What Is Narco Test: নার্কো টেস্ট কী? ইনফো (পিয়ালী)

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল:: নার্কো টেস্টে বেশ কিছু ওষুধের ব্যবহারে করে মানুষের অগ্রজ মস্তিষ্ককে কিছুটা সময়ের জন্য অকেজো করা হয়। ওষুধের মাধ্যমে অবচেতন মনকে জাগ্রত করে বেশি তথ্য জানতে চাওয়ার পদ্ধতি হল নার্কো টেস্ট।

বিশেষজ্ঞদের মতে, মানুষের অবচেতন মনকে সাধারণত নিষ্পাপ ধরা হয়। সাধারণ জিজ্ঞাসাবাদে কেউ তথ্য গোপন করলেও অবচেতনে মস্তিষ্কের দেওয়া তথ্য সত্যি বলে মনে করা হয়। ফলে অনেক ক্ষেত্রেই তা তদন্তে কাজে লাগে।

তবে নার্কো স্টেস্টের বয়ান যে সব সময় ঘটনাকে সম্পূর্ণ ভাবে তুলে ধরে করে, তা নয়। সেই বয়ান ঘটনার তদন্তে উঠে আসা পাওয়া তথ্যপ্রমাণের সঙ্গে মিলতেও পারে, বিপরীতও হতে পারে। ফলে নার্কো টেস্ট কোনও তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ বৈজ্ঞানিক তথ্যপ্রমাণ হলেও, শুধুমাত্র সেটার ওপর ভিত্তি করে কোনও ঘটনার উপসংহারে পৌঁছনো যায় না।

নার্কো টেস্ট ১৯৯২ সালে প্রথম বার রবার্ড নামের একজন চিকিৎসক। টেক্সফোর্সে দোষী সাবস্ত হওয়া দুই জন আসামির ওপর করেন।

বর্তমানে এই নার্কো টেস্ট বাংলাদেশসহ ভারত, পাকিস্থান, নেপাল, মায়ানমার প্রভৃতি দেশের পুলিশ এবং সেই দেশের উচ্চ কোন ক্রাইম অনুসন্ধানকারী সংস্থাগুলো দ্বারা করা হয়ে থাকে। অপরাধীর কাছ থেকে সত্য যাচায় করার জন্য।

নার্কো টেস্টের জন্য অপরাধীর শরীরে ইন্টার উঈনার বারবীউটারেটস নামের একটা ওষুধ কে ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে অপরাধীর শরীরে পুশ করা হয়। পুলিশ এবং ডাক্তারের তত্বাবোধনে এই ড্রাগস আসামির শরীরে প্রয়োগ করা হয়। অপরাধীর কাছ থেকে সত্য উদ্ঘাটনের জন্য।’