প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই শেষ ভরসা এটা মানুষ জানতো। মাঝখানে কয়েকজন অক্ষম মন্ত্রীর অতিকথনে করোনাভাইরাসের মতোন ভয়াবহ আক্রমনের মুখে অচল পৃথিবীর বিষাদগ্রস্ত মানুষের সাথে আমাদের জনগণও অতিষ্ঠ। প্রস্তুতি গ্রহণে চীনের ভয়াবহতা থেকে আমাদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ব্যবস্থাগ্রহণে ব্যর্থ। এমনকি প্রয়োজনীয় কোয়ারেন্টাইন ও বিদেশ ফেরতদের সেখানে টানতেও পারেনি।

করোনা পরীক্ষার কিট, চিকিৎসকের সুরক্ষা সরঞ্জাম, ল্যাব, হাসপাতালে হাসপাতালে আইসোলেশন, কোয়ারেন্টাইন করা দূরে থাক, যে চিকিৎসকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে লড়াই করবেন তাদের নিরাপদে চিকিৎসা সেবাদানের নিরাপত্তাই করতে পারেনি। এর মধ্যে একেক মন্ত্রীর বাহাদুরি বক্তব্য, প্রবাসীদের তাচ্ছিল্যের রেকর্ড গড়েছেন। তাদের পরীক্ষা ও কোয়ারেন্টাইনে নিতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাই ভূমিকা নিলেন। কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। সারাদেশে করোনা পরীক্ষার কিট ও চিকিৎসকের সুরক্ষা সরঞ্জামাদি পাঠিয়েছেন।

১ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। বিদেশ থেকে করোনা পরীক্ষার কিট ও চিকিৎসকদের সরঞ্জামাদি আমদানির নির্দেশ দিয়েছেন। সেনাবাহিনীকেও কোয়ারেন্টাইনের দায়িত্বে দেয়া হয়েছে। এজন্য মানুষের আস্থা বাড়ছে। প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন। চিকিৎসকদের পাশে থাকুন। মনোবল রাখুন। সচেতন মানবিক হোন। ভয়াবহ করোনা মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী, চিকিৎসক মানুষ এক মোহনায়, দায়িত্বহীন মন্ত্রীগণ কথা কম বলুন।

জাপানের ওষুধ কার্যকর হচ্ছে, কিউবার ওষুধও। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সর্বশেষ যে ওষুধ অনুমোদন দিয়েছেন সেটিও আমাদের দেশে আছে। আমাদের সুসংগঠিত পরিকল্পিত প্রতিরোধ ব্যবস্থাই একমাত্র পথ।

লেখক: নির্বাহী সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন।