২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

বাসদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পুলিশের পরিকল্পিত হামলা : একে আজাদ (ভিডিও)

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১২:৪৬ অপরাহ্ণ, ২০ এপ্রিল ২০১৮

বরিশাল নগরীতে ব্যাটারীচালিত অটোরিকশা মালিক শ্রমিকদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় পুলিশের এসি ওসিসহ ৬ সদস্য আহত হয়েছেন। একই সাথে পুলিশের অতর্কিত পিটুনীতে অন্তত ১০ আন্দোলনকারী আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় পুলিশ আন্দোলনকারী অর্থাৎ বরিশাল জেলা বাসদের সদস্য সচিব ডা. মনিষা চক্রবর্তীসহ ৬ জনকে আটক করেছে।

এই ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টার দিকে শহরের জেলা জজ আদালতের সম্মুখ ফজলুল হক এভিনিউ রোডে।

পুলিশ পরিকল্পিতভাবে এই হামলা চালিয়েছে বলে মনে করছেন বরিশাল জেলা কমিউনিস্টের সভাপতি অ্যাডভোকেট একে আজাদ। সংঘর্ষের পরে একটি বেসরকারি টেলিভিশন মিডিয়াকে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এমন মন্তব্য করেন তিনি।’’

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে- বিকল্প ব্যবস্থা না করে ব্যাটারীচালিত রিকশা উচ্ছেদ বন্ধ ও প্রয়োজনীয় নীতিমালা করে লাইসেন্স দেওয়া দাবিতে বিক্ষোভ করছিল শ্রমিকরা। ডা. মনিষা চক্রবর্তীর নেতৃত্বে ওই মিছিল একসময় সড়কে অবস্থান নিলে যানবাহন চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। ফলে নগরভবনের সামনে গুরুত্বপূর্ন ৩টি সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়। ওই সময় পুলিশ তাদের সড়ক ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করে। অবশ্য প্রথম দফায় পুলিশের অনুরোধ শুনে আন্দোলনকারীরা সরে যায়।

পরবর্তীতে আবারও সড়কে অবস্থান নেয় আন্দোলনকারীরা। ওই সময় শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে শ্রমিকদের ওপর অতর্কিত লাঠিচার্জ করে পুলিশ। একপর্যায়ে আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী মনিষাকে রাস্তার পাশে ফেলে পুলিশ নাজেহাল করছে এমন দৃশ্য দেখে ঠিক থাকতে পারেনি আন্দোলনকারীরা। ওই সময় পুলিশ সদস্যদের প্রতিরোধে আন্দোলনকারীরা অগ্রসর হলে শুরু হয় সংঘাত। মিছিলে অংশ নেওয়া বাসদের জেলা কমিটির সদস্য সৈকত জানান-অসহায় অটোরিকশা শ্রমিকদের পক্ষে অবস্থান নিয়ে দাবি আদায়ে মাঠে নেমেছিলেন। সকালে ১০ টায় সদররোডে রিকশা শ্রমিক মালিক সংগ্রাম কমিটির ব্যানারে খালি হাতে বাসন নিয়ে মানববন্ধনও করেন।

পরে শ্রমিকদের নিয়ে ভূখা মিছিল সহকারে নগরভবনের সামনে গিয়ে সড়ক অবরোধ করেন। তাদের সেই শান্তিপূর্ন কর্মসূচিতে পুলিশ বিনা উস্কানিতে অতর্কিত হামলা করেছে। এতে তাদের অন্তত ১০ জন লোক আহত হয়েছেন।

আটক করা হয়েছে ডা. মনিষা চক্রবর্তী, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় নেতা প্রকৌশলী ইমরান হাবিব রুমন, নাসরিন আক্তার টুম্পা, মিঠুন চক্রবর্তী, নুরুল ইসলাম এবং জাকির হোসেন। তবে পুলিশের হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে বরিশাল কোতয়ালি মডেল থানার সহকারি কমিশনার শাহানাজ পারভীন বলছেন আন্দোলনকারীরা পুলিশের ওপর হামলা করেছিল। এতে তিনি ও ওসি শাহ্ মো. আওলাদ হোসেন মামুনসহ ৬ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।

এই ঘটনায় ২টি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। এই ঘটনার পর বিকেলে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ায় বরিশাল জেলা কমিউনিস্টের সভাপতি এ্যাডভোকেট একে আজাদ জানিয়েছেন তাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পুলিশ যে হামলা চালিয়েছে সেটা নজিরবিহীন। এই ঘটনায় তিনি নিন্দা জানানোর পাশাপশি আটক সকল নেতৃবৃন্দকে নিশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়েছেন।

আটকদের মুক্তি না দেওয়া হলে কঠোর কর্মসূচির দিকে ধাবিত হবে বাম সংগঠনগুলো বলে মনে করছেন তিনি।’

 

https://youtu.be/lS1owJeIHfQ

12 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন