২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার

বরিশাল-ঢাকা নৌরুটের লঞ্চে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১১:৩৮ অপরাহ্ণ, ৩১ আগস্ট ২০১৭

স্বজনদের সাথে ঈদ করতে বাড়িফেরা মানুষের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে বরিশাল নদী বন্দরে। বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টা থেকেই স্পেশাল সার্ভিসের লঞ্চগুলো বরিশাল নদী বন্দরে পৌঁছতে থাকে। বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) ভোর ৫টা পর্যন্ত সরকারি জাহাজসহ ২২টি লঞ্চ অর্ধলক্ষাধিক যাত্রী নিয়ে বরিশাল ঘাটে পৌঁছে।

তবে লঞ্চ সার্ভিসের বিষয়ে কোনো অভিযোগ না থাকলেও অতিরিক্ত ভাড়া নিয়ে অভিযোগ করেছেন ঢাকা থেকে বরিশাল আসা একাধিক যাত্রী।

শিবানা খাতুন নামের ঢাকায় কর্মরত বেসরকারি একটি ব্যাংকের কর্মকর্তা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, সাধারণের তুলনায় লঞ্চ ভাড়া অনেক বেশি। তবে ঈদুল আযহা পরিবারের সাথে কাটানোর তাগিদে বেশি ভাড়া দিয়েই বরিশাল পৌঁছতে হয়েছে।

রাজধানী থেকে রেডসান লঞ্চে করে আসা আমির হোসেন নামে এক গার্মেন্ট কর্মী সাংবাদিকদের বলেন, ডেকে সাধারণ সময় দুইশ টাকা করে ভাড়া হলেও লঞ্চ স্টাফরা জোড় করে চারশ টাকা করে ভাড়া আদায় করছে। এ টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে হট্টগোল বেঁধে যায়।

তবে বিষয়টি পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন লঞ্চ স্টাফরা। তাদের দাবি, লঞ্চ ভাড়া স্বাভাবিকের মতই নেয়া হচ্ছে।

এ বিষয়ে বরিশাল বিআইডব্লিউটিএর নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপ-পরিচালক আজমল হুদা সরকার মিঠু বরিশালটাইমসকে বলেন, এ বিষয়টি তারা শুনেছেন। লঞ্চ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা গ্রহ্ণ করা হবে।

বরিশাল নৌ বন্দর থানার সেকেন্ড অফিসার উপ-পরিদর্শক শফিকুল ইসলাম বরিশালটাইমসকে জানান, বুধবার দিবাগত রাত ১২ টা থেকে বৃহস্পতিবার ভোর পর্যন্ত ঢাকা থেকে যাত্রী নিয়ে সুরভী ৮, ৯, সুন্দরবন ১০, ১১, পারাবাত ৯, ১০, ১১, ১২, টিপু ৭, তাসরিফ ২, ৩, কীর্তনখোলা ১, ২, কালাম খান ১, অ্যাডভেঞ্চার ১ ও মৌসুমী ২ সরাসরি বরিশাল নদী বন্দরে আস। এছাড়া ভায়া রুটে সুন্দরবন ৫, ১২, কিং সম্রাট ২ এবং রেডসান ৫ লঞ্চগুলো স্পেশাল সার্ভিসের তৃতীয় দিনে যাত্রী নিয়ে গন্তব্যে পৌঁছায়। পাশাপাশি স্টিমার পিএস মাহসুদ ও মধুমতি যাত্রী পরিবহন করেছে ঢাকা থেকে।

তিনি আরও জানান, রাত ২ টা থেকেই বন্দর এলাকাসহ আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। যাতে ঘরমুখো মানুষ লঞ্চ থেকে নেমে নিরাপদে বাড়িতে যেতে পারে। নৌ থানা ও কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ নদী বন্দর ও আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিতে দায়িত্ব পালন করেছেন। আর ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা বন্দরের সামনের সড়কে যানবাহন চলাচলের নিয়ন্ত্রণ রাখার কাজে নিয়োজিত ছিলেন। ফলে যাত্রীদের কোনো ভোগান্তির খবর পাওয়া যায়নি।

অপরদিকে রাত ১২টা থেকে লঞ্চ বরিশাল নদী বন্দরে ঘাট দেয়া শুরু করলেও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা নদী বন্দরে তাদের ডিউটি শুরু করে প্রায় তিন ঘণ্টা পর। এ নিয়ে বেশ যাত্রীদের সেবায় বিড়ম্বনা হওয়ায় ক্ষুদ্ধ অবস্থায় দেখা যায় বিআইডব্লিউটিএর কর্মকর্তাদের।

বিষয়টি নিয়ে ফায়ার সার্ভিসের নৌ স্টেশনের অফিসার মো. হানিফ বরিশালটাইমসকে জানান, আমাদের ডিউটি শুরু ভোর তিনটা থেকে। সেসময় থেকেই আমরা যাত্রীদের সেবায় নিয়োজিত ছিলাম। দুইটি রেসকিউ স্পিডবোট, একটি অগ্নিঘাতক জলযান ও একটি অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে নদী ও নদী বন্দরে তারা দায়িত্ব পালন করেছেন।

অন্যদিকে বৃহস্পতিবার ভোর রাতে তাসরিফ ২ লঞ্চ থেকে দুই অজ্ঞান পার্টিকে আটক করেছে নৌ পুলিশ।

বরিশাল নৌ বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বেলাল হোসেন বরিশালটাইমসকে জানান, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘরে ফেরা যাত্রীদের সেবায় নিয়োজিত রয়েছে। লঞ্চ থেকে নামার পর যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে পথে পথে নিরাপত্তা দিচ্ছে পুলিশ।”

14 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন