২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বুধবার

বাউফলে পোড়া মবিল দিয়ে সড়ক সংস্কার!

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৮:১২ অপরাহ্ণ, ২৬ মে ২০১৮

পটুয়াখালীর বাউফল সদর ইউনিয়নের হোসনাবাদ সরকারী প্রাইমারী স্কুল সংলগ্ন আরসিসি ব্রিজ থেকে আলম গাজীর বাড়ি পর্যন্ত ২৩ লাখ টাকা ব্যয়ে দেড় কিলোমিটার সড়কটি নির্মাণের পর সপ্তাহ যেতে না যেতেই অধিকাংশ জায়গার কার্পেটিং উঠে গিয়ে বেহাল অবস্থায় পরিণত হয়েছে। নিম্নমানের কাজ করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) তত্ত্বাবধানে কোহিনুর এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান সড়কটির নির্মাণ কাজ করে।

শনিবার (২৬ মে) দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে- সড়কটির অনেক স্থান থেকেই উঠে গেছে সদ্য করা কার্পেটিং। সামান্য খোঁচাতেই বের হয়ে আসছে যাচ্ছে পূর্বের ভাঙাচোরা সড়কের অংশ। সড়কটিতে সঠিকভাবে রোলার না করায় পুরো সড়কজুড়েই এবরো থেবরো অবস্থা।

সড়কটির তালকুদার বাড়িরর সামনে গিয়ে দেখা গছে- কয়েক শিশু সড়কটির ওপর উঠে যাওয়া কার্পেটিংয়ের পাথর হাত দিয়ে কুড়িয়ে খেলা করছিল। সড়কটিতে নিম্নমানের কাজ করায় স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এ প্রতিনিধিকে দেখে জনৈক এক ব্যক্তি বলেন, ‘ভাই এই রাস্তায় মনে হয় কোনো বিটুমিন দেয় নাই। খালি পোড়া মবিল দিয়া করছে। বিটুমিন দিয়াই যদি রাস্তা করত তাইলে রাস্তার এই দশা হইতো না। রাস্তা করার সপ্তাহ যাইতে না যাইতেই পুরা রাস্তার ওপর দিয়া পিছ ধূলের মত উইঠ্যা যাইতে আছে।’

সড়কটি নির্মাণের সময় যথাযথ তদারকি না থাকায় এ অবস্থা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন স্থানীয়দের কেউ। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েক ব্যক্তি জানান, সড়কটির তদারকি কর্মকর্তা ছিলেন, এসও আব্বাস উদ্দিন। ওই এলাকাই তার বাড়ি। ঠিকাদারের কাজ থেকে অনৈতিক সুবিধা নেয়ায় কারণেই সড়কের কাজ খারাপ হয়েছে। আর এ কারণে তিনি এলাকার লোকজনের কাছে ব্যাপক সমালোচিত হয়েছেন। কিন্তু ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পায়নি।

এ ব্যাপারে বাউফল উপজেলা প্রকৌশলী মো. জহিরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি নিজে ওই সড়কটি ভিজিট করেছি। আমার চোখে কোথোও কোনো ত্রুটি ধরা পড়েনি। কিন্তু পরবর্তীতে যদি কোথাও কোনো সমস্যা তৈরী হয় তাহলে তা সংশোধন করে বিল দেয়া হবে।’

8 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন