২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বুধবার

ঝালকাঠির সেই লিমনের বাসায় হামলা ভাঙচুর, আদালতে মামলা

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৮:৩২ অপরাহ্ণ, ১৯ এপ্রিল ২০১৮

র‌্যাবের গুলিতে পা হারিয়ে পঙ্গু ঝালকাঠির লিমন হোসেনের গ্রামের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ১৭ জনের নামে মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে লিমনের মা হেনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে ঝালকাঠির সিনিয়র বিচারিক হাকিম আদালতে এ মামলা দায়ের করেন।

আদালতের বিচারক বেগম রুবাইয়া আমেনা রাজাপুর থানার ওসিকে মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। লিমন হোসেন বর্তমানে কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের এল.এল.এম কোর্সের শিক্ষার্থী।

মামলার বিবরণে জানা গেছে- জমি নিয়ে লিমনদের পরিবারের সঙ্গে একই এলাকার আবদুল হাই নামে এক ব্যক্তির বিরোধ চলে আসছিল। ১৫ মার্চ লিমনের পরিবার নিজেদের জমিতে একটি একতলা বিল্ডিং নির্মাণের জন্য ইট, বালু, সিমেন্ট ও রড এনে জমা করে। খবর পেয়ে একই এলাকার সন্ত্রাসী মোরসেদ জমাদ্দারের সহযোগী ইব্রাহিম হাওলাদার, আবদুল হাইয়ের, হুমায়ুন কবির ও ফিরোজ লিমনের মা হোনোয়রা বেগম ও বাবা তোফাজ্জেল হোসেনের কাছে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন।

টাকা না দেয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওই চারজনের নেতৃত্বে ২৫ থেকে ৩০ জন গত ৭ এপ্রিল সকালে বিল্ডিংয়ের কাজ শুরু শুরু করলে গভীর রাতে ৯টি পিলার ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়। ইট-বালু খালে ফেলে দেয় এবং প্রায় দুই টন কাটা রড নিয়ে যায়। তান্ডব চালিয়ে যাওয়ার সময় ভোর রাতে লিমনদের বসতঘর সংলগ্ন রান্নাঘরে অগ্নিসংযোগ করে দুর্বৃত্তরা। এতে রান্নাঘর এবং লিমনদের বসতঘর আংশিক পুড়ে যায়।

লিমনের মায়ের আইনজীবী মানিক আচার্য্য জানান, এ ঘটনায় লিমনের মা হেনোয়রা বেগম রাজাপুর থানায় মামলা করতে গেলে তা গ্রহণ করা হয়নি। বৃহস্পতিবার আদালতে শীর্ষ সন্ত্রাসী মোরসেদের সহযোগী ইব্রাহিম হাওলাদার ও আবদুল হাইসহ ১৭ জনের নামে তিনি নালিশি মামলা করেন। আদালতের বিচারক রাজাপুর থানার ওসিকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।

২০১১ সালের ২৩ মার্চ রাজাপুরের শীর্ষ সন্ত্রাসী মোরসেদ জমাদ্দারকে ধরতে সাতুরিয়া গ্রামে অভিযান চালায় র‌্যাব-৮ এর একটি দল। র‌্যাব সদস্যরা ভুল করে মোরসেদ জমাদ্দার ভেবে ওই সময়ের কলেজছাত্র লিমন হোসেনকে গুলি করে। র‌্যাবের গুলিতে লিমনের একটি পা কেটে ফেলতে হয়। র‌্যাব বাদী হয়ে মোরসেদ জমাদ্দার ও লিমনসহ ৮ জনের নামে দুটি মামলা দায়ের করে।

এর একটি অস্ত্র আইনে, অপরটি সরকারি কাজে বাধাদানের অভিযোগে। দুটি মামলাতেই সকল আসামিরা সম্প্রতি ঝালকাঠির আদালত থেকে খালাস পায়। খালাস পাওয়ার পরে এপ্রিল মাসের প্রথমদিকে মোরসেদ জমাদ্দার রাজাপুর সাতুরিয়া এলাকায় এসে তার সহযোগী ইব্রাহিমের সঙ্গে দেখা করে বলে কয়েকজন এলাকাবাসী জানিয়েছে।’’

18 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন