বার্তা পরিবেশক, পিরোজপুর :: পিরোজপুরের সেই জেলা ও দায়রা জজ মো. আবদুল মান্নানকে কুড়িগ্রামের জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে বদলি করা হয়েছে। একইসঙ্গে কুড়িগ্রামের জেলা ও দায়রা জজ মুন্সী রফিউল আলমকে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক হিসেবে বদলি করা হয়েছে। এ বিষয়ে আজ বুধবার আইন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

সরকার দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য এ কে এম আব্দুল আওয়াল ও তার স্ত্রী লায়লা পারভীনকে জামিন না দেওয়াকে কেন্দ্র করে মো. আবদুল মান্নানকে পিরোজপুর থেকে বদলি করে আইন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করা হয় গত ৩ মার্চ।

এরপরদিন বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে ওই বদলি নিয়ে রুল জারি করেছেন। রুলে বদলির আদেশ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে।

আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সচিব এবং আইন মন্ত্রণালয়ের উপসচিবকে (প্রশাসন-১) দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ১১ মার্চ পরবর্তী আদেশের জন্য দিন ধার্য করা হলেও বুধবার ওই আদালত বসেনি। ফলে নতুন করে কোনো আদেশ হয়নি।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য এ কে এম আব্দুল আওয়াল ও তার স্ত্রী লায়লা পারভীন গত ৩ মার্চ পিরোজপুরের জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। ওইদিন দুপুরে আদালতের বিচারক মো. আব্দুল মান্নান তাদের জামিনের আবেদন খারিজ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এরপর আইন মন্ত্রণালয়ের এক আদেশে ওই বিচারককে পিরোজপুর জেলা ও দায়রা জজের পদ থেকে প্রত্যাহার করে আইন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করা হয়।

একইসঙ্গে পিরোজপুরের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ নাহিদ নাসরিনকে ভারপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এরপর ভারপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজের কাছে দায়িত্ব বুঝে দেন মো. আব্দুল মান্নান। এর কয়েক ঘণ্টা পর এ কে এম আব্দুল আওয়াল ও তার স্ত্রী লায়লা পারভীন পুনরায় ওই আদালতে জামিনের আবেদন করেন। এবার আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।