২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার

বরিশালে নৌ ধর্মঘটে চরম ভোগান্তি

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১১:২২ অপরাহ্ণ, ২১ এপ্রিল ২০১৬

বরিশাল: সর্বনিু মজুরি ১১ হাজার টাকা, লঞ্চঘাটে চাঁদাবাজি বন্ধসহ ১৫দফা দাবিতে বরিশালসহ সারাদেশে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ নৌ-যান পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন। বুধবার রাত ১২টা ১মিনিট থেকে এ ধর্মঘট শুরু হয়। কর্মবিরতির কারণে বরিশাল টার্মিনাল থেকে দক্ষিণাঞ্চলের নৌপথে কোনো নৌযান ছেড়ে যায়নি।

 

ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রী সাধারণ। শ্রমিকদের অভিব্যক্তি হচ্ছে, তাদের যৌক্তিক দাবি বাস্তবায়ন নিয়ে সরকার এবং লঞ্চ মালিকদের অনেক টালবাহানার শিকার হয়েছেন। এবার দাবি না মানা পর্যন্ত নদীর পানি নড়বে না, উঠবে না লঞ্চের নোঙর উঠবে না। এমনকি বরিশাল-ঢাকা রুটে যাত্রী পরিবহনকারী লঞ্চও চলবে না।’

 

তবে রাতে খবর পাওয়া গেছে, সংগঠনটির নির্দেশনা অমান্য করে রাজ্জাক মাস্টার এমভি টিপুতে যাত্রী নিয়ে রওনা হয়েছে। এর আগে বেলা ১১টার দিকে বরিশাল লঞ্চঘাট এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, অভ্যন্তরীণ রুটের লঞ্চগুলো টার্মিনালের নোঙর করা রাখা হয়েছে। আর শ্রমিকরা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষে তাদের কার্যালয়ে চলমান কর্মবিরতির স্বপক্ষে সভা করেন। পরবর্তীতে সংগঠনের নেতাকর্মীরা নৌ বন্দর এলাকায় একটি বিক্ষোভ মিছিলও করেন।

 

এদিকে, দুর-দুরন্ত থেকে যাত্রীরা এসে টার্মিনালে অবস্থান করে অধীর অপেক্ষা করছিলেন, কখন লঞ্চ ছাড়ে। আবার কেউ কেউকে ধৈর্যহারা হয়ে চলে যেতেও দেখা গেছে। এর মধ্যে দু’যুবকের হাতে ভর করে আসা এক অসুস্থ্য নারীকেও টার্মিনালে আসতে দেখা যায়। তাকে বেশ কয়েক মিনিট টার্মিনালে লঞ্চের জন্য অপেক্ষাও করতে দেখা যায়। ওই নারীর সাথে থাকা যুবকরা জানান, তিনি একজন অপারেশনের রোগী। ওই নারীর নাম গীতা রাণী। তার বাড়ি মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার উলানীয়া ইউনিয়নে। বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা শেষে তাকে মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে এসেছিলেন। কিন্তু লঞ্চ না ছাড়ার কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।’

 

এ বিষয়ে বাংলাদেশ নৌ-যান পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন বরিশাল আঞ্চলিক অফিসের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক একীন আলী মাস্টার জানান, বিষয়টি সমাধানে মঙ্গলবার তাদের কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে নৌ মন্ত্রী শাজাহান খান এবং লঞ্চ মালিকরা বসেছিলেন। কিন্তু এসময় তারা ১৫ দিনের টাইম চাইলে তা না দিয়ে কর্মবিরতির সিদ্ধান্তে অনঢ় থাকার বিষয়টি জানিয়ে দেয়া হয়।

 

কেন্দ্রীয় নেতাদের বরাত দিয়ে বরিশালের এই নেতা জানান, এবারে দাবিগুলো বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। প্রয়োজনে আরও কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা আসতে পারে বলে আভাস দিয়েছেন একীন আলী মাস্টার।’ তার ভাষায়, একই দাবিতে গত ২৬ জানুয়ারি অনিদিষ্টকালের কর্মবিরতির আহবান করা হলে তা নৌমন্ত্রী এবং মালিকদের আশ্বাসে তুলে নেয়া হয়। কিন্তু দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও তা বাস্তবায়ন করা হয়নি। বরং তাদের সাথে প্রতারণা করা হয়েছে বলে দাবি করেন। যে কারণে ফের কঠোর সিদ্ধান্তে যেতে বাধ্য হয়েছেন।’

6 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন