নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল:: যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীকে মারধর করার মামলায় র‌্যাব সদর দপ্তরের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) নাজমুস সাকিবের জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। রাজধানী ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৬ এর বিচারক আব্দুল্লাহ আল মামুন মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এদিন হাইকোর্টের দেওয়া জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় নাজমুস সাকিব, তার বাবা সফিউল্লাহ তালুকদার ও মা খালেদা সুলতানা আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, শুনানি শেষে বিচারক নাজমুস সাকিবের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। সাকিবের বাবা সফিউল্লাহ তালুকদার ও মা খালেদা সুলতানার জামিন মঞ্জুর করেন আদালত। গত ৪ জুন রাতে রমনা থানায় এএসপি নাজমুস সাকিবসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন তার স্ত্রী ইশরাত রহমান।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন- নাজমুস সাকিবের সঙ্গে ২০১৭ সালের মার্চে ইশরাত রহমানের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে শ্বশুর মো. সফিউল্লাহ তালুকদার (৬০), শাশুড়ি খালেদা সুলতানা (৫২) তাদের যৌতুকলোভী এবং অত্যাচারী মনোভাব প্রকাশ করতে থাকেন। আসামিরা বিভিন্ন সময় ইশরাতকে তার বাবার কাছ থেকে নগদ টাকা এনে দিতে চাপ দিতে থাকেন। টাকা না দিলে তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতনসহ ভয়-ভীতি দেখিয়ে তার বাবার কাছ থেকে প্রায়ই নগদ টাকা এনে আসামিদের দিতেন।

সর্বশেষ ১২ লাখ টাকা যৌতুক দিতে না পারায় আসামিরা ইশরাতের ওপর নির্যাতন চালাতে থাকেন। ওই সময় ইশরাত গর্ভবতী হলে তার ওপর আসামিদের নির্যাতনের মাত্রা আরও বেড়ে যায়। তারা তালাকের ভয় দেখিয়ে ইশরাতকে গর্ভপাত করানোর চাপ দিতে থাকেন। ইশরাত রাজি না হলে তার ওপর নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে যায়। একপর্যায়ে ২০১৯ সালের জুলাইয়ে ইশরাতের স্বামী নাজমুস সাকিব তালাকের ভয় দেখিয়ে গর্ভপাত করান।’