১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

বরিশাল র‌্যাবের সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ বাহিনীপ্রধান আলম নিহত

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৫:৪৮ অপরাহ্ণ, ০৬ মে ২০১৬

বরিশাল: পূর্ব সুন্দরবনে র‌্যাব-৮ এর একটি দলের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মো. আলম খান (৪৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। র‌্যাব নিহত ব্যক্তিকে সুন্দরবনের কথিত বনদস্যু আলম বাহিনীর প্রধান বলে দাবি করেছে। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ১২টি আগ্নেয়াস্ত্রসহ দস্যুদের ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জাম।

শুক্রবার সকালে সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের মৃগমারী খালে ‘বন্দুকযুদ্ধে’র এ ঘটনা ঘটে।

র‌্যাব-৮ এর উপ-অধিনায়ক মেজর আদনান কবির বন্দুকযুদ্ধে এক ব্যক্তি নিহত হবার সংবাদ নিশ্চিত করেছেন। তিনি নিহতের বিস্তারিত কোনো পরিচয় জানাতে পারেননি তবে স্থানীয় জেলেদের উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, তার বাড়ি বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলায়।

র‌্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে আলমের মৃতদেহ, উদ্ধারকৃত আগ্নেয়াস্ত্র ও অন্যান্য মালামালসহ বাগেরহাটের মংলা থানার উদ্দেশে রওনা হয়েছে। এ ঘটনায় মংলা থানায় মামলা দায়ের করা হবে।

উদ্ধারকৃত আগ্নেয়াস্ত্র ও সরঞ্জামাদির মধ্যে আছে ৪টি একনলা বন্দুক, দুটি দোনলা বন্দুক, দুটি শটগান, দুটি ওয়ানশ্যুটার গান, দুটি বিদেশি এয়ারগান, দশমিক ২২ বোর রাইফেলের ১১১টি তাজা গুলি, ৩৬টি বন্দুকের তাজা গুলি, এয়ারগানের ৩৯২টি গুলি, ৩৭টি বন্দুকের খালি কার্তুজ, ৫টি রামদা, গুলি রাখার দুটি তোষদানি, একটি সিমসহ দুটি মুঠোফোন, দুটি টর্চ লাইট, বারো ভোল্ট ব্যাটারি ও প্যানেলসহ একটি সোলার লাইট সেট, চাঁদা আদায়ের প্রচুর পরিমাণ টোকেন ও বিভিন্ন প্রাত্যাহিক দ্রব্যাদি।

র‌্যাব ৮ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল ফরিদুল আলম জানান, সম্প্রতি পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের মৃগমারী, আন্ধারমানিক ও শেলা নদী এলাকায় আলম বাহিনীর অত্যাচার বেড়ে যায়। এ সব এরাকায় জেলে অপহরণ ও ডাকাতির বেশ কিছু ঘটনায় আলম বাহিনীর সম্পৃক্ততা র‌্যাবের নিজস্ব গোয়েন্দা সূত্রসহ বিভিন্ন সূত্র থেকে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এরই ভিত্তিতে শুক্রবার ভোরে র‌্যাব সদস্যরা আলম বাহিনীর সন্ধানে শেরা নদীতে যায়। ভোরে তারা তেতুলবাড়িয়া খালের পাড়ে পলিথিনের ছাউনি বিশিষ্ট একটি আস্তানার সন্ধান পান।

ভোর সোয়া ৮টার দিকে র‌্যাব সদস্যরা কৌশলগতভাবে সুবিধাজনক স্থানে অবস্থান নেয়ার সময় দস্যুরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। আদাঘণ্টা ধরে বন্দুকযুদ্ধে উভয় পক্ষ প্রায় শতাধিক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এক পর্যায়ে ডাকাতরা বনের ভেতরে পিছু হটলে এলাকা তল্লাশি করে মৃগমারী খালের মুখে বনের ভেতরে একটি মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়।

স্থানীয় জেলেরা তাকে আলম বাহিনী প্রধান আলম খান বলে সনাক্ত করে। র‌্যাব সদস্যরা এলাকা তল্লাশি করে আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলিসহ উল্লিখিত মালামাল উদ্ধার করে।

এ বাহিনী সুন্দরবন ও সাগরের উপর নির্ভরশীল মানুষদের অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করার অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। এদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে বলেও জানানো হয়।

8 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন