চরফ্যাসনে ১৬৫ পিস মরা মুরগী উদ্ধার

চরফ্যাসন (ভোলা) প্রতিনিধি >> ভোলার চরফ্যাসন বাজারের ইয়াছিন নামের এক মুরগী ব্যবসায়ীর দোকান থেকে ১৬৫ পিস মরা মুরগী উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার বিকালে চরফ্যাসন সদরের মুরগী বাজার থেকে মুরগীগুলো উদ্ধার করা হয়। এসময় মুরগী ব্যবসায়ী ইয়াছিনকে আটক করে পৌরসভার সেনেটারী ইন্সপেক্টর ইকবাল হোসেনের মাধ্যমে ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত করা হয়েছে।

দন্ডিত দোকান মালিক ইয়াছিন পৌরসভা ৯ নম্বর ওয়ার্ডের তাজল ইসলামের ছেলে।

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, ইয়াছিন বিক্রির উদ্দেশে তার মালিকানাধীন দোকানে বস্তাভর্তি ১৬৫টি মৃত মুরগী এনে রাখেন। ঘটনাটি পার্শ্ববর্তী দোকানদারা টের পেয়ে পৌর সভার মেয়রকে খবর দেন। পৌর মেয়র মো. মোরশেদ ওই মরা মুরগী গুলো পৌরসভার সেনেটারী ইন্সপেক্টর মাধ্যমে জব্দ করেন এবং অভিযুক্ত ব্যবসায়ী ইয়াছিনকে আটক করে ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত করেন। এবং আটক ব্যবসায়ীকে মোচলেকায় মুক্ত করে দেন। এবং উদ্ধারকৃত মৃত মুরগীগুলো মাটি চাপা দেওয়া হয়েছে।

আটক ইয়াছিন জানান, সাতক্ষীরা থেকে ব্যবসার উদ্দেশে ৪০০ মুরগী ক্রয় করে চরফ্যাসনে আনেন। মুরগীগুলো গাড়ি থেকে নামানোর পর কিছু মুরগী মারা যায়। বাকি কিছু মুরগী তার দোকানে মারা যায়। মরা মুরগী কোন হোটেলে বিক্রির উদ্দেশ ছিলোনা বলেও জানান ব্যবসায়ী ইয়াছিনের দাবি।

চরফ্যাসন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সের আরএমও ডা. মাহাবুব কবির জানান, যখন কোনো প্রাণীকে জবাই করা হয়, তখন তার বিষাক্ত কার্বনডাই অক্সাইড রক্তের সাথে বের হয়ে যায়। কিন্তু যখন ওই প্রাণীকে শ্বাসরোধ করে মারা হয় বা তার স্বাভাবিক মৃত্যু হয় তখন ওইসব প্রাণীর বিষাক্ত কার্বনডাই অক্সাইড ও রক্ত দেহের ভেতরে মাংসের সাথে মিশে যায়। যা খাওয়া মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। সেকারণেই এসব মৃত প্রাণীর মাংস খাওয়া নিষিদ্ধ।

পৌর মেয়র মোঃ মোরশেদ জানান, ব্যাবসায়ীদের দেয়া গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই দোকান থেকে মৃত মুরগীগুলো উদ্ধার করে জব্দ করা হয়েছে। এবং সেনেটারী ইন্সপেক্টর ইকবাল হোসেনে এর মাধ্যমে দোকান মালিক মোঃ ইয়াছিনকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এবং অভিযুক্ত ইয়াছিনকে মুচলেকায় মুক্তি দেওয়া হয়েছে।’