১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

ভোলায় নদীভাঙন থেকে রক্ষায় মোনাজাত

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৯:৪৩ অপরাহ্ণ, ১৭ মে ২০১৬

বরিশাল: অসময়ে মেঘনা নদীর স্রোতের তীব্রতা হঠাৎ করেই বেড়েছে। এর ফলে ভোলার ইলিশা এলাকায়ও ভাঙন বেড়েছে। মেঘনা নদীর অব্যাহত ভাঙনে ইলিশা ও রাজাপুর ইউনিয়নের বহু মানুষের ঘর-বাড়ি, হাঁস-মুরগি ও গরু-ছাগল নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। গত এক মাসে নদী তীরবর্তী প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকা ভেঙে গেছে। দুই সহস্রাধিক বাড়িঘড় মেঘনা নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

এদিকে, নদীভাঙনের হাত থেকে দ্বীপজেলা ভোলাকে রক্ষায় আজ  মঙ্গলবার দুপুরে সদর উপজেলার ইলিশা ইউনিয়নে মেঘনার পাড়ে মিলাদ ও দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইলিশা বাঁচাও আন্দোলন কমিটি এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। কমিটির সভাপতি আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য দেন সাংবাদিক আবু তাহের, অমিতাভ অপু, সুমন প্রমুখ। মিলাদ ও দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা আবদুল জলিল।

অপরদিকে, নদীভাঙন রোধে আজ মঙ্গলবার দুপুরে ইলিশা ইউনিয়নে জরুরিভাবে ১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে চারটি প্যাকেজে বালুভর্তি জিইব্যাগ ফেলে জাম্পিংয়ের কাজ শুরু হয়েছে। আজ দুপুরে প্রথম ধাপে ২২২টি বালুর বস্তা মেঘনার তীরে ফেলে আনুষ্ঠানিকভাবে এ কাজের উদ্বোধন করা হয়। এ সময় ভোলা সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা তোফায়েল হোসেন, ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বাবুল আখতার, উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. ইউনুছ, টাস্কফোর্সের প্রতিনিধি সহকারী প্রকৌশলী মাসুম বিল্লাহ, ঠিকাদারের প্রতিনিধি ইকবালসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বাবুল আখতার ও টাস্কফোর্সের প্রতিনিধি সহকারী প্রকৌশলী মাসুম বিল্লাহ জানান, এভাবে পর্যায়ক্রমে দুই লাখ ৭৩ হাজার বালুর বস্তা মেঘনা নদীর তীরে ফেলা হবে। এরপর আগামী শুষ্ক মৌসুমে ২৮০ কোটি টাকা প্রকল্পের কাজ শুরু করা হবে। কাজ শুরু হলে আশা করা যায় নদীভাঙনের হাত থেকে ভোলা রক্ষা পাবে।

তবে, এলাকাবাসীর আশঙ্কা, ১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রথম ধাপে মেঘনা নদীতে যে বালুর বস্তা ফেলা হয়েছে তা নদীর পানির স্রোতে ভেসে যাবে। এতে সরকারের ওই টাকা নদীর জলেই চলে যাবে। ভেস্তে যাবে নদীভাঙন রোধ প্রকল্প। এ ব্যাপারে ইলিশা ইউনিয়নের বাসিন্দা সরোয়ার আলম ও আবদুল মান্নান বলেন, সামান্য ২২২ বস্তা বালু ফেলে কোনো লাভ হবে না। এতে নদীভাঙন রোধ করা যাবে না। এ কাজে শুধুমাত্র ঠিকাদার ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পকেট ভারি হবে।

ইলিশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাসনাইন আহমেদ হাসান বলেন, “এখন নদীভাঙনের কথা নয়। কিন্তু, মেঘনা নদীর স্রোতের গতি হঠাৎ করেই বেড়েছে। তাই, ভাঙনের তীব্রতা বেড়েছে।” তিনি বলেন, “ভাঙনরোধে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের নির্দেশে পানি উন্নয়ন বোর্ড জরুরি ভিত্তিতে ১৫ কোটি টাকার কাজের টেন্ডার আহ্বান করেছে। ইতিমধ্যে তারা মঙ্গলবার থেকে কাজ শুরু করেছে।”

7 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন