২৩শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, মঙ্গলবার

বরিশালের দোয়ারিকা সেতুতে মৃত্যুফাঁদ!

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১২:০৯ অপরাহ্ণ, ১৩ জুন ২০১৮

দরজায় কড়া নাড়ছে ঈদুল ফিতর। আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে ঈদ করতে তাই বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে কর্মসূত্রে রাজধানীতে থাকা বাসিন্দারা। বৃষ্টি, অতিরিক্ত ভাড়া এবং পথের নানা দুর্ভোগ নিয়েই বাস, ট্রেন ও লঞ্চযোগে ফিরছেন তারা।

অনেকেই আবার বাস, ট্রেন ও লঞ্চের চাপ না নিয়ে মোটরসাইকেল নিয়েই প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ ভাগাভাগি করতে ব্যস্ত শহর ঢাকা ছাড়ছেন। কিন্তু বৃষ্টির কারণে কোনো কোনো সড়কে কাদা ও পানি জমায় এ যাতায়াতও দুর্বিশহ করে তুলেছে। তড়িঘড়ি সংস্কারের কারণেই এ অবস্থা বলে অভিযোগ যাত্রী ও চালকদের।

এদিকে তড়িঘড়ি সড়ক সংস্কারের পাল্লায় পড়ে সংশ্লিষ্টদের অসচেতনতারও প্রমান মিলেছে কিছু কিছু এলাকায়। এসব স্থানে সড়ক সংস্কারের সংশ্লিষ্টদের গাভিলতিতে প্রতিদিনই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন অনেকে। সচেতনতার অভাবে অনেক সড়ক তৈরি হয়েছে মৃত্যুফাঁদে।

ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সেতু (দোয়ারিকা সেতু) থেকে নামার এমনই এক পথ তৈরি হয়েছে মৃত্যুফাঁদে। সড়ক মেরামতের জন্য ব্যবহৃত গুড়া পাথরগুলো রাখা হয়েছে পুরো সড়কজুড়ে। এতে সংকীর্ণ হয়ে কোনমতে একটি বাস যাওয়ার যায়গা রয়েছে। সেই আংশিক সড়কেও পড়ে আছে গুড়া পাথর। আর এতে প্রতিনিয়তই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন মোটরসাইকেলসহ নানা যানবাহন।

স্ত্রীকে নিয়ে মোটরসাইকেল নিয়ে গতকাল এ ব্রিজ দিয়ে নামার সময় দুর্ঘটনার শিকার লিংকন আহমেদ বরিশালটাইমসকে জানান- ‘পুরো সড়কটির তিনের দুই অংশ গুড়াপাথর ফেলে দখল করে রাখা হয়েছে। বাকি যতটুকু সড়ক রয়েছে তাতেও কমবেশি গুড়াপাথর পড়ে আছে। গতকাল রাতে ওই গুড়াপাথরে বাইকের চাকা স্লিপ করে পড়ে যাই। এতে আমি ও আমার স্ত্রীর গুরুতর আহত হই। শুধু আমরাই না, কিছুক্ষন পর পর এখানে দুর্ঘটনা ঘটেই যাচ্ছে। এর আসলে প্রতিকার কি হতে পারে?’

তবে এই ভোগান্তি ছাপিয়ে বাড়ি ফেরার আনন্দই মুখ্য লিংকন আহমেদের কাছে। অপর যাত্রীদের অবস্থাও একই। ভোগান্তির পরও বাড়ি ফেরা ও প্রিয়জনের সান্নিধ্যেই তাদের কাছে এক বড় শান্তি।’

7 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন