২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

বিলুপ্তির পথে উজিরপুরের প্রাচীণ কৃষি সেচ যন্ত্র দোংগা

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০১:১৫ অপরাহ্ণ, ০৮ জানুয়ারি ২০১৮

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির চরম উৎকর্ষতায় প্রতিটি শাখায় আধুনিকায়নের ফলে যন্ত্র সভ্যতার যাঁতাকলে বরিশালের উজিরপুরের গ্রামাঞ্চল থেকে ক্রমেই হারিয়ে যাচ্ছে প্রাচীন কৃষি সেচ যন্ত্র দোন কিংবা সেঁউতি (স্থানীয় ভাষায় দোংগা)।

আগেকার দিনে জমিতে পানি সেচের ব্যবস্থার জন্য ব্যবহার করা হতো টিন বা বাঁশের তৈরি এ দোংগা। এক সময় গ্রাম বাংলার কৃষিতে সেচযন্ত্র হিসেবে টিন বা বাঁশের তৈরি দোংগার ব্যাপক চাহিদা ছিলো।

টিন বা বাঁশের চাটাই দিয়ে তৈরি দোংগা দিয়ে খাল বা নিচু জমি হতে উপরে পানি সেচ সিঞ্চন করা হতো। আর উচু নিচু জমিতে পানি সেচ দিতে সেচযন্ত্র কাঠের দোংগা ছিল অতুলনীয়। গ্রাম বাংলার কৃষকরা আদিকাল থেকেই চিন্তা চেতনার ফসল হিসেবে আবিস্কার করেছিল এ কাঠের দোংগা।

কাঁঠাল গাছের কাঠের মাঝের অংশের কাঠ কেটে নিয়ে তার মাঝখানের কাঠের ড্রেন তৈরি করে পানি সেচ দেওয়ার ব্যবস্থা করা সম্ভব। এতে করে পানি সেচ দিতে শ্রমিক ছাড়া কোন প্রকার খরচ হয়না। তাছাড়া এটি সহজে বহনীয়।

দোংগায় সেচ দেওয়া খুব মজার কাজ। একটি বাঁশের শক্ত খুঁটি মাটিতে পুঁতে তার সাথে লম্বা অন্য একটি বাঁশ বেঁধে এক অংশে দোংগার মাথা অন্য অংশে মাটির ভরা (ওজন) তুলে দিয়ে পানিতে চুবিয়ে তুললে এক সাথে অনেক পানি উঠে আসে। এভাবে অনবরত পানি সেচ দিলে দ্রুত সেচের কাজ হয়।

উজিরপুর উপজেলা সদরের বিএনখান ডিগ্রী কলেজের দ্বাদশ শ্রেনির ছাত্র রাকিব হোসেন জানায়, সে কখনও দোংগা দেখেনি। তবে বই পড়ে জানতে পেরেছে এটি কৃষি কাজে ব্যবহার করা হতো।

জল্লা গ্রামের আসাদ (৪০) জানান, আমি বাপ-দাদাদের দোংগা ব্যবহার করে সেচকাজ করতে দেখেছি। এখন আধুনিক অনেক যন্ত্রপাতি আসায় এগুলোর ব্যবহার হয়না।

12 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন