ঝালকাঠির রাজাপুরের জিকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির বিজ্ঞান শাখার এক ছাত্রী (১৫) গালুয়া গ্রামের সানাউল্লাহ (১৫) নামে এক বখাটের যৌন হয়রানির ভয়ে দুই মাস ধরে স্কুলে যাওয়া বন্ধ রয়েছে। এমনকি ছাত্রীটিকে বাসায় গিয়ে পড়ানোর কারনে গৃহ শিক্ষক ওমর আলীকে মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর বাবা উপজেলার নিজ গালুয়া গ্রামের বাসিন্দা রাজাপুর থানায় গতকাল মঙ্গলবার লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ অভিযুক্তকে রাতে আটক করেছে।

অভিযোগ সূত্র ও ছাত্রীর মা জানান, উপজেলার গালুয়া গ্রামের মোঃ আবদুল্লাহ খানের ছেলে সানাউল্লাহ ওই ছাত্রীর সাথে জিকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণিতে একই সাথে পড়ে। সানাউল্লাহ দীর্ঘদিন ধরে ওই ছাত্রীকে যৌন হয়রানি ও বিভিন্ন সময় কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিলো। বখাটে সানাউল্লার অভিভাবকদের কাছে অভিযোগ দিয়েও কোন প্রতিকার পায়নি ছাত্রীর পরিবার।

ছাত্রীর বাবা বরিশালে চাকরি করে। এ কারনে ওই ছাত্রীকে সহপাঠি সানাউল্লাহ তুলে নেওয়ার হুমকিতে ভয়ে স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়ে এক শিক্ষকের কাছে ২/৩ টি প্রাইভেট দিয়েছিলাম। সেখানে গিয়েও সানাউল্লাহ পড়ার ছলে ছাত্রীকে যৌন হয়রানি করতো। পরে প্রাইভেটও পড়া বন্ধ করে পূর্ব থেকে রাখা গৃহ শিক্ষক ওমর আলির দ্বারা ঘওে বসেই পড়াচ্ছি। এ কারনে ওই ছাত্রী বাহিরে বের না হওয়ায় সানাউল্লাহসহ ৭ থেকে ৮জন বখাটে দীর্ঘ দিন ধরে গৃহ শিক্ষক ওমর আলিকে বাসায় পড়াতে নিষেধ করে আসছিল।

ওমর আলি পড়ানো বন্ধ না করায় ক্ষিপ্ত হয়ে গত ১৪ মে শনিবার সন্ধ্যায় বাড়িতে পড়াতে আসার পথিমধ্যে ওৎ পেতে থাকা বখাটে সানাউল্লাসহ ৭ থেকে ৮জনে পিটিয়ে ও চর থাপ্পর ঘুষি মেরে আহত করে। ওমর আলী রাজাপুরে একিট ক্লিনিকে চিকিৎসা নেয়। ছাত্রীটির মা অভিযোগে জানান, বর্তমানে ওই বখাটের দল ফোনে ওই ছাত্রীকে তুলে নেয়াসহ তাদের বিভিন্ন রকম হুমকি দিয়ে আসছে।

রাজাপুর থানার ওসি শেখ মুনীর উল গীয়াস জানান, ছাত্রীর বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে সানাউল্লাহকে আটক করা হয়। কিন্তু অভিযুক্ত অপ্রাপ্ত বয়স্ক স্কুল ছাত্র হওয়ায় তাকে কঠোরভাবে সতর্ক করে অভিভাবকদের কাছ থেকে মুচলেকা রেখে গভীর রাতে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে যদি এ রকম কোন ঘটনা ঘটায় তাহলে তার বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হবে।