২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

যেখানে দাড়িয়ে চুমু খেলেই নিশ্চন্ত যুগল!

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৫:০৬ অপরাহ্ণ, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

ভ্যালেন্টাইনস দিবসের ঠিক আগের দিন। ১৩ ফেব্রুয়ারি, যাকে ‘কিস ডে’ বলে অভিহিত করা হয়। ভালবাসার মানুষটিকে চুমু খাবে, এ তো বলাই বাহুল্য। কিন্তু জানেন কি, বিশ্বের এমন এক গলিপথ রয়েছে, যেখানে দাঁড়িয়ে চুমু খেলে, আসন্ন ১৫টি বছর হেসেখেলে কাটবে যুগলের!

প্রায় তিন দিক সমুদ্রে ঘেরা মেক্সিকোর মধ্যমণি শহর, গুয়ানাজাতো। সরু সরু গলিপথের দু’ধারে রঙিন বাড়ির সারি। প্রস্থে মাত্র দেড় মিটার এই চুমু-গলি।

কিন্তু, গুয়ানাজাতোর এই গলিতেই যেন লুকিয়ে রয়েছে প্রেমিক-প্রমিকাদের দীর্ঘস্থায়ী ‘লাভ-লাইফ’। শহরের ‘এল ক্যালেজো দেল বেসো’ বা ‘অ্যালে অফ কিসেস’, সহজ বাংলায় যাকে ‘চুমু-গলি’ বলা যেতেই পারে, এমনই এক জায়গা। এই গলিপথ সোজা রাস্তা নয়। দু’দিকে বসতবাড়ির মাঝ দিয়ে চলে যাওয়া গলিটি সিঁড়ির মতো ধাপে ধাপে উঠে গিয়েছে উপর দিকে। নীচ থেকে দেখলে মনে হতে পারে যে, কোনও একটি জায়গায় দুই বাড়ির বারান্দা যেন এক হয়ে গিয়েছে। যদিও বাস্তবে তা নয়।

চুমু-গলির সেই সিঁড়ি

কথিত, এই সিঁড়ির তৃতীয় ধাপে দাঁড়িয়ে চুমু খেলে আগামী ১৫ বছর খুবই সুখে কাটবে প্রেমিক যুগলের। তবে চুমু-গলির তৃতীয় ধাপে দাঁড়িয়ে কেউ যদি চুম্বন না করে, তা হলে আগামী ৭ বছর তাদের বেশ খারাপ যাবে। তৃতীয় ধাপ বাদে অন্য ধাপগুলির তেমন কোনও মহিমা নেই।

১৮ শতকের এই রঙিন শহর ও তার চুমু-গলির জনপ্রিয়তা গড়ে ওঠে এক যুগলের প্রেমকাহিনি ঘিরে। আনা ও কারলোসকে একদিন চুম্বনরত অবস্থায় দেখে ফেলেন আনার বাবা। মেয়েকে হুমকি দিয়ে তিনি বলেন, দ্বিতীয় দিন এমন দেখলে, তিনি নিজেই খুন করবেন আনাকে। পরের দিন রাতে দু’জন আবারও ধরা পড়ে বাবার হাতে এবং কথা মতোই, বুকে ছুরি বসিয়ে হত্যা করেন  নিজের মেয়েকে। আনাকে বাঁচাতে গিয়ে বারান্দা থেকে পড়ে যায় কারলোস। ওই তৃতীয় ধাপে এসে মুত্যু হয় তার। বিশ্বাস, কারলসের আত্মা এখনও রয়েছে সেখানেই। সেই-ই প্রেমিকদের ১৫ বছরের খুশি উপহার দেয়।

2 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন