বার্তা পরিবেশক, অনলাইন :: রাজধানী ঢাকার মিরপুরের পল্লবী থানায় বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেছে (আইএস) থানায় বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী মার্কিন সাইট ইন্টেলিজেন্স গ্রুপের পরিচালক রিটা কাটজ এমনটাই জানিয়েছেন। পল্লবী থানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় গ্রেপ্তার তিন আসামির প্রত্যেকের ১৪ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন- রফিকুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম ও মোশাররফ।

আজ বৃহস্পতিবার আসামিদের ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য পল্লবী থানার অস্ত্র মামলায় সাতদিন ও বিস্ফোরক আইনের মামলায় ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। অন্যদিকে আসামিদের আইনজীবী রিমান্ড বাতিলের আবেদন করেন।

উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম মঈনুল ইসলাম প্রত্যেক আসামিকে অস্ত্র মামলায় সাত দিন ও বিস্ফোরক আইন মামলায় সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এদিকে পল্লবী থানায় বুধবারের বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেছে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)। অনলাইনে জঙ্গি কার্যক্রম পর্যবেক্ষণকারী মার্কিন সাইট ইনটেলিজেন্স গ্রুপ আইএসের দায় স্বীকারের বিষয়টি তাদের ওয়েবসাইটে জানিয়েছে। সাইট ইনটেলিজেন্স গ্রুপের পরিচালক রিটা কাটজ এক টুইট বার্তায় বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় পুলিশের একটি দপ্তরে হামলার দায় স্বীকার করেছে আইএস’।

যদিও পল্লবী থানায় বিস্ফোরণের ঘটনাটি জঙ্গি সংশ্লিষ্ট নয় বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম) কৃষ্ণপদ রায়। তিনি বলেন, ‘স্থানীয় একটি অপরাধীচক্র কোনো অপরাধ সংঘটনের চেষ্টা করছিল সে সংবাদটি জানার পর পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে। এরপর ওই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।’

বিস্ফোরণের বিষয়ে বুধবার ঢাকা মহানগর পুলিশের ডিসি (মিডিয়া) ওয়ালিদ হোসেন বলেন, ‘বুধবার ভোরে পল্লবী এলাকা থেকে তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করে পল্লবী থানা হেফাজতে রাখা হয়। মিরপুর এলাকার একজন রাজনীতিক নেতাকে খুন করার জন্য তাদের ভাড়া করা হয়েছিল বলে অভিযোগ ছিল তাদের বিরুদ্ধে।’

তিনি আরও বলেন, ‘গ্রেপ্তারের পর তাদের থানায় আনা হয়। তাদের কাছ থেকে দুটি অস্ত্র ও কিছু জিনিসপত্র উদ্ধার করে পুলিশ। এগুলো থানার ইন্সপেক্টর অপারেশনের রুমে রাখা হয়। উদ্ধার জিনিসপত্রের মধ্যে ওজন মাপার মেশিনসদৃশ্য একটি বস্তু ছিল। সকাল ৭টায় হঠাৎ সেটি বিস্ফোরণ হয়।’

এ ঘটনায় পরে পল্লবী থানায় অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা হয়। সেসব মামলায় তাদের এই রিমান্ডে পাঠানো হলো।