বরিশালে আ’লীগ নেতাকে তুলে নিয়ে মারধর করলেন ছাত্রলীগ নেতা!

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল >> বরিশালে স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতাকে তুলে নিয়ে মারধর করেছে প্রতিপক্ষরা। গত বৃহস্পতিবার রাতে বরিশাল সদর উপজেলা ভাইসন চেয়াম্যান (মহিলা) রেহেনা বেগমের ছোট ভাই রাসেল মুন্সির অনুসারী সালাম ও মিলনসহ ৭/৮ জন খলিলুর রহমানকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে স্থানীয় কাগাশুরা বাজারে রাসেলের কাছে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে রাসেল মুন্সি তাকে বেধড়ক মারধর করেন ও হত্যার হুমকি দেন। এই ঘটনায় চরবাড়িয়া ইউনিয়ন ৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান গতকাল শুক্রবার রাতে সংশ্লিষ্ট কাউনিয়া থানা পুলিশের কাছে একটি অভিযোগ করেছেন।

কাউনিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আজিমুল করিম অভিযোগ প্রাপ্তির কথা স্বীকার করেন।

স্থানীয় সূত্র জানা যায়- কোরবানিতে কাগাশুরা গরুর হাট নিয়ে রাসেল মুন্সী এবং খলিলুর রহমানের মধ্যে বিরোধ তৈরি হয়। খলিলের অনুসারীরা কাগাশুরা গরুর হাটের ইজারা পেলে রাসেল ও তার অনুসারীরা ক্ষিপ্ত হন। এনিয়ে গরুর হাট চলাকালীন উভয়পক্ষ কয়েক দফা সংঘর্ষে জড়িয়েছে।

সূত্রটি জানায়, এ ঘটনার জেরে বৃহস্পতিবার রাতে রাসেল মুন্সির অনুসারী সালাম ও মিলনসহ ৭/৮ জন খলিলুর রহমানকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে কাগাশুরা বাজারে রাসেল মুন্সির কাছে নিয়ে যায়। এরপর সেখানে রাসেল মুন্সি তাকে বেধড়ক মারধর করেন ও হত্যার হুমকি দেন।

আওয়ামী লীগ নেতার অভিযোগ, কোনো কারণ ছাড়াই রাসেল মুন্সির ক্যাডার সালাম ও মিলনের নেতৃত্বে কয়েকটি মোটরসাইকেল এসে আমাকে তুলে নিয়ে যায়। রাসেল মুন্সির কাছে নিয়ে যাওয়ার পর রাসেল আমাকে বেধড়ক মারধর করা হয়। এ ঘটনায় আমি কাউনিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।

তবে আওয়ামী লীগ নেতাকে মারধরসহ হুমকি দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে রাসেল মুন্সী বরিশালটাইমসকে বলছেন, আমি উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি, আমার সঙ্গে একজন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সম্পাদকের কী হতে পারে উল্টো প্রশ্ন রাখেন। এবং থানা পুলিশে করা অভিযোগকে মিথ্যা ষড়যন্ত্রমূলক বলে অভিহিত করেন।

এই বিষয়ে কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আজিমুল করিম বরিশালটাইমসকে বলেন, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতা খলিলুর রহমানের অভিযোগটি খুব গুরুত্ব দিয়ে দেখছে পুলিশ। প্রমাণ পেলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’