পিরোজপুর প্রতিনিধি:: পিরোজপুরের নাজিপুরে একটি মডেল মসজিদের পাইল বসানোর সময় দুর্ঘটনায় তরিকুল ইসলাম নামে এক শ্রমিক নিহত এবং দুই জন গুরুতর আহত হয়েছে। আজ বুধবার বিকালে নাজিরপুরের স্টেডিয়াম সংলগ্ন এলাকায় নির্মাণাধীন মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানান নাজিরপুর থানার ওসি (তদন্ত) মো: জাকারিয়া।

নিহত তরিকুল ইসলাম (৪০) বাগেরহাট জেলার কচুয়া উপজেলার লড়াকু গ্রামের সরোয়ার মল্লিকের পুত্র। আহত হাফিজুর রহমান (৩০) ও মিরাজুল শেখ (৩৬) একই এলাকার বাসিন্দা।

ঘটনাস্থলে থাকা নির্মাণশ্রমিক জাকির শেখ জানান, বিকেলে কয়েকজন শ্রমিক পাইলিং বসানোর কাজ করছিল। এ সময় হঠাৎ করেই পাইলিং কাজের জন্য বসানো টাওয়ার এর একটি টানা ছিঁড়ে টাওয়ারটি মাটিতে হেলে পড়লে টাওয়ারের ওপরে থাকা শ্রমিক তরিকুল এবং অন্য দুই শ্রমিক গুরুতর আহত হন। তাদেরকে সেখান থেকে পিরোজপুর ও নাজিরপুর ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিট উদ্ধার করে দ্রুত নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে সেখানেই মারা যায় তরিকুল।

নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক এএইচএম মোস্তফা কায়সার বরিশালটাইমসকে জানান, হাসপাতালে আনার পরপরই তরিকুলের মৃত্যু হয়েছে। তবে অন্য দুইজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

পিরোজপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ- সহকারী পরিচালক আব্দুল মালেক বরিশালটাইমসকে বলেন, নাজিরপুর ফায়ার স্টেশনের কাছেই মডেল মসজিদের পাইলিংএর কাজে পাইলিং মেশিনের ধাক্কায় তার ড্রাম থেকে তার ছিড়ে যায়। রিং মেশিনের সাথে যে লোক ছিল তারা পড়ে যায় ধাক্কায়। ৩জন লোহার দন্ডে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে আহত হয়। ফায়ার সার্ভিস তদের দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার ১জনকে মৃত ঘোষণা করে। বাকি ২জনকে দ্রুত উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল মালেক আরও বলেন, যারা কাজ করে তারা অত্যন্ত অভিজ্ঞ হওয়ার কারনে সেফটির বিষয়টি খেয়াল করে না। সংশ্লিষ্টদের সেফটির বিষয়টি নিশ্চিত করা উচিৎ। হেলমেড, হ্যান্ডগ্লোবস্, গামবুট এগুলো পরিধান করা থাকলে তাদের শারিরিক মনোবল ভালো থাকে। যদি কোন দুর্ঘটনা ঘটে হেলমেড থাকলে লাফ দিয়ে পড়লেও বেঁচে থাকার সম্ভাবনা থাকে। তাদের কাছে কিছুই ছিল না। তার অভ্যস্ত হওয়ার কারনে তার স্বাভাবিকভাবে কাজ করছিল। মাথায় বাড়ি লাগারা কারনে হয়তো মারা গেছে।

তবে এ দুর্ঘটনার বিষয়ে নির্মান ঠিকাধারী প্রতিষ্ঠান ইএফটিই-ইটিসিএল প্রাইভেট লিমিটেডের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।