মাদক সেবনে বাঁধা দেয়ায় মারধরের একপর্যায়ে কেরোসিন ঢেলে স্ত্রীর শরীরে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিলেন মাদকাসক্ত স্বামী আল-আমিন। অগ্নিদগ্ধ হয়ে টানা ৮ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে শুক্রবার রাতে মারা যায় এক সন্তানের জননী সাথী বেগম (২৫)। সে (সাথী) জেলার গৌরনদী পৌর এলাকার কাছেমাবাদ মহল্লার বাসিন্দা আল-আমিন শিকদারের স্ত্রী ও উজিরপুর উজিরপুর উপজেলার খেয়াঘাট সংলগ্ন এলাকার গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দা ফোকরন নেছার মেয়ে।

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার (২৫ মে) রাতে সাথী মৃত্যুবরন করেছেন। স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে- বিষয়টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য প্রভাবশালী একটি মহল আল-আমিনের পক্ষালম্বন করে থানা পুলিশকে ম্যানেজ করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। সূত্রমতে, ওই মহল্লার মান্নান শিকদারের পুত্র আল-আমিন শিকদার দীর্ঘদিন থেকে মাদক সেবন করে আসছিলেন।

গত ১৮ মে রাতে মাদক সেবনে বাঁধা প্রদান করে তার স্ত্রী সাথী বেগম। এনিয়ে উভয়ের মধ্যে বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে মাদকাসক্ত আল-আমিন তার স্ত্রী সাথী বেগমের ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালায় এতে সে (সাথী) জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরবর্তীতে আল-আমিন তার স্ত্রীর শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়। এ সময় সাথীর চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে গৌরনদী হাসপাতালে ও তাৎক্ষণিক বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।

নিহত গৃহবধূ সাথী বেগমের মা উজিরপুর উপজেলার খেয়াঘাট সংলগ্ন এলাকার গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দা ফোকরন নেছা জানান, গত ১৯ মে সন্ধ্যায় উন্নত চিকিৎসার জন্য শেবাচিম হাসপাতালের চিকিৎসকেরা সাথীকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছিলেন।

গৌরনদী মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মো. আফজাল হোসেন জানান, এ ঘটনায় সাথীর মা বাদি হয়ে ১৯ মে বিকেলে থানায় মামলা দায়েরের পর পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে মাদকাসক্ত স্বামী আল-আমিন শিকদারকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে।”