২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

বরিশাল পুলিশের বিএনপি প্রীতি, তোলপাড়

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১১:২৩ অপরাহ্ণ, ০৪ মে ২০১৬

বরিশাল: বরিশাল পুলিশ যখন নানা অভিযোগে প্রতিনিয়ত সংবাদপত্রের শিরোনাম হচ্ছে, ঠিই সেই সময়েই আরেকটি বড় ধরণের বিতর্কের সৃষ্টি করলো। বিশেষ করে সেই ঘটনা সর্বমহলের আলোচনা-সমালোচনায় নগরীতে তোলপাড় অবস্থায় সৃষ্টি করছে। বরিশাল মহানগর ছাত্রদল আরাফাত হোসে অনিককে মাদকসহ আটকের পরে রফাদফায় মাধ্যমে অবশেষে সন্দেহজন ধারায় আদালতে সোপর্দ করায় এ ঘটনায় শোরগোল পড়ে গেছে। সেই সাথে ফুটে উঠেছে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের বিএনপি প্রীতির বিষয়টি। যদিও বরিশাল পুলিশের উচ্চমহলের দাবি এ ঘটনায় সম্পর্কে তারা অবগত নয়। তবে বরিশাল ছাত্রদলের একটি সূত্র বলছে, আপোষ রফাদফা ফাঁড়ি পুলিশ করলেও উচ্চ কর্মকর্তারা বিষয়টি সম্পর্কে অবগত। এমনকি রফাদফায় যে টাকা এসেছে তার একটি অংশ পুলিশের শীর্ষ মহলকে দেয়া হয়েছে।

 

যে কারণে অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কোনরূপ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। পুলিশের এ ধরণে ভুমিকা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের অস্বস্তিতে ফেলেছে। এক্ষেত্রে এখানকার আ.লীগ নেতাকর্মীদের অভিব্যক্তি হচ্ছে, বরিশাল পুলিশ দেশবিরোধী চক্র জামায়াত-বিএনপিকে মাথাচারা দিয়ে উঠতে সুযোগ করে দিচ্ছে। ঘটনায় প্রকাশ মঙ্গলবার মধ্যরাতে বরিশাল নগরীর নবগ্রাম সড়ক সংলগ্ন অক্সোফর্ড মিশন এলাকা থেকে ১৯ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদল নেতা আরাফাত হোসেন অনিককে বিপুল পরিমান ইয়াবাসহ আটক করে আলেকান্দা পুলিশ ফাঁড়ি। এক পর্যায়ে তাকে আটকের ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে বরিশাল নগরীতে হৈচৈ পড়ে যায়।

বিশেষ করে এই ছাত্রদল নেতাকে ছাড়িয়ে নিয়ে ছাত্রদল এবং বিএনপির একটি অংশ রাতেই ফাঁড়িতে অবস্থান নিয়ে জোর তদ্বির চালায়। কিন্তু আটকের বিষয়টি ফাঁড়ি পুলিশ সাথে সাথে উচ্চমহলকে জানিয়ে দেয়ার কারণ দেখিয়ে তাকে ছাড়তে বাধ সাধে। তবে গভীর রাত অবধি আপোষ রফাদফার পরে সিদ্ধান্ত হয় ছাত্রদল নেতাকে সন্দেহভাজন ধারায় আদালতে সোপর্দ করার। বিনিময়ে সেখানকার ফাঁড়ি পুলিশের ইনচার্জ টিএসআই সেকেন্দার আলী ওই ছাত্রদল নেতার পরিবারের কাছ থেকে ৫০হাজার টাকা উৎকোচ গ্রহণ করেন। যে কারণে পরদিন অর্থাৎ বুধবার ওই ছাত্রদল নেতাকে সন্দেহভাজন ধরায় বরিশাল মেট্রোপলিটন কোতয়ালি মডেল থানায় সোপর্দ করে ফাঁড়ি পুলিশ। কিন্তু এ আপোষ রফাদফার বিষয়টি চাউর হয়ে যাওয়ায় নগরীতে তোলপাড় অবস্থা সৃষ্টি হয়।

 

অথচ আপোষ রফাদফার অনুঘটক ফাঁড়ি পুলিশের ইনচার্জ সেকেন্দার আলীর দাবি হচ্ছে, রাতের নগরীতে ঘোরাঘুরি করায় সন্দেহভাজন হিসেবে অনিককে আটক করা হয়। পরবর্তীতে তাকে সেই ধারায়ই আদালতে সোপর্দ করা হয়। সুতরাং আপোষ রফাদফার বা ঘুষ বাণিজ্যের কোন প্রশ্ন আসতে পারেনা। কিন্তু বিষ্ময়কর ব্যাপার হচ্ছে, বরিশাল মহানগর ছাত্রদলের আহবায়ক খন্দকার আবুল হাসান লিমন স্বীকার করেছেন অনিককে ইয়াবাসহই আটক করা হয়েছিলো। এমনকি তার দলীয় এক নেতার সহযোগিতায় পরিবারের লোকজন ফাঁড়ি পুলিশের সাথে সমঝোতায় গেছেন। এ বিষয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের মুখপাত্র সহকারি কমিশনার (এসি) আবু সাঈদ বলেন, তার বিষয়টি জানা নেই। কেন ফাঁড়ি পুলিশ এভাবে এড়িয়ে গেলো তা খতিয়ে দেখা হবে।’

11 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন