নিজস্ব প্রতিবেদক, মুলাদী:: বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন মুলাদী উপজেলার কৃতি সন্তান সাবেক ছাত্রনেতা জহির উদ্দিন খসরু। তিনি উপজেলার বাটামারা ইউনিয়নের বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেক মাস্টারের ছেলে। গত ১৪ নভেম্বর আওয়ামী লীগের সাাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের ২০১ সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কমিটির ঘোষণা দেন। বিগত দিনের রাজনৈতিক কর্মকান্ডের বিবেচনায় যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে জহির উদ্দিন খসরুকে সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নির্বাচিত করা হয়। এর পূর্বে তিনি কেন্দ্রীয় যুবলীগের সহ-সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন ও সাংগঠনিক হিসেবে দক্ষতার পরিচয় দেওয়ায় তাকে এ পদে নির্বাচিত করা হয়।
জহির উদ্দিন খসরু যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ায় আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. মাইনুল হোসেন নিখিলসহ দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত সকল নেতৃবৃন্দের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।

জহির উদ্দিন খসরু গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সব সময় সামনের সারিতে থেকে আন্দোলন সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেছেন। জামায়াত-বিএনপি জোট সরকারের আমলে মামলা, হামলা ও ক্ষমতাসীনদের রক্তচক্ষুকে উপক্ষো করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর কর্মসূচি বাস্তবায়নে সাহসী ও প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করেছেন।

রাজনৈতিক জীবনে জহির উদ্দিন খসরু ছাত্রজীবন থেকেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত হন। তিনি ১৯৯০ সালে মুলাদী উপজেলার বাটামারা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৪-৯৫ সাল পর্যন্ত ছাত্রলীগের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার কার্যনির্বাহী সদস্য ছিলেন। ১৯৯৮ সালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০০৩ সালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ৫ম কংগ্রেসে যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মনোনীত হন ও ৬ষ্ঠ কংগ্রেসে তিনি কেন্দ্রীয় যুবলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সহ-সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ ৭ম কংগ্রেসে তিনি সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হলেন।

রাজনৈতিক সংগঠনের পাশাপাশি জহির উদ্দিন খসরু বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, শিক্ষামূলক সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত। তিনি ঐতিহ্যবাহী মুলাদী উপজেলা সমিতি ঢাকার সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। ইতোপূর্বে তিনি বাটামারা ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, আলিমাবাদ আহমাদিয়া দাখিল মাদ্রাসার সভাপতির দায়িত্ব সফলতার সাথে পালন করে প্রসংশিত হয়েছেন। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সরকারের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে তিনি এলাকার উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা পালন করেছেন। নদীর করাল গ্রাস থেকে বাটামারাসহ মুলাদীকে বাঁচাতে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করে নদী শাসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।

জহির উদ্দিন খসরুর পিতা আব্দুল মালেক মাস্টার ছিলেন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। আব্দুল মালেক মাস্টার দীর্ঘ দিন ধরে মুলাদী উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও তিনি মুলাদী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কার্যনির্বাহী সদস্য ও বাটামারা ইউনিয়ন কমান্ডের মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হিসেবে সফলতার সহিত দায়িত্ব পালন করেছেন। আব্দুল মালেক মাস্টার বাটামারা ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে এলাকায় শিক্ষা উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা পালন করেন। এছাড়াও তিনি বিএস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। আব্দুল মালেক মাস্টার বাটামারা ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান হিসেবে অবহেলিত ও অনুন্নত বাটামারাকে একটি মডেল ইউনিয়ন করার আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন।

জহির উদ্দিন খসরুর বড় ভাই সালাউদ্দিন অশ্রু বর্তমানে বাটামারা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি মুলাদী উপজেলা যুবলীগের প্রচার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। এর আগে বাটামারা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি হিসেবে যুবলীগকে সংগঠিত করতে সাহসী ভূমিকা পালন করেছেন।

জহির উদ্দিন খসরু কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ায় মুলাদী উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিকলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগসহ অঙ্গসহযোগী সংগঠন, মুলাদী উপজেলা সমিতি ঢাকা, রুর‌্যাল জার্নালিষ্ট ফাউন্ডেশন (আরজেএফ), সাপ্তাহিক গণবার্তা পরিবার, আলোকিত মুলাদী, ঢাকাস্থ সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন (ঢামুসাস), মুলাদী প্রেসক্লাব, ঢাকাস্থ ছাত্র কল্যাণ পরিষদ, নিরাপদ সড়ক চাই মুলাদী উপজেলা শাখা, বাটামারা ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, আলিমাবাদ আহাম্মাদিয়া দাখিল মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহ তাকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।