২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

বরগুনায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের হোতাসহ গ্রেপ্তার ১১

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৯:২১ অপরাহ্ণ, ২০ এপ্রিল ২০১৮

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস এবং উত্তর বিতরণ চক্রের মূল হোতা হুমায়ুন কবীরসহ ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে বরগুনা জেলা পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত বরগুনার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

শুক্রবার (২০ এপ্রিল) বেলা ১টায় জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রেসব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার বিজয় বসাক।

গ্রেফতাররা হলেন- বরগুনা পৌরসভার ৮নম্বর ওয়ার্ডের মাহবুব হোসেনের স্ত্রী নাজমুন নাহার নাজমা (৩৮), তার কন্যা মারিয়া আক্তার (১৬), তালতলী উপজেলার উত্তর ঝাড়াখালী গ্রামের আব্দুল আজিজ সিকদারের ছেলে মো. ইউনুস মিয়া (৩৫), বেতাগী উপজেলার কাজিরাবাদ ইউনিয়নের আফাজ উদ্দীনের ছেলে মো. রেজাউল করিম (২৫), পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলার বাজিতা গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে মো. আরেফিন (২৭), কিশোরগঞ্জ জেলার কাটাখালী উপজেলার বনগ্রামের আব্দুল কাদেরের ছেলে মো. আলী আকবর (২৮), বেতাগী উপজেলার ৫নং ওয়ার্ডের আব্দুল কাদের শরীফের ছেলে সাকিবুর রহমান (২৬) ও হাসান মেহেদী (২৪), বামনা উপজেলার মো. মিজানুর রহমানের স্ত্রী মাছুমা বেগম (৩২) এবং পাথরঘাটা পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের মৃত আব্দুস ছত্তারের মেয়ে মনিরা আক্তার (২৫)।

এসময় তাদের কাছ থেকে দুই লাখ ৫৮ হাজার টাকা, পরীক্ষার হলে উত্তর সরবরাহের জন্যে আধুনিক প্রযুক্তির ৭টি ডিভাইস ও ৫টি ক্ষুদ্র হিয়ারিং ডিভাইস, ২৩টি মোবাইল এবং ৬টি প্রবেশপত্র উদ্ধার করে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার রাতে মাহববুর রহমানের কাছে উত্তরপত্র সরবরাহের ডিভাইস ক্রয় করতে আসেন মো. ইউনুস। ডিভাইস কেনার টাকা লেনদেনের সময় তাদেরকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম। এসময় তাদের তথ্য অনুযায়ী মাহবুবুর রহমানের বাসায় অভিযান চালিয়ে উত্তরপত্র সরবরাহের তিনটি ডিভাইস উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর আজ দিনভর পরীক্ষাচলাকালীন সময় বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে অন্যন্যদের গ্রেফতার করা হয়।

জানা গেছে, এ চক্রের মূল হোতা হুমায়ূন কবীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা গবেষণা ইন্সটিউট (আইইআর) থেকে পাস করে প্রথমে অগ্রণী ব্যাংকে ও পরে সাধারণ বীমা কর্পোরেশনে চাকরি করতেন।

তার বাড়ি পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলার ৫নং কাকড়াবুনিয়া ইউনিয়নের গাজিপুরা গ্রামে। তার বাবার নাম মৃত শাহ আলম হাওলাদার।

বরগুনার পুলিশ সুপার বিজয় বসাক (বিপিএম) বলেন, মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে প্রথমে প্রশ্ন ফাঁস করে পরে আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির সমন্বয়ে অতিক্ষুদ্র গোপন ইয়ার ফোনের মাধ্যমে পরীক্ষার হলে উত্তর সরবরাহের পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছিলো এ চক্রটি। এ চক্রের সাথে জড়িত অন্যান্যদের গ্রেফতারে এ অভিযান এখনও চলমান রয়েছে।’

13 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন