২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

বরিশাল ঢাকা নৌরুটে চাপ নেই, স্বাচ্ছন্দে ফিরছে যাত্রীরা

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১১:০১ অপরাহ্ণ, ১১ জুন ২০১৮

ঈদ আসতে আরও চার থেকে পাঁচদিন বাকি। এরইমধ্যে নাড়ির টানে অল্প বিস্তর মানুষ রাজধানী ছাড়তে শুরু করেছেন। তবে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ছুটি শুরু না হওয়ায় এখনো যাত্রী চাপ স্বাভাবিক সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে।

সোমবার (১১ জুন) ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া ও ছাড়ার অপেক্ষায় থাকা বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা, ঝালকাঠি, বাঘেরহাটসহ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন লঞ্চে স্বাভাবিক যাত্রীচাপ দেখা গেছে। স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় কিছু সংখ্যক যাত্রী বাড়লেও খুব বেশি ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে না তাদের। কারণ নদীপথে যারা চলাচল করেন তাদের অধিকাংশই আগে ভাগে ফোনে টিকিট বা কেবিন বুকিং দিয়ে রাখেন।

তবে যারা ইনস্ট্যান্ট টিকিট কিনে লঞ্চে ভ্রমণ করতে চান তাদের কিছুটা বেগ পেতে হলেও দুই তিনটি লঞ্চে খোঁজ করলেই পেয়ে যাচ্ছেন। দেশের প্রধান নদীবন্দর সদরঘাটের বিভিন্ন লঞ্চ ও টার্মিনাল ঘুরে দেখা গেছে- সরকারি-বেসরকারি অফিস আদালতে এখনো ঈদের ছুটি ঘোষণা না হওয়ায় সদরঘাটে ঈদের যে পরিমাণ যাত্রীচাপ থাকার কথা তা এখনো শুরু হয়নি।

এখনকার যাত্রীদের মধ্যে নারী ও শিশুর আধিক্যই বেশি। কারণ অনেকেই ঈদের আগের ভিড় ও অতিরিক্ত যাত্রী চাপ থেকে শিশু ও নারীদের রক্ষা করতে তাদের আগে-ভাগে বাড়ি পাঠিয়ে নিশ্চিন্ত হতে চাইছেন। এছাড়া অতিরিক্ত ভিড় যাদের পছন্দ নয় তাদের কেউ কেউ এখন সওয়ার হচ্ছেন লঞ্চে। টার্মিনালে দাঁড়িয়ে কথা হয় বেসরকারি চাকরিজীবী ইশফাক কামালের সঙ্গে। তিনি বলেন- আমার যেতে যেতে ১৩ বা ১৪ তারিখ হয়ে যাবে। আর তখন এসব লঞ্চে তিল ধারণের জায়গা থাকবে না।

তাই ঝামেলা এড়াতে আগে ভাগে মা, স্ত্রী ও ছেলেকে পাঠিয়ে দিচ্ছি। বরিশালগামী ইনজামামুল হাসান সাংবাদিকদের বলেন, এখন লঞ্চে চাপ নেই বললেই চলে। দিন যত যাবে যাত্রীও তত বাড়বে। তাই শেষ মুহূর্তের ভিড়ে বাড়ি ফেরার চেয়ে এখন আগে-ভাগে বাড়ি ফেরাকেই উপযুক্ত মনে করছি। আর এসেই কেবিন পেলাম যা দু’দিন পর থেকে সোনার হরিণ হয়ে দাঁড়াবে। কথা হয় সুন্দরবন লঞ্চের বুকিং ম্যানেজার মো. কামাল উদ্দিনের সঙ্গে।

তিনি বলেন, মানুষ যাবে ঈদের আগের দুইদিন। এখন যাত্রী নেই, তাই কিছু যাত্রী আগে-ভাগে বুকিং না দিয়েও কেবিন পাচ্ছেন। এছাড়া মঙ্গলবারের (১২ জুন) কিছু কেবিন এখনো বিক্রি হয়নি বলেও জানান তিনি।

এ বিষয়ে ঢাকা নদী বন্দরের যুগ্ম-পরিচালক (ট্রাফিক) আলমগীর কবির বলেন, সরকারি-বেসরকারি অফিস আদালত ও গার্মেন্টস এখনো ছুটি না হওয়ায় চাপ বাড়েনি। তবে শেষের দিকে চাপ বাড়বে। বিশেষত গার্মেন্টস ও শিল্প কারখানা ছুটি হলে মাত্রাতিরিক্ত চাপ বাড়ার আশংকা রয়েছে।

আমরা আপনাদের মাধ্যমে সবাইকে বলতে চাই যারা কাজের চাপে শেষ মুহূর্তে বাড়ি ফিরবেন তারা অন্তত এখন যেন তাদের পরিবারের অন্য সদস্যদের বাড়ি পাঠান। এতে চাপ অনেকটা কমবে।’’

3 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন