কসবী ।। বিধান সরকার

বিধান সরকার >> মাউল্ল্যার জ্বালায় অস্থির সবাই। আজ এনিয়ম বের করে তো কাল আরেক নিয়ম। অতিষ্ঠ হয়ে ওঠা ছিন্নারা সিদ্ধান্ত নেয় কিছু একটা করার। ঢেমনাদের যেমন সমস্যা হয় তারা ঠিক ভাবে কাজ সারতে পারেনা, ঠিক ভদ্রগোছের কসবীদের অবস্থা আরো বেহাল। তারা খদ্দের ছিনিয়ে নিতে পারে না তাই পেট চালানো তাদের জন্য দায় হয়ে ওঠে।
জঠর জ্বালায়রে ভাই; কদ্দিন আর সহ্য করা যায়? এমন প্রশ্ন তোলেন ভদ্রগোছের এক কসবী।

তার কথায় সায় যোগান চিকনা দেহের কিন্নরী কন্ঠের এক কসবী। তার বক্তব্য- অনেক দিন ধরেইতো এই পাড়ায় অছিরে ভাই, খদ্দের ছিনিয়ে আনতে পানি না, আবার ওদের মত পকেটও কাটতে পারি না। তারও পাল্টা প্রশ্ন কি করিরে ভাই? একটা আর দুইটাতো নয়, মাউল্লার সাথে আরও নয়টা যোগ হইছে। ওদের দল ভাড়ি না বটে, তবে সবাইকে চড়িয়ে ফেরছে যে। উপায় বাতলাও ভাই, না হলে নিস্তার নাই।

ভালে ভাবনা রেখা ভদ্রগোছের কসবীর। তিনি বললেন- দেখো একটা উদ্ভাস্তু, তাড়া খেয়ে দেশ ছেড়েছে এখন জ¦ালিয়ে মারছে আমাদের। পাড়ায় অনেকের সাথে কথা বলেছি, একজনের কথা আরেকজনকে বলে প্যাচ লাগায়। পাছে কত লোকে ধিক্কার দেয়; তারপরও বেহায়া বেশরম হয়ে কাছে ভিড়ে। দেখতে একটা উটের মত। ওর কাছে খদ্দের যেতে চায় না। তারপরও কত রঙ্গ-ঢঙ্গ করে তবেই বাগায়। অস্ত যৌবনা, তারপরও বাড়তি কামাইয়ের তাড়না। মরণ কামনা করে কতজনা, তারপরও মরণ হয় না। মাঝে মধ্যে অসুস্থতার ভান করে বাড়তি সহানুভূতি কামিয়ে নেয়। যেকিনা এখন মাউল্ল্যা সেজে জেঁকে বসে ফাঁকে আবার দেহ দিয়ে আরও কামাইয়ের সুযোগ পায়।

আর একটার মুখপানে তাকালে বমি আসে, সেও আবার নেতা করে! খদ্দেররা বলেছেন, ওর মুখে চুমা চাট্টি দিতে ঘেন্না লাগে। পাছে কি যে বিশেষ ব্যবস্থার বুদ্ধি রাখে দেখলে গা জ¦ালা ধরে। দেখলাম এই পাড়াতেই এই অখাদ্য খাদ্য হয়ে ফেরে। সন্দেহ প্রবন, এই বুঝি টলে গেল আসন। নিজ বন্ধুরে পর্যন্ত বিশ^াস করে না। কাজ সাড়বে সব একাকী গোপনে। আমাদের সমাজেই এইটার গ্রহণযোগ্যতা বলতে বিষিয়ে ওঠা পরিবেশ। এসব নিজেও বোঝে বলে সামনে আসেনা, পাছে থেকে কুটকৌশলে অন্যদের পরাস্ত করে।

আরেকটায় এক দোকানের চা টানতে টানতে এখন নিজেই ইয়াবা, মদ, গাঁজা টানতে শুরু করেছে। খদ্দেরদের জিম্মি করে ভয়ভীতি দেখিয়ে স্বর্ণের গহনা পর্যন্ত ছিনিয়ে নিয়ে সর্বশান্ত করে কামানো টাকার গরম দেখায়। শুনছি পরিবারেও রাজনীতি করে। মাকে জিন্মি করে ভাইদের ঠকানোর ধান্দায় আছে। চিন্তা করতে পারো কেমন হারামি, প্রথম দিনেই আশ্রয় পাওয়া বাড়ির খাবার টেবিলে বসে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, যার খাচ্ছে তার ক্ষতি করবার। সাইজ ছোট হইলেও দলবদ্ধ খুনের পান্ডা হওয়ায় পুরানো ভাব দেখাতে চায়। আরে, যায় দিন আর আসেনা রে বোকা। এটার সার্টিফিকেটও জাল।

ওদের মধ্যে আরেকটায় আছে হারানো কালের পোষাক পরে বড় বিদ্যান হওয়ার ভাব দেখায়। বাস্তবে পড়ালেখা মোটেও জানেনা। এতিমের খাতায় নাম লেখিয়ে বড় হইছে। প্রাথমিক স্কুল পর্যন্ত ইতি। এটায়ও লোকদের বাড়তি মুনাফা দেওয়ার কথা বলে টাকা হাতিয়ে নিয়েছিল একদা। ঘটনায় পুলিশে তাড়িয়েছিল। পরে এসে এই কসবী পাড়ায় যোগ দিয়ে বেহায়া হয়ে পাছে টক্কর দিয়ে ফেরে। আরে তোকে তো লাইসেন্স দেয়া হয়েছে, সেখানে নিয়ম মেনে চলার কথা বলা আছে। তারপরও তুই কেনো খদ্দেরদের ব্লাকমেইল করিস!

চিকনা কিন্নরী জানতে চান-তুমি দেখি ভাই চুপচাপ থাকো। ব্যস্ত থাকো নিজের কাজ নিয়ে। তা এতো করে হাঁড়ির খবর জানো কি করে?

জবাব আসে ভদ্রগোছের কসবীর কাছ থেকে-তাইতো, আমাদেরতো বাইরে যাবার তেমন সুযোগ নেই। তবে কোন কোন খদ্দের মনোরঞ্জনের আগে নেশায় বুঁদ হয়ে বাইর সমাজের নানা কথা বলে যায়। তাদের কাছ থেকেইতো শুনি, এই কসবীগুলো কি করে এই পেশায় এসেছে এবং কি করছে। তবে ওনিয়ে মানুষ কি বলছে, তাতে ওদের খুব একটা যায় আসে না দেখছি।
কিন্নরী বলেন, বেশ; আরো কি অবাক করা তথ্য আছে তোমার কাছে?

বলতেতো পারি ভাই, তবে আমার কথা কে শোনে। এক কোনে পরে থাকি, রুটি রুজির জন্য ব্যস্ত থাকি। তবে কে যেন আমাকে বলেছিল এর বাইরেও খবর রাখতে হবে। তাই এখন ওদিকে একটু মনযোগি হয়েছি। জানোনাতো এ সমাজ হলো উল্টো রথে চলার। মাউল্ল্যায় ওদের সাথে যুক্তি করেইতো আমাদের ঠগায়। আমাদের কষ্ট করে কামাইর টাকায় বাড়তি ভাগ বসায়।
দুই কসবীর কথোপকথন কালে সুযোগ সন্ধানী বেঢপ সাইজের আরেক কসবীর উপস্থিতি ঘটে। জানতে চায়-কি নিয়ে কথা হচ্ছে রে বোন?

কিন্নর কন্ঠীর উত্তর-কি নিয়ে আর; ওই মাউল্ল্যার অত্যাচারের কথাই বলা হচ্ছে। না পারছি হঠাৎ করে এই পেশা থেকে বের হতে, না নতুন কোন জায়গায় যেতে।

বেঢপ সাইজের কসবী বলে, আমিওতো বোন নতুন কিছু করার চিন্তায় আছি। এক স্বজনে চুরি চামারি কইরা যা দিছিল তা ফুরানোর পথে। আর মাউল্ল্যারেও সাইজ করতে পারছিনে বলে ভাবছি, দুই চারইখানি ঘর কিইন্যা নয়া মাল উডাইয়া ভাড়া দিমু।
কিন্নরী বলে- তোমার গ্যাটে সঞ্চিত টাকা আছে তুমি ট্রাই করতেই পারো। ভালো আইডিয়া। তো আমরা ভাবছি ভিন্ন কথা।
বেঢপ সাইজের কসবী জানতে চায়-কি কথা, কি কথা বোন, বলোতো। মাউল্ল্যারে আর অর নবরত্নরে তোমরা কিছু করতে পারবা?
চেষ্টা করতে দোষের কি, একথা বলে কিন্নরী কসবী ছোট্ট একটা নিশ্বাস ছাড়ে।

ক্ষুব্ধস্বরে বলেন, জাত মান সবকিছু ছেড়ে এই কসবী সমাজে যোগ দিলাম ইজ্জত বিকাতে, সেখানেও লোক ঠগানো কারবার। নিজ স্বার্থের কাছে সবকিছুই উপেক্ষিত হবার। একটু থেমে কিছুটা আনমনা হয়ে বলে-আহারে মাকে দেখিনা কত দিন। ছোট ভাইটার মায়া ভরা মুখ প্রতিদিন কাঁদায়। ভাবি আমি কেন এই পেশায়। বাপুজি বলেছিলেন মনদিয়ে পড়ালেখা করতে। পারলাম কই; ঢেমনা ছোড়ার প্রেমই আমার সব গেল। চেয়েছিলাম ডাক্তার হতে। এক দিন, দুই দিন, তিন দিন এরকম বেশ কয়েকদিন প্রেমের চিঠি ফেলল আমার টেবিলে। শ্যামলার ওপরে বেশ গড়ন ওই ঢেমনাও পড়ালেখায় বেশ ছিল। মাধ্যমিকে পড়ার সময়ই ঢেমনা নেশা ধরেছিল। আমি বুঝতে পারিনি। সুযোগ বুঝে একদিন আমার বস্ত্র হরণ করলো। ওরপর আমিও ঢেমনার শরীর পেতে মুখিয়ে থাকতে গিয়ে পাঠ শিকেয় ওঠার পালা। অমন এক দিনে বাড়ি ছেড়ে দু’জনে পালিয়ে নিরুদ্দেশ। এই শহরে এসে ফাঁদে পরলাম। বিপদ দেখে ঢেমনা পালালো আর আমার স্থান হলো এই কসবী পাড়ায়। উহু জীবন, এই কি চেয়েছিলাম। এমন বলে কিন্নরীর বুক বয়ে ফের একটা নিশ্বাস চলে যায়।

এসময় ভদ্রগোছের কসবী বলেন, এ কষ্ট প্রত্যেকেরি ভাই। তারপরও ভাবি এত কষ্টের মধ্যে থেকেও মাউল্ল্যা আর ওর নবরত্নরা কেন আমাদের আরো কষ্ট দেয়। তাইতো ভাবি সময় এসেছে, প্রতিরোধে সংগঠিত হতে হবে। প্রয়োজনে কমিটি গঠন করতে হবে।
মোক্ষম সময় মনে করে সুযোগ সন্ধানী বেঢপ সাইজের কসবীও জোর কন্ঠ ছাড়ে-তাই করতে হইবে বোন। এছাড়া কোন বিকল্প ব্যবস্থাও নাই।

ঠিক হলো; জনে জনে কথা হলো। যেহেতু মাউল্ল্যার দশ সদস্যের দলের অত্যাচারে পাড়ার বৃহদাংশ ক্ষতিগ্রস্ত, ক্ষুব্ধ। সব্বাই গতর বেচে কষ্ট করে জঠর জ¦ালা মেটায় সেখানে মাউল্ল্যা কোন জন এমন প্রশ্ন তোলেন। প্রয়োজনে প্রশাসনের সহায়তা চাইবো। তবে এখানেও নিরীহগোছের বা জুনিয়র কোন কোন কসবী পিছু টান দিল। আমতা আমতা ভাব দেখালো। খদ্দেরদের কাছে নয়া বা কম বয়েসীদের চাহিদা সব সময় বেজায় থাকে বলে ওদের মাথা ব্যথা কম মনে হলো।

তাইতো এমন নতুন ছিন্নাদের মধ্যে কে একজন বলে উঠলেন-আমার কোন অসুবিধা নেই। খদ্দের ধরে যা পাই তার থেকে মাউল্ল্যা নেয়ার পরও যা থাকে, তাদিয়ে আমার দিনগুজরানে বেশ চলে। তাই মাউল্ল্যার সাথে আমার আর ঝামেলা করে লাভ কি বলো ভাই?

মাউল্ল্যা তার নবরত্ন নিয়ে জোটবদ্ধ থাকলেও নির্যাতিতাদের মধ্যে যে নানা মত তা স্পষ্ট হলো। এসময় কেবল নতুন ছিন্নারা নয়, অন্য কয়েক বয়স্য কসবীও মাউল্ল্যাদের সাথে ঝামেলা না পাকায়ে নিরিবিলি থাকতে বলেন।

এসময় হাঁক ছাড়ে সুযোগ সন্ধানী বেঢপ সাইজের কসবী। বলেন- না কমিটি করতেই হইবে। অত্যাচারের দেয়াল ভাঙ্গতেই হইবে। প্রয়োজনে রাজনৈতিক নেতাদের সহায়তা চাইমু। প্রতিরোধ না করলে আমরা মাউল্ল্যার দলের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হইতেই থাকমু। আমরা নিজেরা কোন অন্যায় করমু না, আর কাউরে অন্যায় করতেও দিমুনা। মাউল্ল্যার দিনের ইতি টানমুই। এমন জ¦ালাময়ী বক্তব্যে পিছিয়ে থাকাদের সম্মতি মিলল।

বেশ, কসবীদের কমিটি গঠন হলো একদা। নীতিবাক্য ছড়ানো দুই বুড়ো কসবীকে আর সুযোগ সন্ধানী বেঢপ সাইজের কসবীকে গুরুত্বপূর্ণ পদে রেখে কমিটি হলো। বটে; নিয়ম অনুযায়ী বছর ঘুরতে কমিটি গঠনের দিন তারিখ ফের ধার্য্য হলো। প্রথম বছর দুই বুড়ো কসবী বেশ চালিয়েছিল। মাউল্ল্যাদের অত্যাচারের ঝামেলা কিছুটা হলেও কমে এসেছিল। তবে কামাই কমে যাওয়ায় মাউল্ল্যা ও তার নবরত্নদের ভালে ভাঁজ পরেছিল। কি করা যায় সেই চিন্তায় বিভোর হয়ে উঠেছিল।

উরেকা বলে লাফিয়ে উঠে মাউল্ল্যার দলের এক কসবী বলেন- এবার বেঢপ সাইজের কসবীরে সভাপতি বানালে কেমন হয়?
সাথে সাথেই মাউল্ল্যার জবাব-তাই করো। ও হাতে থাকলে আমরা আগের ন্যায় যাচ্ছেতাই করতে পারবো। মাঠ দখল নিতে পারবো। বাড়তি কামাই ফের করা যাবে।

একথায় সায় জোগায় চেহারা দেখলে বমি আসে সেই কসবী। চুপিসারে চা টানা, হারানো দিনের পোষাক পরা, বাঁদরমুখী এবং বদদুর্গন্ধী কসবীদের সাথে নিয়ে পরামর্শ করে নেয়। বলেন-মাউল্ল্যারে নিয়ে আমরা দশ জন। যেদিকে টার্ন করবো সেদিকের পাল্লা ভাড়ি হবে। অর্থাৎ কমিটি গঠন করতে পারবো।

জোর বাতাস দিলো বেঢপ চেহারার কসবীকে। একটা শক্তি তার পেছনে আছে এমনটা মনে করে সভাপতির পদ চেয়ে বসলো। তবে সাধারণ কসবীদের পছন্দের অন্য আরেক প্রার্থী থাকায় সিলেকশন নয়; ইলেকশনেই যেতে হলো। প্রথম কমিটির সভাপতি-সম্পাদক দুই বুড়ো কসবী মুখে কুলুপ এঁটে রইলেন। অবশেষে মাউল্ল্যার দল সুযোগ পেল সভাপতির পদে প্রার্থী হওয়া বেঢপ চেহারার কসবীর কাছ থেকে ভোট দেয়ার নাম করে মোটা অংকের টাকা খাওয়ার। এখবরও চাউর হয়েছে, মাউল্ল্যার নবরত্নরা সাধারণ কসবীদের পছন্দের সভাপতি প্রার্থীর কাছ থেকেও ভোট দেয়ার নাম করে ভালো টাকা বাগিয়ে নিয়েছিল।

নির্বাচনে বেঢপ চেহারার কসবী নির্বাচিত হলো। নয়া কমিটির শপথ অনুষ্ঠানে মাউল্ল্যা ও তার দলের তৎপরতা দেখেই সাধারণ কসবীরা বুঝে গেছেন, কম্ম সাড়া। নয়া সভাপতি মাউল্ল্যাদের করায়ত্ত। ফিরে এলো সেই আগেকার অন্ধকার দিন। খদ্দের নিতে গিয়ে তলপেটে প্রচন্ড ব্যথা অনুভব করা নতুন ছিন্নাকে কোন ছাড় নয়। নয়া সভাপতির হুকুম জারি, খদ্দের যাকে পছন্দ করবে আর যতখন তার কাছে খদ্দের আসতে থাকবে তাকে নিতেই হবে। আর প্রথম বারে কমিটি গঠনে যারা ভুমিকা রেখেছিল তাদেরও সাইজ করতে শুরু করলো। দিতে থাকলো নানা অপবাদ। অপপ্রচার চালালো নতুন সভাপতির সাথে মাউল্ল্যারা দশজনে মিলে। তবে ফের শুরু হলো নয়া কমিটির অপকর্মের বিরুদ্ধে নানা কথোপকথনের। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে দূর কোনে থাকা শান্তগোছের এক কসবীকে একদিন পাড়া ছাড়ার ঘোষণা তুলল নতুন সভাপতি।

আর যায় কোথায়, সাধারণ কসবীরা সব্বাই ফের সংঘবদ্ধ হওয়ায় বাতাস সত্যিই বেঁকে বসলো। মাউল্ল্যার নবরত্নের বিরুদ্ধে সবকোন থেকে ঝড় উঠতে শুরু করলো। ধুলি ঝড়ে টালমাটাল। বমি মুখো, চা টানাদের মুখোশ উন্মোচিত হতে থাকলো। এতদিন যেসব খদ্দেররা জানতে পায়নি তারও এদের নেপথ্যের ঘটনা জানতে পেয়ে ঘৃণা প্রকাশ করলো। এমন পরিস্থিতিতে মাউল্ল্যা কাজে নামলেও বমি মুখো আর চা টানা কিছু দিনের জন্য গা ঢাকা দিয়েছিল। কথায় আছে না, বেহায়ার আবার লজ্জা শরম। এর প্রমাণ মিলল ফের ক’দিন পরেই। অর্থাৎ আবার সুযোগ বুঝে টুপ করে ফের গতর খাটাতে নামলো বমি মুখো এবং চা টানা কসবী।

বিধান সরকার।
লেখক: ছোট গল্পকার ও প্রবান্ধিক।