১৬ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, মঙ্গলবার

মাদকের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন : বরিশালে র‌্যাব মহাপরিচালক

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৪:৩১ অপরাহ্ণ, ১২ জুন ২০১৮

সুন্দরবন থেকে আমরা ইতোমধ্যে দস্যু বাহিনীকে আত্মসমর্পণের সুযোগ দিয়েছি। এতে প্রায় আড়াইশ’র মতো দস্যু আমাদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। তবে এখনো কিছু দস্যু বাহিনী রয়ে গেছে। আমরা অক্টোবর মাসের মধ্যে গোটা সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত করবো। এটাই আমাদের লক্ষ্য, এজন্য আমরা সবার সহযোগিতা চাই।

মঙ্গলবার (১২ জুন) বরিশাল নগরের রুপাতলীস্থ র‌্যাব-৮ এর সদর দফতরে আত্মসমর্পণ করা দস্যুদের মধ্যে ঈদ উপহার বিতরণ ও পুনর্বাসন প্রকল্পের (সুন্দরবনের হাসি) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ।

এসময় হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন- অক্টোবরের মধ্যে সুন্দরবনের বাকী দস্যুরা আত্মসমর্পণ না করলে কঠিন পরিস্থিতির শিকার হতে হবে।

বেনজীর আহমেদ বলেন- দস্যুরা যে মুক্তিপণ আদায় করেছে সে অর্থ কোথায়? কোথা থেকে আসে অস্ত্র-গুলি? কে গহীন জঙ্গলে খাবার-রেশন পৌঁছে দেয়? কে তাদের বিকাশে টাকা কালেকশন করে দেয়। এসব খুঁজে বের করবো। অনন্তকাল কাউকে সুযোগ দেয়া হবে না। দুঃসাহস দেখালে পরিণতি ভালো হবে না।

তিনি বলেন- মাদকের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। কিন্তু মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান একটি শ্রেণী নস্যাৎ করার অপতৎপরতা চালাচ্ছে। সব ষড়যন্ত্রকে পণ্ড করে দিয়ে যারা এটাকে বানচাল করতে চায়, তাদের মুখে ছাই দিয়ে সবাইকে একত্র হয়ে দেশ বাঁচাতে হবে। আমাদের সন্তানদের বাঁচাতে হবে, আগামী প্রজন্মকে বাঁচাতে হবে। এ লৌহ-ইস্পাত কঠিন মনোভাব নিয়ে মাদকের বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধে আমাদের সবাইকে শরিক হতে হবে। যা মাদকের এ অভিশাপ থেকে আমরা জাতিকে মুক্ত করতে পারি।

মাদক সরবরাহ বন্ধের সঙ্গে সঙ্গে মাদকের চাহিদা নির্মূল করতেও র‌্যাব কাজ করছে বলে জানান র‌্যাবের মহাপরিচালক।

র‌্যাব-৮ এর পরিচালক আতিকা ইসলামের (অতিরিক্ত ডিআইজি) সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার মো. শহিদুজ্জামান, বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার (ভারপ্রাপ্ত) মাহফুজুর রহমান ও বরিশালের জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান।

পরে বরিশালে র‌্যাব-৮ এর সদর দফতের কার্যালয়ে অনুষ্ঠানে ২০টি পরিবারের মধ্যে সেলাই মেশিন, চারটি পরিবারে চিকিৎসা সহায়তা ও শিক্ষা সহায়তায় আর্থিক অনুদান এবং আত্মসমর্পণকারী সব দস্যুদের পরিবারের মধ্যে ঈদের উপহার তুলে দেয়া হয়।

র‌্যাব-৮ এর সূত্রে জানা গেছে- র‌্যাবের কঠোর তৎপরতার কারণে সুন্দরবন কেন্দ্রিক দস্যু বাহিনীর অপতৎপরতা বহুলাংশে কমে এসেছে। বিগত ২৪ মাসে ২৩টি বাহিনীর ২৪৩ জন দস্যু ৩৭৯টি অস্ত্র ও ১৮ হাজার ৮০৪ রাউন্ড গোলাবারুদসহ র‌্যাব-৮ এর কাছে আত্মসমর্পণ করে।

আত্মসমর্পণ করা দস্যু পরিবারের অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে র‌্যাব কর্তৃক ‘সুন্দরবনের হাসি’ (প্রস্তাবিত) প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে আত্মসমর্পণকৃত সব দস্যুদের পরিবারের মধ্যে কর্মসংস্থানমূলক প্রশিক্ষণ এবং সেবা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সাহায্য দেওয়া হবে।

2 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন