সাইদুল ইসলাম, রাজাপুর:: ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের এলজিইডি’র আওতাধীন পশ্চিম ফুলহার-বারবাকপুর সড়কের একটি কালভার্ট ভেঙে পড়ে মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। এ কারণে প্রতিনিয়ত ছোট ছোট দুর্ঘটনা ঘটেই চলছে। তবুও দেখার যেন কেউ নেই! কর্তৃপক্ষের নজদারির অভাবে চলাচলের বিকল্প কোন ব্যবস্থা হয়নি। ফলে কয়েকটি গ্রামের মানুষের যাতায়াত ও পণ্য পরিবহনে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। দীর্ঘদিন যাবত কালভার্টটি ভেঙে পরে থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ ভাবে চলাচল করতে হচ্ছে সাধারণ পথচারীদের, চলাচল বন্ধ রয়েছে সকল প্রকার যানবাহন।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, প্রায় বছর ধরে কালভার্টটি ভাঙা অবস্থায় পড়ে আছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ পুননির্মাণের উদ্যোগ নিচ্ছে না। এতে করে যে কোন সময় মারাত্মক দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। তাই দ্রুত সমস্যা সমাধান ও নতুন কালভার্ট নির্মাণে জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় প্রশাসনের নিকট দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।

জানা গেছে, প্রায় এক বছর আগে সেনের খালের তীব্র স্রোতের কারণে কালভার্টটি ভেঙে যায়। তারপর হতেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই কালভার্ট দিয়ে পার হতে হয় শত শত শিক্ষার্থীসহ কয়েক গ্রামের মানুষকে। এ কারণে বারবাকপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ২৬ নম্বর বারবাকপুর সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয় ও ২৯ নম্বর পূর্ব ফুলহার সরকারি প্রাইমারী স্কুলের শত শত শিক্ষার্থীসহ পথচারীদের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে। স্কুলগুলোর মাঝামাঝি এ কালভার্টটি ভেঙে এমন দশায় পরিণত হয়েছে যে প্রতিদিন স্থানীয় বাসিন্দা, ব্যবসায়ী, শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী সহ নানা শ্রেণি-পেশার প্রায় ৫ হাজার লোকের যাতায়াত বন্ধ রয়েছে। এছাড়াও প্রতিনিয়ত এ রাস্তা দিয়ে শতশত মোটরসাইকেল, রিকাশা, ভ্যান, ইজিবাইক, নসিমন, করিমন, সিএনজি ও কোম্পানির পিক-আপ ভ্যানসহ বিভিন্ন রকমের মোটরযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। বেশি ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন রোগী, বয়স্ক লোক এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা। কিন্তু খোঁজ নেই স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লি¬ষ্টদের।
এ ব্যাপারে এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলছে, স্থানীয় ইউপি সদস্য ও চেয়ারম্যানকে অবহিত করার পরও কালভার্টটি সংস্কারে কোনো উদ্যোগ আজও নেওয়া হয়নি।

স্থানীয় শিক্ষার্থী সুমাইয়া, শাকিল ও আলিম জানায়, কালভার্টটি ভেঙে যাওয়ায় স্থানীয় শিক্ষার্থীদের অনেকে ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করতে হচ্ছে। এক বছর আগে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে গেলেও কালভার্টটির পুনরায় নির্মাণ করা হয়নি। ফলে পণ্য পরিবহনসহ সব ধরনের যানবাহন চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। এলাকাবাসী হাজার হাজার লোক ও বিভিন্ন প্রকার যানবাহন যাতায়াতের সমস্যা সমাধানে সংশ্লি¬ষ্ট কর্তৃপক্ষকে দ্রুত কালভার্ট পুনরায় নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন।
স্থানীয় এলাকাবাসীর অভিযোগ, নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে কালভার্টটি নির্মাণ ও খালের তীব্র স্রোতের কারণেই কালভার্টটি ভেঙে গেছে। তাই দ্রুত এই কালভার্টটির সংস্কার করা না হলে যে কোনো বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

এই বিষয়ে রাজাপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন মৃধা মজিবর বরিশালটাইমসকে জানান, কালভার্টটি সংস্কারের জন্য এরই মধ্যে উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়কে অবহিত করা হয়েছে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রাণালয়ের বরাদ্দ পেলেই দ্রুত কালভার্ট পুনরায় নির্মাণ করা হবে।’