নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল >> কাতারের দোহায় সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তালেবানের মধ্যে চুক্তির ফলেই আগস্টে আফগান সরকার এবং দেশটির সেনাবাহিনীর পতন ঘটেছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তারা। বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় কমান্ডের প্রধান জেনারেল ফ্রাঙ্ক ম্যাকেন্জি হাউজ আর্মড সার্ভিস কমিটির কাছে বলেন, দোহায় অনুষ্ঠিত ওই চুক্তির ফলেই আফগান সরকার এবং তাদের সেনাবাহিনীর সদস্যদের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে, মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে অনেকেই। আফগানিস্তান ত্যাগের নির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণ করায় সবার ওপর এ প্রভাব পড়ে বলেও জানান তিনি।

এ সময় তিনি উল্লেখ করেন, ২০২০ সালের ২৯ ফ্রেব্রুয়ারি ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং তালেবান সরকারের মধ্যে এক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। যেখানে বলা হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র ২০২১ সালের মে মাসের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে তাদের সব সেনা প্রত্যাহার করবে এবং তালেবানও প্রতিশ্রুতি দেয় তারা আর যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের ওপর হামলা করবে না। তবে পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্রে সরকার পরিবর্তনের ফলে সেই সময়সীমা বাড়ে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত।

তিনি আফগান সরকারের পতন ঠেকাতে অন্তত আড়াই হাজার সেনা রাখার পরামর্শ দিয়েছিলেন বাইডেনকে। সতর্ক করেছিলেন এ সংখ্যক সেনা না রাখলে আফগান সরকারের পতন অবশ্যম্ভাবী। কিন্তু বাইডেনের সব সৈন্য প্রত্যাহারের ঘোষণায় ২০ বছরের যুদ্ধের কফিনে শেষ পেরেক ঢোকে।

তিনি বলেন, দোহার ওই চুক্তির ফলে তালেবানের ওপর কোনো বিমান হামলা চালাতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্র। ফলে তালেবান আস্তে আস্তে শক্তিশালী হতে থাকে এবং আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর ক্রমাগত হামলা চালাতে থাকে। অন্যদিকে দুর্বল হয়ে পড়ে আফগান বাহিনী।

এর আগে সিনেটের আর্মড সার্ভিস কমিটি যুক্তরাষ্ট্রের দুই শীর্ষ জেনারেল এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনকে আফগানিস্তানের উদ্ধার অভিযান নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন করেন রিপাবলিকান সিনেটররা।