বিদ্যালয়ের দুই কক্ষ তালাবদ্ধ: এক কক্ষে চলে তিন শ্রেণির ক্লাশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল:: ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার পূর্বচর দপদপিয়া আমেনা খাতুন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে নিয়মিত স্কুলে উপস্থিত না হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে শনিবার (১৪ মে ) দুপুরে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ওই স্কুলে কাগজে-কলমে ৫ জন শিক্ষক থাকলেও তাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ৩ জন। বিদ্যালয় চলাকালীন সময়ে দুটি কক্ষ ছিল তালাবদ্ধ। তালায় মরিচা ধরেছে মনে হচ্ছে, যেন সম্প্রতি খোলা হয়নি ওই কক্ষ দুটি। পঞ্চম শ্রেণির কক্ষেই পঞ্চম, চতুর্থ ও তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রছাত্রীরা বসা ছিল। ওই কক্ষে ছাত্রছাত্রীরা হৈচৈ করতে থাকলেও অফিসকক্ষে ৩ জন সহকারী শিক্ষক খোশগল্পে ব্যস্ত ছিলেন।

উপস্থিত শিক্ষকদের সাথে কথা হলে তারা বলেন, একজন সহকারী শিক্ষক অসুস্থতার কারণে চিকিৎসার জন্য ছুটিতে রয়েছেন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্কুলের কাজে এটিও’র সাথে বাহিরে আছেন।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জলিলুর রহমানের মুঠোফোনে বলেন, আমি বিদ্যালয়ের তথ্য পূরণের কাছে বাহিরে ছিলাম। বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সংখ্যা মাত্র ২৮ জন। তৃতীয় শ্রেণিতে রয়েছে একজন। শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি সংখ্যা কম হওয়ায় বিদ্যালয়ের এক কক্ষে তিন শ্রেণির ক্লাস নেয়া হয়েছে। তবে বিদ্যালয়ে এতো কম শিক্ষার্থী কেনো-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি সদুত্তর দিতে পারেননি।

উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা (এটিও) মো. সাইদুর রহমান স্বপন বলেন, ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক জলিলুর রহমান আমার সাথে ছিলেন না। তবে তিনি স্কুলের তথ্য সংগ্রহের কাজে বাহিরে ছিলেন বলে আমাকে ফোনে অবহিত করেছেন।

এক কক্ষে তিন শ্রেণির পাঠদানের বিষয়ে তিনি বলেন , এটা করা যাবে না। এক শ্রেণিতে একজন শিক্ষার্থী থাকলেও তাকে আলাদা পাঠদান করাতে হবে।

নলছিটি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিন বলেন, এক কক্ষে তিন শ্রেণির পাঠদানের বিষয়ে তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।