নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল:: পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বরিশাল সদর উপজেলার জাগুয়া ইউনিয়নে পিতা-পুত্রকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। আহতাবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বুধবার (৬ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টার দিকে ওই ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন- চন্ডিপুর গ্রামের বাসিন্দা নজরুল ইসলাম (৪৫) ও তার ছেলে সবুর (২১)।

আহত নজরুলের ছেলে রেজবি জানান, দীর্ঘদিন যাবত একই গ্রামের বাসিন্দা মুজাহার ফকির, তার ছেলে মিরাজ ফকির, ইউনুস হাওলাদার, তার ছেলে কামরুল হাওলাদার, সজল ও শাহ কামাল আমার ছোট ভাই সবুরকে তাদের সাথে অবৈধ কাজ করার জন্য চাপ দিতে থাকে। তারা এলাকায় মাদক বিক্রি, সন্ত্রাসী কার্যক্রমসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড করে আসছিলো। তাদের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলাও রয়েছে। আমার ভাই তাদের বিরুদ্ধে কথা বলায় স্থানীয় মান্নাফ চাপরাশির ছেলে শাহ কামালের নেতৃত্বে মিরাজ, সজল, কামরুল, মাসুদ, সাব্বিরসহ অজ্ঞাত ৭/৮ জন পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আমার বাবা ও ভাইয়ের উপর হামলা চালায়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে আহতের ছেলে রেজবি জানান।

তিনি আরও জানান, তারা সরকারি দলের নাম ভাঙিয়ে এলাকায় সন্ত্রাসবাদের সৃষ্টি করছে। কারো সাথে ঝগড়া হলেই তারা এলাকায় প্রভাব বিস্তার করতে লাঠিসোটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় এবং হামলার পরে মোটরসাইকেল নিয়ে শোডাউন দিয়ে ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। এজন্য এলাকার বাসিন্দারা ভয়ে কেউ কিছু বলেনা।

এ বিষয়ে হামলাকারী মিরাজ বরিশালটাইমসকে জানান, সবুর আমাকে প্রথমে আঘাত করে পরে আমরা তাদের ওপর হামলা চালাই। মিরাজের নামে একাধিক মামলার বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভাই রাজনীতি করি তাই আমার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অভিযুক্তরা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বা এর সহযোগি সংগঠনের কোন সদস্য নয়। তাদের বিরুদ্ধে যে মামলা দায়ের করা হয়েছে তা সব মারামারি ও চাঁদাবাজির মামলা।