২৩শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, মঙ্গলবার

বিএমপি’র তদন্ত : পরিচয় পেল নবজাতক ‘সপ্তর্ষী’

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৬:২১ অপরাহ্ণ, ২৪ জুন ২০১৮

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট: গত বছরের জানুয়ারী মাসে ধর্ষণের শিকার হন অঞ্জনা (২৫) নামের এক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী। বরিশাল নগরীর কাউনিয়া ১ম গলি এলাকার বাসিন্দা অতুল চন্দ্র শিকদারের মেয়ে অঞ্জনাকে ধর্ষনের ফলে সে গর্ভবতী হয়ে পরে। বিষয়টি কাউনিয়া থানা পুলিশ জানার পর অঞ্জনার পিতা একটি মামলা দায়ের করেন।

কাউনিয়া থানা থেকে দেয়া বকে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মামলা দায়েরের পর নিয়মানুযায়ী ভিকটিমের ডাক্তারী পরীক্ষা করানো হয় অঞ্জনাকে। ভিকটিম অঞ্জনা জন্মগত ভাবে একজন বুদ্ধি প্রতিবন্ধি। তার এবং তার গর্ভের সন্তানের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে আদালতের অনুমতি নিয়ে ভিকটিম অঞ্জনাকে সমাজ সেবা অধিদপ্তরের অধীনে সেইফ হোমে রাখা হয়। পরবর্তীতে উক্ত ভিকটিম ১টি কন্যা সন্তান প্রসব করেন। বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের সাবেক কমিশনার এসএম রুহুল আমীন এই নবজাতকের নাম রাখেন সপ্তর্ষী।

ওই বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, মামলার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো ভিকটিম কখোনই বলে নাই যে, কে তাকে ধর্ষন করেছিল। এরপরও তদন্তের মাধ্যমে একজন সন্দিগ্ধ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছিল। পরবর্তীতে ওই সন্দিগ্ধ ব্যক্তির ডিএনএ নমুনা নিয়ে ভিকটিম অঞ্জনার কন্যা সন্তান সপ্তর্ষীর সঙ্গে ডিএনএ’র তুলানামূলক পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষা শেষে ডিএনএ এনালিষ্ট মতামত প্রদান করেন যে, ডিএনএ পরীক্ষায় প্রমাণিত হয়েছে যে গ্রেপ্তারকৃত সন্ধিগ্ধ আসামী কাউনিয়া প্রধান সড়কের খ্রিষ্টান কলোনীর মৃত পরেশ বাড়ৈর ছেলে মিঠুন বাড়ৈ ভিকটিম অঞ্জনার কন্যা সন্তান সপ্তর্ষী’র জন্মদাতা বা জৈবিক পিতা। অর্থাৎ আসামী মিঠুন বাড়ৈ এর ধর্ষণের ফলেই ভিকটিম অঞ্জনা গর্ভবতী হয় এবং কণ্যা সন্তান সপ্তর্শীর জন্ম দেয়।

মামলার তদন্ত শেষে থানা পুলিশের এসআই সেলিম রেজা আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করা হয়েছে। এছাড়া এই মামলায় একজনকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অযথাভাবে কেউ হয়রানীর শিকারও হয়নি।

4 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন