২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

ডেঞ্জার জোনে ঝুঁকিপূর্ণ পারাপার, দুর্ঘটনার আশংকা

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১২:৪৪ অপরাহ্ণ, ১৭ জুলাই ২০১৭

সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ভোলার মেঘনা ও তেতুলিয়া নদীর ডেঞ্জার জোনে ঝুঁকি নিয়ে চলছে ছোট ছোট নৌযান ও ট্রলার। উত্তাল নদী পাড়ি দিয়ে এসব লঞ্চ ট্রলার চলার কারণে যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশংকা করা হচ্ছে। এক শ্রেণির মুনাফালোভী চক্র নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে প্রভাব খাটিয়ে প্রকাশ্যে যাত্রী পারপার করছে। নিরাপদ নৌ যান চলাচলে প্রশাসনের অভিযান না থাকায় এসব চক্রটি বেপরোয়া হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

সূত্র জানিয়েছে, প্রতি বছরের ১৫ মার্চ থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত ৭ মাস সি-সার্ভে ছাড়া সকল ধরনের লঞ্চ ও ট্রলার চলাচল নিষিদ্ধ। এ সময় মেঘনা মোহনা উত্তাল থাকে। যে কারণে যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) এসব লঞ্চ ট্রলার চালাচল নিষিদ্ধ করে। কিন্তু প্রশাসনের চোঁখ ফাকি দিয়ে প্রকাশ্যেই এসব নৌ যান চালিয়ে যাত্রীদের ঝুঁকির মুখে ফেলছে।’

 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দ্বীপ জেলা ভোলার সাথে দেশের বিভিন্ন জেলা এবং অভ্যন্তরীণ যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে নৌপথ। তাই যোগাযোগ রক্ষার্থে প্রয়োজনের তাগিদে প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী গন্তব্যে যাচ্ছেন। কিন্তু ছোট ছোট নৌ যানের কারণে যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেকটাই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।’

ঝুঁকিপূর্ণ নৌ-রুটগুলোর মধ্যে ইলিশা-মজুচৌধুরীরহাট, ইলিশা-পাতারহাট-মেহেন্দিগঞ্জ, মদনপুর-আলেজেন্ডার, হাকিমুদ্দি-আলেজেন্ডার, তজুমদ্দিন-মনপুরা-চরজহির উদ্দিন, চরফ্যাশন-ঢালচর, চরফ্যাশন-মনপুরা, দৌলতখান-নোয়াখালি, মনপুরা-কলাতলী, ভেলুমিয়া-ধুলিয়া, নাজিরপুর-কালাইয়াসহ অন্তত ৩০ টি নৌপথ অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এসব রুট দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাত্রীরা পারাপার হচ্ছেন।

এ রুটে দুএকটি নিরাপদ নৌ যান চললেও যেন অবৈধ ট্রলারের দৌড় কমছে না। ট্রলার মালিকরা কোন নিয়ম-নীতি মানছে না।

ভোলা সুশিল সমাজের সদস্য সচিব এ্যাড. নজরুল হক অনু বলেন, অবৈধ নৌযান চলার বিষয়ে জেলা প্রশাসন সঠিক তদারকি করে না বিধায় এমন অনিয়ম প্রকাশ্যে দিনের পর দিন চলে আসছে। তাদের নিরবতা জনমনে প্রশ্নের সৃষ্টি করছে। দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ঘটনা ঘটলে তার দায় দায়িত্ব কে নেবে?

সম্প্রতি ভোলা সদরের মদনপুর ও ইলিশা ফেরীঘাটে দেখা গেছে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে ছোট ছোট ইঞ্জিন চালিত ট্রলার দিয়ে যাত্রী পারপার করছে। যাত্রীরাও উত্তাল মেঘনা পাড়ি দিচ্ছে। এসব নৌ যানে নেই বয়া কিংবা জীবন রক্ষাকারী সরঞ্জাম।

জানতে চাইলে ট্রলার চালক বলেন, যাত্রীরা যাচ্ছে বলেই আমরা ট্রলার ছাড়ছি।

এ ব্যাপারে বিআইডব্লিউটিএ ভোলা ট্রাফিক বিভাগের পরিদর্শক মো: নাসিম বলেন, ডেঞ্জার জোনে যাতে ছোট ছোট নৌযান না চলে, সেদিকে মাঝে মধ্যেই আমাদের অভিযান চলছে। তবে নিরাপদ নৌযান সংকটের কারণে মাঝ্যে মধ্যে ট্রলারে যাত্রী পারাপার হচ্ছে।”

 

 

0 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন