নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল :: ফেসবুকে পরিচয়ের পর প্রেম, প্রেমের পর বিয়ে। আর সেই বিয়ের স্বীকৃতি আদায়ে সাভারের গেন্ডায় তিন দিন ধরে আমরণ অনশন বসেছেন এক তরুণী। ওই তরুণীর অনশন শুরুর পর ঘরে তালা ঝুলিয়ে পালিয়ে গেছেন তার স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়ি।

পুলিশ জানিয়েছে, গত এক বছর আগে ফেসবুকে যশোর জেলার ঝিকরগাছা উপজেলার এক তরুণীর সঙ্গে সাভারের গেন্ডা এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে, পেশায় বাসের সুপারভাইজার জহিরুল ইসলাম সাগরের পরিচয় হয়। এই পরিচয় থেকে তাদের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর গত সেপ্টম্বর মাসে নারায়ণগঞ্জ জেলায় একটি বাড়িতে তাদের বিয়ে হয়।

বিয়ের পরে ওই গৃহবধূ বাবার বাড়ি থেকে যৌতুক হিসেবে নগদ দুই লাখ টাকা ও তিন ভরি স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে সাভারের গেন্ডায় শ্বশুর বাড়িতে ওঠেন। এর কিছু দিন পরে ওই নববধূকে মারধর ও হত্যার হুমকি দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেন তার স্বামী ও শ্বশুর। পরে তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লে মিরপুরে গিয়ে রাস্তায় কান্নাকাটি শুরু করলে খাদিজা আক্তার নামে এক নারী তাকে আশ্রয় দেয়।

এরপর ওই গৃহবধূ গত শনিবার স্বামীর স্বীকৃতির দাবিতে গেন্ডা এলাকায় স্বামীর বাড়িতে আসলে তার স্বামী জহিরুল ইসলাম সাগর, শ্বশুর নজরুল ইসলাম ও শাশুড়ি খুরশীদা বেগম ঘরে তালা ঝুলিয়ে পালিয়ে যান।

এরপর থেকে ওই গৃহবধূ তার স্বামী বাড়ির বারান্দায় আমরণ অনশন শুরু করেন। গত তিন দিনে কিছু না খেয়ে তিনি কিছুটা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। ওই গৃহবধুকে এক নজর দেখার জন্য ওই বাড়িতে ভিড় করছেন শত শত মানুষ।

দিনে ওই বাড়িতে মানুষ জনের যাতায়াত থাকলেও রাতে ওই গৃহবধু নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানিয়েছেন। তিনি এ ঘটনায় প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস চেয়েছেন। ওই গৃহবধূ সাভার মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

খবর পেয়ে সাভার মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ বিষয়ে সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘ওই গৃহবধূর স্বামীকে গ্রেপ্তার করার চেষ্টা চলছে।’