২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

বরিশাল ঢাকা নৌরুটে লঞ্চে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৫:৩৯ অপরাহ্ণ, ১৮ জুন ২০১৭

ঈদ উল ফিতরকে কেন্দ্র করে বরিশাল ঢাকা নৌরুটে যাত্রী পরিবহনকারী লঞ্চে ভাড়া বাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে মালিকদের বিরুদ্ধে।  সরকার নির্ধারিত ভাড়ার ফাঁদে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে।

অবশ্য লঞ্চ মালিকরা সারা বছর যে হারে ভাড়া নেয় ঈদ আসলেই তা বদলে যায় সরকার নির্ধারিত ভাড়ার অজুহাতে।

তবে লঞ্চ মালিক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও সুন্দরবন নেভিগেশন কোম্পানির সত্ত্বাধিকারী সাইদুর রহমান রিন্টু লঞ্চভাড়া বাড়ানোর কথা স্বীকার করেছেন। তার দাবি বলেন, তারা সরকার নির্ধারিত ভাড়ার মধ্যেই বাড়তি ভাড়া নেবেন। সারা বছর প্রতিযোগিতামূলক ব্যবসার কারণে লঞ্চ মালিকরা যাত্রীদের কাছ থেকে কম ভাড়া নিয়ে থাকেন। এতে অনেক সময় তাদের লোকসান গুণতে হয়। ঈদে তাদের লোকসান সমন্বয় করা হয়।

তবে লঞ্চ মালিকদের একাধিক নির্ভরযোগ্যসূত্র জানিয়েছে, সারা বছর রাজধানী থেকে দক্ষিণাঞ্চলগামী লঞ্চগুলোতে ডেকে ২০০, সিঙ্গেল কেবিন ৯০০ এবং ডাবল কেবিন ১৮০০ টাকা ভাড়া নেওয়া হয়। ভিআইপি কেবিনের ভাড়া নেওয়া হয় প্রকারভেদে ৩ থেকে ৭ হাজার টাকা।

কিন্তু সরকারের সবশেষ নির্ধারিত লঞ্চভাড়া অনুযায়ী ডেকে যাত্রী ভাড়া ২৫৮, সিঙ্গেল কেবিন ১৩৫০ এবং ডাবল কেবিন ২৩৫০ টাকা। সরকার নির্ধারিত ভাড়ার ক্ষেত্রে ভিআইপি কেবিনের ভাড়া নির্ধারণ করা নেই।

সারা বছর লঞ্চ মালিকরা উপরোক্ত ভাড়া নিলেও ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আযহার সময় সরকার নির্ধারিত ভাড়ার অজুহাত তুলে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করেন। ঈদ পূর্ব এবং পরবর্তী ১৫দিন চলে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়।

সুন্দরবন নেভিগেশন কোম্পানির পরিচালক আকতার হোসেন আকিজ সাংবাদিকদের জানান- ঈদের বিশেষ সার্ভিস চলাকালীন সময়ে লঞ্চ মালিকরা যাত্রীদের কাছ থেকে সরকার নির্ধারিত ভাড়া নেবেন। সরকার নির্ধারিত রেটের মধ্যে থেকেই এবারের ঈদে ডেক ২৫০, সিঙ্গেল (এসি/ননএসি) ১১০০ এবং ডাবল (এসি/ননএসি) ২২০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।’’

ফলে ঈদ উপলক্ষে ৪ হাজার টাকার ভিআইপি কেবিনের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ থেকে ৭হাজার টাকা।

সালমা শিপিং লাইন্সের সত্ত্বাধিকারী মঞ্জুরুল আহসান ফেরদৌস সাংবাদিক জানান, সারা বছর লঞ্চ মালিকরা সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে ৩০ থেকে ৪০ ভাগ কম ভাড়ায় যাত্রী পরিবহন করে। এতে অনেক রুটে লোকসানও হয়। ঈদের সময় যাত্রী বেশী হওয়ার কারণে ওই লোকসান কাটিয়ে ওঠার সুযোগ হয়।’

তাছাড়া বিশেষ সার্ভিস দিতে গিয়ে ঈদের আগে ও পরে উভয় প্রান্ত থেকে খালি জাহাজ চালিয়ে যেতে হয়। এজন্য লঞ্চ মালিকরা জ্বালানী তেলের বাড়তি ব্যয় পুষিয়ে নিতে সরকার নির্ধারিত ভাড়ার মধ্যেই বাড়তি ভাড়া নিয়ে থাকেন।

তবে যাত্রীদের অভিযোগ, লঞ্চ মালিকরা ঘরমুখো লাখ লাখ মানুষের অসহায়ত্বকে পূঁজি করে দুটি ঈদ উৎসবে সরকারি ভাড়া হারের নামে যাত্রীদের ফাঁদে ফেলেন। আর কোটি কোটি টাকা অতিরিক্ত ভাড়া হাতিয়ে নেন। ঈদ উৎসবে লঞ্চভাড়া বাড়ানো প্রসঙ্গে মালিক সমিতি কেন্দ্রিয় কমিটির সহ সভাপতি সাইদুর রহমান রিন্টু বলেন, অন্য সময় যাত্রী কম থাকে।

ভাড়াও কম নেওয়া হয়। বিষয়টি প্রতিযোগিতামূলক বিধায় যখন যাত্রী বেশী হয় তখন ভাড়া বাড়ানো হয়। তবে তা সরকার নির্ধাারিত ভাড়ার মধ্যেই তারা ভাড়া নিয়ে থাকেন।”

3 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন