ঢাকা থেকে যাত্রী নিয়ে বরিশালে আসা এমভি তাসরিফ-২ লঞ্চ ঘাটে ভিড়ানোর সময় সজোরে ধাক্কা দিলে পন্টুনের অনেকটা ফেটে পানি উঠতে থাকে। এতে লঞ্চের সামনের অংশ ক্ষতিগ্রস্থ হয়। শুক্রবার (১৯ মে) ভোররাতের এই দুর্ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা। কীর্তনখোলা-১ লঞ্চের পরিবর্তে চলাচল করা লঞ্চ কর্তপক্ষকে পন্টুন মেরামত ও সমুদ্র পরিবহণ অধিদপ্তরের ফিনেস সনদ দেখায়ে তবেই বরিশাল বন্দর ছাড়তে হবে বলে জানালেন নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের উপ-পরিচালক আজমল হোসেন মিঠু।

বিআইডব্লিউটিএর বাদিং সারেং মো. সানোয়র হোসেন বলেন, ঢাকা থেকে যাত্রী নিয়ে আসা তাসরিফ-২ লঞ্চটি ভিড়ানোর সময় সজোরে আঘাত হানায় পন্টুনের একটি অংশ ভেঙে দুমড়ে মুচরে যায়। এসময় পন্টুনে পানি উঠতে থাকলে বিআইডব্লিউটিএর কর্মচারীরা পাম্প মেশিন লাগিয়ে পানি সেচ করে পন্টুন রক্ষা করেন। পন্টুন মেরামতের কাজ চলছে এবং ঘটনাস্থলে বিআইডব্লিউটিএর উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা পরিদর্শন করেছেন।

তারা লঞ্চ কর্তৃপক্ষতে ক্ষতিগ্রস্থ পন্টুন মেরামত করার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, বড় ধরণের দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া গেছে। যাত্রীরা হতাহত না হলেও পন্টুনের ক্ষতির পরিমাণ তিন লক্ষাধিক টাকা।

বরিশাল নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের উপ-পরিচালক আজমল হোসেন মিঠু জানিয়েছেন, লঞ্চটির সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তরের প্রয়োজনীয় সনদ রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে। আর দুর্ঘটনার নেপথ্যের কারণ জানতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।’’