বরিশাল টাইমস রিপোর্ট
প্রকাশিত: ০৩:১৩ অপরাহ্ণ, ২৬ মার্চ ২০১৭
বিপথগামী সকল মানুষ সুপথে ফিরে আসলে তাদের সব ধরনের সহযোগিতা ও পুর্নবাসন করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার (২৬ মার্চ) বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে মহান স্বাধীনতা দিবসে শিশু-কিশোর সমাবেশে তিনি একথা বলেন।
একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী সন্ত্রাস-মাদক-জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
শিশু-কিশোরদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন- শিশু-কিশোররা বাবা-মায়ের কথা শুনবে, অভিভাবক-শিক্ষকের কথা শুনবে। সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ ও মাদকে জড়াবে না।
তিনি বলেন- ইসলাম শান্তির ধর্ম। ইসলাম আত্মহননকে সমর্থন করে না। আত্মহননকারীর স্থান জাহান্নামে।
সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ-মাদকের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন- সন্ত্রাস-মাদক-জঙ্গিবাদবিরোধী অভিযান চলবে।
ভবিষ্যৎ নেতৃত্বের জন্য তৈরি হওয়ার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন- আজকের শিশুরা আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। আজকের শিশুরাই আগামী দিনের মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী। আগামী দিনের নেতৃত্ব। সুতরাং নিজেদের সেভাবে গড়ে তুলতে হবে।
আজকের প্রজন্ম আগামী দিনের সোনার বাংলার গড়ে তুলবে বলে আশা প্রকাশ করে তিনি।
শিশু-কিশোরদের প্রতি দোয়া ও আর্শীবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন- সকলে ভালো থাকবে, সুস্থ থাকবে, মন দিয়ে পড়বে, সুন্দর জীবন গড়বে।
বাংলাদেশকে উন্নত-সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, লাখো শহীদের রক্তে স্বাধীনতা পেয়েছি। আমরা বিশ্বে মাথা উঁচু করে চলতে চাই।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। জাতির পিতা তার ভাষণে বলে গিয়েছিলেন বাঙালিকে কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না।
৭৫ পরবর্তী শাসকদের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২১ বছর পর ক্ষমতায় এসে আমরা দেশ গঠনে কাজ শুরু করি।
স্বাধীনতা দিবস প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে জাতির পিতা স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। তার ডাকে সাড়া দিয়ে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে গোটা জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়ে মুক্তির সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে। ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়।
ঢাকা জেলা প্রশাসন আয়োজিত শিশু-কিশোর সমাবেশে জেলা প্রশাসক ছাড়াও উপস্থিত রয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হক।
প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের পর রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা কুচকাওয়াজ প্রদর্শন করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী তাদের সালাম গ্রহণ করেন।