় একটি মসজিদের দুই হাজার টাকা চুরির অভিযোগ তুলে সন্ধ্যায় বাড়িতে এসে এলাকার  সত্তার, সোহরাব, হৃদয়, জামাল এবং আনোয়ারসহ ১০ থেকে ১৫ জন ব্যক্তি বাড়ি থেকে শিশুটিকে ধরে বাড়ির কাছের রাস্তায় নিয়ে যায়।

সাগর মসজিদের ওই টাকা চুরি করেছে বলে মিথ্যা অভিযোগ করে এরপর  সারগরকে লাঠি দিয়ে বেদম পেটায়। এক পর্যায় তাকে বস্তায় মধ্যেও বেঁধে রাখা হয়। সন্ধ্যা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলে নানা ভাবে নির্যাতন। পরে সাগরকে তার মা ও বোন বখাটেদের হাতে পায়ে ধরে ছাড়িয়ে নিয়ে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে সাগরকে ভর্তি করে।

নির্যাতিত শিশু সাগর হাওলাদার, মা রাশিদা বেগম এবং বোন রাবেয়া আক্তার এবং বড় ভাই মো. হানিফ এ ঘটনায় শুক্রবার (১৯ মে) সকালে পুলিশ অভিযুক্ত একই গ্রামের হৃদয় কারিগর ও জামাল হাওলাদারকে গ্রেপ্তার করেছে। শিশুটির বড় ভাই ইব্রাহিম হাওলাদার ৯  জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

অপর আসামীদেরও গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে, জানান ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তাজুল ইসলাম।

ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাক্তার রিফাত বরিশালটাইমসকে জানিয়েছে, পায়ের আঘাত ছাড়াও শিশুটির শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত রয়েছে।

শংকামুক্ত হলেও শিশুটিকে বেশকিছু দিন হাসপাতালে ভর্তি থাকতে হবে।

এ ব্যাপারে ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তাজুল ইসলাম বরিশালটাইমসকে বলেন, খবর পেয়ে আমরা তাৎক্ষণিক ভাবে জড়িত ২ জনকে গ্রেফতার করেছি। অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় ৯ জনকে আসামী করে মামলা রুজু করা হয়েছে।”

12 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন