২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

বিসিসিতে পশু কোরবানির ১৪০ স্থান নির্ধারণ

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০২:১২ অপরাহ্ণ, ০৪ মে ২০১৬

আগামী ঈদুল আজহায় পশু কোরবানির জন্য প্রাথমিকভাবে বরিশালসহ ১০ সিটি করপোরেশনে ২ হাজার ২৪টি স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। এরমধ্যে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে অস্থায়ী পশু জবাইয়ের ৫২৮টি স্থান রয়েছে। বরিশাল সিটি করপোরেশনে রয়েছে ১৪০টি স্থান।

সচিবালয়ে বুধবার (৪ মে) নির্ধারিত স্থানে কোরবানির পশু জবাই নিশ্চিতকরণ সভা শেষে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আবদুল মালেক সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

দেশে ১১টি সিটি করপোরেশন ও ৩২৫টি পৌরসভা রয়েছে বলে জানান আবদুল মালেক। কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের কোন কর্মকর্তা সভায় না আসায় সেখানের পশু কোরবানির স্থানের সংখ্যা জানাতে পারেননি সচিব।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১২ অক্টোবর (১০ জিলহজ) মুসলমানদের দ্বিতীয় বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ পালিত হতে পারে।

স্থানীয় সরকার সচিব বলেন, ‘কোরবানির ক্ষেত্রে সর্বাগ্রে আমাদের ধর্মীয় মূল্যবোধ দেখতে হবে। আমরা চাই পরিস্কার, স্বাস্থ্যসম্মতভাবে কোরবানি হোক। এজন্য আমার স্পটগুলো নির্ধারণ করে দিচ্ছি। বিভিন্ন সিটি করপোরেশনে প্রাথমিকভাবে স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। স্থানের সংখ্যা আরও বাড়বে। পৌরসভাগুলোতেও স্থান নির্ধারণের কাজ চলছে।’

এবার স্থান নির্ধারণের সঙ্গে ইমাম ও কসাইদের তালিকা করা হয়েছে জানিয়ে সচিব বলেন, ‘কোরবানির জন্য ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ২০৪ টি অস্থায়ী পশু জবাই কেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে। একই সঙ্গে ৩৩৬ জন ইমাম ও ২০৫ জন কসাইয়ের তালিকাও করা হয়েছে।’

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৩২৪টি স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এখানে ৩৬০ জন ইমাম ও ২৭৫ জন কসাইয়ের তালিকা করা হয়েছে।’

স্থানীয় সরকার সচিব বলেন, ‘চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে ৩৮৭টি, খুলনা সিটি করপোরেশনে ১৫৫টি, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে ১৯০টি, গাজীপুর সিটি করপোরেশনে ৪১৪টি অস্থায়ী পশু জবেহের স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে।’

এছাড়া কোরবানির পশু জবাইয়ে জন্য রাজশাহী সিটি করপোরেশনে ১৫০টি, রংপুর সিটি করপোরেশনে ৩৩টি, বরিশাল সিটি করপোরেশনে ১৪০টি ও সিলেট সিটি করপোরেশনে ২৭টি স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। এসব স্থানে ইমাম ও কসাইদের তালিকাও করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার সচিব।

আবদুল মালেক বলেন, ‘পশু জবাইয়ে এমন স্থান নির্ধারণের জন্য বলা হয়েছিল যাতে কারো আসতে কষ্ট না হয়, পথে কোন বাধা বিঘ্ন না থাকে। আমরা সব মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানিয়েছি কোরবানির দিন তারা যাতে তাদের খালি স্থানগুলো ছেড়ে দেন।’

‘এবার কোরবানির সময় বৃষ্টি হতে পারে। এজন্য বৃষ্টি থেকে সুরক্ষার জন্য, যারা কোরবানি করবেন তারা যাতে একটু বসতে পারেন এজন্য সিটি করপোরেশন ও পৌরসভা ব্যবস্থা নেবে’ বলেন সচিব।

নির্ধারিত স্থানগুলোতে কোরবানি করা বাধ্যতামূলক করা হবে কিনা- সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে মালেক বলেন, ‘এটি একটি ধর্মীয় উৎসব। এতে কাউকে জোর করার কোন সুযোগ নেই। আমরা অনুরোধই করে যাব। বাড়ি বাড়ি গিয়েও যদি আমরা তাদের দয়া পাই, আমরা তাই করব। অনুরোধের উপরে আমরা যাবো না।’

কোরবানির সময় একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হবে জানিয়ে সচিব বলেন, ‘যাতে সেখান থেকে সহায়তা দেওয়া যায়, মনিটর করা যায়। কোন সমস্যা দেখা দিলে যাতে আমরা তাৎক্ষণিক সুরহা করতে পারি।’

সৌদি আরব, মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে নির্ধারিত স্থানে কোরবানি করতে হয় জানিয়ে আবদুল মালেক বলেন, ‘আমরা কেবল শুরু করেছি। এক পর্যায়ে আমরা দেখব আমাদেরও একটা সিসটেম দাঁ঳ড়িয়ে গেছে। আমরাও এটা পারব। গত বছর এ বিষয়ে আমাদের ভাল অর্জন আছে।’

সভায় সিটি করপোরেশন, পৌরসভায় প্রতিনিধি ও স্থানীয় সরকার বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

1 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন